হাস্যোজ্জল কামরুন্নাহার আপার দম্পতি। সুখি দম্পতিই বটে। পরস্পরের মাঝে যথেষ্ট মিল। এমন সুখি দম্পতি হাজারে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কামরুন্নাহার আপার স্বামীও অসম্ভব ভালো লোক। মুহুর্তেই মানুষকে আপন করে নিতে পারে। এমন লোক সচারচর খুব কমই চোখে পড়ে।
ছবি-০২
বাড়ির পুরো ছাদ জুড়েই বাগান। বিশাল এই ছাদবাগান দেখলেই বোঝা যায় সুখি দম্পতির নমুনা। এত বড় বাগান কারো একার পক্ষে পরিচর্যা করা সম্ভব নয়। উভয়েই এই বাগানের পরিচর্যা করেন। শুধু তাই নয় দেশি ফুল গাছের পাশাপাশি অনেক বিদেশি ফুলের গাছও সংগ্রহ করেছেন, যা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
ছবি-০৩
ছাদ বাগানের বারবি কিউ কর্নারে আড্ডারত ব্লগারগণ।
অনেক দিন পর কয়েকজন ব্লগার তার বাসায় উপস্থিত হয়েছিলাম। উপলক্ষ্য কিছু না। নাইজেরিয়া থেকে স্বামী সন্তানসহ ব্লগার ফেরদৌসা এসেছে তার উপস্থিতিকে উপলক্ষ্য করেই এই আয়োজন। আগেও আমরা এরকম আয়োজনে মিলিত হতাম। তবে কারো বাসায় নয় কোন পার্কে বা পিকনিকের আড্ডায়। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকের আয়োজনটা ছিল ভিন্ন রকমের।
ব্লগ লেখক ফেরদৌসা, ফটো ব্লগার সাদা মনের মানুষ (কামাল ভাই), ছড়াকার প্রামানিক, কবি আলভী ভাই, বাউল কবি মেজদা, চিন্তাশীল লেখক রব্বানী ভাই, ব্লগার ওয়াসিম, কবি যুথি, গল্পকার হামিদ ভাইসহ সকল তারাদের আজ একত্র করেছিলেন আমাদের কামরুন্নাহার নাহার আপা।
ছবি-০৪
খাবারের আয়োজনও কম ছিল না। বীথি আপার নিজ হাতের রান্না। খুবই মজাদার। সরষে বাটা ইলিশ মাছের ভুনা অসম্ভব স্বাদ হয়েছিল। আমরা তাকে ফুলের রানী হিসাবেই জানি কিন্তু তিনি যে ভালো রাঁধুনি এটা জানা ছিল না।
ভুরি ভোজনের পাশাপাশি ছাদ বাগানে আড্ডাটা সবাইকে মুখরিত করেছিল। আনন্দে সবাই আত্মহারা হয়েছিলাম। আড্ডা তো অনেক দিয়ে থাকি কিন্তু সমমনা লোকজন সবসময় পাওয়া যায় না। কামরুন্নাহার আপার বাসায় সমমনা কয়েকজন ব্লগার একত্রিত হতে পেরে জীবনের দুঃখ, বেদনা, কষ্ট মহুর্তেই ভুলে গিয়েছিলাম। বাকি জীবনে এমন আনন্দময় পরিবেশে এই কয়জন আবার একত্রিত হতে পারবো কিনা জানি না। তবে ৫ই আগস্ট ২০১৭সালের এই দিনের স্মৃতিগুলো সারা জীবন স্মৃতিময় হয়ে থাকবে।
ছবি-০৫
ব্লগার সাদা মনের মানুষ (কামাল ভাই) সেই নরসিংদী থেকে এসেছেন। সাথে দুই এক কেজি নয় এক মণ লটকন নিয়ে এসেছেন। জীবনে অনেক লটকন খেয়েছি কিন্তু কামাল ভাইয়ের নিয়ে আসা লটকনের মত এত মিষ্টি স্বাদ কখনও পাইনি। লটকনের এমন স্বাদ হওয়ায় সবাই খামচা খামচা খেয়েছে।
ছবি-০৬
মাঝে বসা ব্লগার আলভি ভাই এসেছেন যশোর থেকে। এর আগে ফোনে অনেক কথা হয়েছে কিন্তু সরাসরি কখনও দেখা হয়নি। এবার সরাসরি দেখা করার পর পরস্পরের আন্তরিকতা যেন তুঙ্গে উঠে গেল। ব্লগ শুধু লেখালেখির জায়গা নয় ব্লগের কারণে কত দূরের মানুষ যে কাছে চলে আসে তার নমুনা আলভি ভাই।
ছবি-০৭
এনারা সবাই ব্লগার। আগে প্রথম আলোতে ছিল এখন সামুর ব্লগার। পরিচয় নাইবা দিলাম।
ছবি-০৮
ক্যামেরা হাতে ব্লগার রব্বানী ভাই।
ছবি-০৯
ছাদ বাগানে সবাই ছবি তোলায় ব্যাস্ত।
ছবি-১০
বামে গল্প লেখক হামিদ ভাই, মাঝে বাউল কবি কোহিনুর ভাই, ডানে প্রবন্ধ লেখক রব্বানী ভাই।
ছবি-১১
হলুদ গেঞ্জি গায়ে কবি নীল সাধু ভাই জড়িয়ে ধরে আছে নাইজেরিয়া ফেরত ফেরদৌসার ছেলেকে, দূরে হাসি মুখে ব্লগার স্বপ্নের ফেরিওয়ালা।
ছবি-১২
উঁচু হয়ে বসে আছেন ফেরদৌসার স্বামী এবং সাথে আমরা কয়জন।
ছবি-১৩
অবশেষে মিষ্টি খেয়ে বিদায় নিলাম। মিস্টিগুলো কামরুন্নাহার আপার হাতের তৈরী এবং এর সাথে যোগ হয়েছিল কয়েকজন ব্লগার দম্পতির নিজ হাতের তৈরী মিষ্টি, মন্ডা আর পিঠা। দম্পতিরা কেউ খালি হাতে আসেন নাই। যে যা পেরেছেন বাসা থেকেই কিছু না কিছু তৈরী করে এনেছেন। রাঁধুনি হিসাবে কেউ কারো চেয়ে কম না। মিষ্টি, মন্ডা, পিঠা যেটাই খাই সেটা খেয়েই মুগ্ধ হয়ে যাই। এমন দিন হয়তো আর ফিরে পাবো না।
ছবি-১৪
কামরুন্নাহার আপার ছাদ বাগানের কিছু ফুলের ছবি।
ছবি-১৫
ছবি-১৬
ছবি-১৭
ছবি-১৮
ছবি-১৯
ছবি-২০
ছবি-২১
ছবি-২২
ছবি-২৩
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:২১