শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
শুক্রবারের জুমার নামায
দূরের গাঁয়ে গিয়ে
সাথে ছিল অনেক লোকজন
ছিল ভাস্তের বিয়ে।
পাড়া গাঁয়ের মসজিদ বটে
ভাঙা টিনের ঘর
দাঁড়িয়ে গেলাম বালু মাখানো
ছিঁড়া ছালার পর।
পাশেই ছিল এক নামাযি
খুবই গরীব লোক
জামা, লুঙ্গি সবই ছিঁড়া--
আটকে গেল চোখ।
উঠছে বসছে নামায পড়ছে
মাথায় ছিল না টুপি
খোতবা পড়তে হুজুর মশাই
দেখছেন চুপি চুপি।
খোতবা শেষে বলল কেসে,
“কি গো আসান ভাই?
জুম্মার দিনেও নামাজেতে
সুন্নত মাথায় নাই।”
“আজকেও দেখি নামাজ পড়তে
এলেন টুপি ছাড়া?”,
টুপির জন্য হুজুর মশাই
দিচ্ছেন তাকে তাড়া।
কথা শুনে গরীব লোকটি
পেল ভীষণ শরম
তারপরেতেও হুজুর মশাই
বলছে কথা গরম।
হুজুর মশাইর ভাবটা দেখে
বললাম বিনয় করে,
“টুপি বড় না নামায বড়?"
পড়লেন হুজুর ঘোরে।
মুসুল্লিরা আমার কথার
জাবাব চাইল যখন
বিপদ দেখে হাদীস দ্বারা
বুঝায় হুজুর তখন।
হাদীস শুনে বললাম তারে,
“কোনটা হেথায় বড়”?
হুজুর মশাই উল্টাপাল্টা
বুঝালো তারপরো।
“টুপি ছাড়া নামায হবে না
হাদীস কি তাই বলে”?
প্রশ্ন শুনে হুজুর মশাই
আরো দ্বিগুণ জ্বলে।
আবার বললাম, “রোজ হাশরে
কোনটার জবাব আগে”?
হুজুর তখন নাময পড়তে
দাঁড়িয়ে গেলেন রাগে।
বুঝতে পেলাম হুজুর মশাই
মোটেই মক্তব পাস
ফরজ, সুন্নত গোল পাকিয়ে
দেয় ইসলামের বাঁশ।
এমন অনেক হুজুর আছেন
অল্প কিছু জানে
ফরজটাকে হালকা করে
সুন্নত ধরে টানে।
(ছড়াটি সংক্ষিপ্ত)
ছবি ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৭