পাতা ঝরার শব্দে
হঠাৎ ছলকে উঠলো হৃৎপিণ্ড যখন
কে যেন বলে ছিলো রিক্তের বেদন
বোঝেনি ফাগুন মাস।
প্রারম্ভিক তিরিশে এ যখন দেহমন
পঞ্চইন্দ্রিয়ের তারে বাঁধা সুর
খেলে যায় হাওয়ায় হাওয়ায়
নিরন্তর নির্ধারিত ঠাণ্ডা এসে লাগে
তারই পরশে ফিরে আসে স্পর্শের স্বাদ
বিপদ বিসম্বাদও বটে
বায়ুমণ্ডলের জ্ঞান ওসব বহন করে।
চাকা কোন ধোপানীর যাদুমন্ত্র নয়
তারও চেয়ে অধিক বিস্ময়
বিধৌতকরণের পরেও ধুয়ে যাওয়া
দাগ থাকে লেগে।
এ যেন চক্রের সারি জীবন ও মরণ বিথারি
শব্দ-সম্ভবের কাছে ঘূর্ণায়মান ফিরে আসা।
পত্র পতনের মর্মরে সৃষ্ট অস্থায়ী কম্পন শেষে
দক্ষিণের উন্মুক্ত দরোজা সম্মুখের নন্দন কানন
ইচেছ করে খুব ইচেছ করে পাতা ঝরুক
চাই নতুন গজাক
ধুয়ে যাওয়া দাগ ছুঁয়ে থাকি
তোমাদের ঐসব জারিজুরি
ফেলে ঐ সকল চালাকী।