(বাড়িওলা নানার কাছে শোনা গল্প)
জওহরলাল নেহেরু হঠাৎ করেই দেশে বিদেশী ব্লেড আমদানি বন্ধ করে দিলেন। দেশে কোন ছাত্র রাজনীতি নাই। অথচ এই ইস্যুতে সব ছাত্র একাট্টা হলো। নেহেরুর কাছে আবেদন করা হলো বিদেশী ব্লেডের জন্য। দেশী ব্লেড দিয়ে নাকি দাড়ি কাটা যায় না। নেহেরু জবাবে বললেন দাড়ি যদি কাটতেই হয় তবে দেশী ব্লেডে কাটো নইলে দাড়ি রেখে দাও। কিন্তু দেশী ব্লেড মোটা , ধার কম , দাড়ি কাটতে গেলে গাল কেটে রক্তারক্তি হয়। ওদিকে দেশের সব ব্লেড কারখানার মালিক কে ডাকলেন নেহেরু। সবাই কে নির্দেশ দিলেন, যেমনে হোক ভালো মানের ব্লেড বানাও। পাবলিক যা চায় তাই দাও। কয়েকমাস কি বছর খানেক উসখুস চললো। তারপর সব ঠিক। বাচলো দেশের টাকা। বাঁচলো দেশের শ্রমিক সর্বোপরি দেশীয় একটি শিল্প।
বাংলাদেশে বলাকা নামের একটা ব্লেড ছিলো । একটাকা দাম। এতো কম দামের ব্লেড মনে হয় আর একটাও নাই। এখন সেই ব্লেড আছে কিনা আমার জানা নাই। তবে যেগুলা আছে সেগুলার সবগুলাই মনে হয় বিদেশী, বিশেষ করে ইন্ডিয়ান।
এরকম কতশত শিল্প যে হারিয়ে গেছে আমাদের দেশ থেকে তার কোন হিসাব নাই।অতি সম্প্রতি সুতা এবং দুধ শিল্প (ধংস হবার পথে)। ক্ষতি হয়েছে দেশীয় শিল্পের। সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের।
প্রশ্ন হলো দেশীয় শিল্পের ধংসের পিছনে দায়ী কারা। দেশের হাজার হাজার শ্রমিকের দুর্ভোগের জন্য দায়ী কারা। বুদ্ধিহীন নেতারা, বুদ্ধি ঠিকই আছে কিন্তু অর্থলোভী নেতারা নাকি অন্য কেউ?
যেই দায়ী হোক না কেন তাদের কাছে আমাদের একটাই দাবী দেশী শিল্প রক্ষা করুন , দেশের শ্রমিক বাঁচান।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩১