আমি খুব ভালো এয়ার গিটার বাজাতাম। পিয়ালও একেবারে খারাপ না। বিশেষত ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কনসার্টে আমাদের প্রতিভা উপচে পড়ত! আমরা তবু টুকটাক আসল গিটার বাজানোর চেষ্টা করতাম। তুষণ তাও না। কিন্তু ও ডানহাতের চার আঙ্গুল দিয়ে নিজের ভুড়ি থাবড়ে থাবড়ে যে অসাধারণ এয়ার বেজ বাজাতো আমাদের এয়ার লিড বা এয়ার রিফিং সে তুলনায় কিছুই না!
সাব্বির নিভৃতচারী মানুষ। এয়ার গিটার বাজানোর অভ্যাস নাই! তবে সন্ধ্যা থেকে ভোর অব্দি ঘর বন্ধ করে গিটার প্র্যাকটিস করে প্রায়ই। nothing else matter, one last breath, one কিংবা অনিকেত প্রান্তর বাজাতে পারে অনায়াসে। আমরা মুগ্ধ হয়ে শুনি, নিজেদের এয়ার গিটার ধরতে লজ্জা পাই!
অনিমেষ শ্যাডো ড্রামিং মাস্টার। কথিত আছে শ্যাডো ড্রামিং এর কোন কনটেস্ট হলে মাইক পোর্টনি কিংবা নেইল পার্ট অনিমেষকে গুরু মানতে বাধ্য!
রাজু চেহারায় আচরণে ভদ্র ছেলে। সুরুচিসম্পন্ন। সে আগে লিরিক লিখত। গভীর বেদনার লিরিক। হুট করে সে লেখালেখি ছেড়ে দিল। তদন্ত করে দেখা গেল সাংসারিক সুখ এর কারণে তার এই অবনতি!
সুমন ভাই মিঃ কুল! সাব্বিরের মত কোন ফাঁকে যেন গিটার বাজানোটা শিখে ফেল্লো।
ইশতিয়াক রসের হাঁড়ি। কিন্তু তার লিরিকজুড়ে শুধুই হাহাকার। জন্মদিনের উৎসর্গের গানেও চিকন হাহাকার!
ফাইজুসের ব্যাকগ্রাউন্ডটা একটু অন্যরকম। সে ভার্সিটিতে ঢুকেই একটা মিউজিকাল ক্লাবে যোগ দিল। ১/১ এ থাকাকালীন কনসার্টে গান করল। যদিও তখনো ওর সাথে পরিচয় হয়নাই কিন্তু আমরা কঠিন ভাব নিয়ে বলতে লাগলাম এই ছেলেটা আমাদের দোস্ত!
এই আমাদের মোটামুটি বছর দুয়েক আগ পর্যন্ত অবস্থা। এখন অবস্থার যে বিশেষ উন্নতি হয়েছে তা বলা যাবেনা। তবে আমরা এয়ার গিটারের পাশাপাশি টুকটাক অ্যাকুস্টিক গিটার বাজাতে পারি। এই বিদ্যার ওপর ভর করে আর মিউজিকের প্রতি ভীষণ রকম ভালোবাসা পুঁজি করে আমরা একটা মিউজিক্যাল গ্রুপ দাঁড় করিয়েছি। নাম ‘অনিকেত অভিমন্যু’। নিজেদের গান অ্যাকুস্টিক গিটারে বাজিয়ে মোবাইলে রেকর্ড করে আমরা নেটে শেয়ার করি মাঝেমাঝে। ফেসবুকে আমাদের একটা পেইজ আছে। ওখানেই গানগুলো শেয়ার দেয়া হয়।
আমাদের ফেসবুক পেইজ
'ভালো ছেলেটির গল্প' নামে আমাদের একটা গান আমার গত পোস্টে দিয়েছিলাম। এখানে আরেকটি গানের লিংক দিচ্ছি। গানের নাম ‘স্মৃতি ও স্বপ্ন’। শুনে দেখার আমন্ত্রণ থাকলো!
স্মৃতি ও স্বপ্ন
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০১২ দুপুর ১:৫৮