ভেঙ্গে দ হয়ে যাওয়া হাঁটুর বিলাপ শুনে
সবুজের ধূমায়িত চায়ের কাপ জমে বরফ
ঝালের বাড়িয়ে দেওয়া চালে নিরন্তর
আছড়ে পড়ছে আজ মেডিকেলের গোলচত্বর
পেরিয়ে আসা বিরহী বাতাস।
শিল্পকলার সন্ধ্যাগুলো ক্রমশ স্তব্ধতায় বিমূঢ়
বোসের আবাস ছেড়ে সেই কবে
উড়ে গেছে বনেদি আড্ডার ঘ্রাণ।
চেরাগী অধীর অপেক্ষায়
উপস্থিতির সপ্রাণ অনুষঙ্গ
মুখর করে তুলবে নিদাঘ দুপুর
কোনো বিদূষী সন্ধ্যার রূপ।
কে আজ আপন করে টানছে তবে
নাফাখুম, বগালেক
সৈকতের দিঘল বালিয়াড়ি, মেঘনার জল
ঠেগামুখ, ঘাঘড়া নাকি
পাহাড়ের চুেড়ায় সাজেক?
এতোসব বৃত্তান্ত ছেড়ে হাঁটুর বিরহে
সরল রেখার মতো নির্বিকার শুয়ে থাকা
কবিকে কি মানায় হাসপাতালের বিছানায়।
কবির ভ্রমণ কী পায়ের সামর্থ্যে আটকায়?
দুর্বৃত্তের আক্রোশে আক্রান্ত পা
তোমার শুশ্রƒষায়
অনন্ত অসীম ভালবাসা ছাড়া
প্রার্থনার আর কোন মন্ত্র জানা নাই।