নিজের ভেতরে তোমার মুখচ্ছবি দেখতে পেয়ে
খুব অস্থির হয়ে উঠেছিলো
জল
ডানার জন্য প্রাণপণ ছটফট করছিলো;
শেষে, রোদ আর উত্তাপ পাঠালো
সূর্য
আনন্দে উড়ে উঠলো সে, ভাসতে লাগলো শূন্যে
আর নিজের ভারে নিজেই গলে গলে পড়লো
নিচে
জলই প্রথম জেনেছিলো: মিলনে যত শর্তই থাকুক,
প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দিতে পারে না
নৈকট্য
তোমার মুখচ্ছবির ছাপমোহর, সমুদ্র ছাড়া
অন্যকোনও জলদর্পণে, খুঁজে পাচ্ছি না কেন
ঈশ্বর?
।। ২।।
জীবন্ত সব পাথর। আমাদের জন্য পীঠ দিয়েছিলো__
বিছানা, বিশ্রাম। ক্ষুৎপিপাসাহীন স্বস্তির ভেতর
জেগে উঠলাম আমরা; দেখলাম
নতুন ভূনিসর্গ, আসমান নতুন
ব্রহ্মসিংহাসনে যিনি, গমগমে কণ্ঠ,
বললেন: ‘দেখো,
সব কিছুই নতুন করে ফেলেছি’!
অতঃপর পাথরগুলোকে মৃত্যু আর
ভূগর্ভ ফুঁড়ে উঠে অাসা হাড়গুলোকে
জীবন দান করলেন; আনন্দ ও অহংকারের
নৈঃসঙ্গ্যের ভেতর, তাঁকে ফেলে রেখে,
আমরা হাঁটতে লাগলাম অনস্তিত্বের দিকে
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪