১৯৬০ সাল পর্যন্ত মহিলাদের প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সমাধান কি ছিল জানেন ? যাকে প্রেগন্যান্ট সন্দেহ করা হত তার প্রস্রাব আফ্রিকান এক প্রকার নখরযুক্ত ব্যাঙয়ের (African clawed frog) শরীরে প্রবেশ করানো হোত । যদি পরবর্তী ৮-১২ ঘন্টার মধ্যে ব্যাঙটি ডিম পাড়ত তাহলে মহিলাটি প্রেগন্যান্ট । শুধু তাই না, পরীক্ষাটি শতকরা ৯৭-৯৮ ভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক তথ্য দিত । বিশ্বাস হচ্ছে না, তাই না ? তাহলে ভিজিট করে আসুন এই সাইটটি থেকে - Click This Link ; এখন বিশ্বাস হয়েছে ?
যদি বিশ্বাস হয় তাহলে আরেকটি তথ্য দেই । শুধু প্রেগন্যান্ট কিনা, তা না । ছেলে হবে না মেয়ে হবে তাও আগেকার মানুষেরা পরীক্ষা করে বের করে ফেলত, তাও কত আগে জানেন ? যীশু খৃষ্টের জন্মেরও ১৩৫০ বছর আগে ! যার পরীক্ষা করা হোত তার প্রস্রাব নিয়ে গম আর বার্লির ওপর ছিটিয়ে দেয়া হোত । যদি গম থেকে চারা ফুটে বেরুতো তাহলে মেয়ে সন্তান হবে আর যদি বার্লি থেকে চারা ফুটে বেরুতো তাহলে ছেলে সন্তান হবে ।
আরও অবাক করা ব্যপার হচ্ছে ১৯৬০ সালে ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অব হেলথ্ গবেষণা করে দেখেছে পরীক্ষাটি আসলেই কার্যকর এবং বিজ্ঞান সম্মত । কি ? এটাও বিশ্বাস হচ্ছে না ? তাহলে ঘুরে আসুন - Click This Link সাইটটি থেকে ।
আমি বলি কি, এখন তো প্রেগন্যান্সি টেষ্টের অনেক ধরণের ষ্ট্রিপ বাজারে পাওয়া যায় আর ওগুলো খুব একটা দামি তাও না । তো ঐ ষ্ট্রিপ দিয়ে স্ত্রীর প্রেগন্যান্সি টেষ্ট টা সহজেই করে ফেলা যায় । তবে ছেলে হবে না মেয়ে হবে এটা জানার জন্য এত টাকা খরচ করে আলট্রাসনো করার কি কোন দরকার আছে ? আর অযথা আলট্রাসনো করানোও নাকি ঠিক না । সুতরাং বাসায় কিছু গম আর বার্লি কিনে নিয়ে আসলেই হয় !!
আর সাথে সাথে এও বলে দিচ্ছি, আমি কিন্তু কম কষ্ট করে ডাটাগুলো যোগাড় করি নি, তার ওপর আলট্রাসনোর খরচটাও বাঁচিয়ে দিলাম । সন্তান হলে আমার ভাগ্যে এক আধটু মিষ্টি যাতে জুটে, মনে রাখবেন ।
হাঁটি হাঁটি পা পা, যেখানে খুশী সেখানে যা
আপনাকে যদি হেঁটে হেঁটে সমস্ত পৃথিবীটা একটা চক্কর দিয়ে আসতে বলা হয়, তাহলে পারবেন? যদি বলেন পারবেন না, তাহলে শুনে রাখেন, পারবেন। তা ও, একবার বা দুইবার না, তিন তিন বার! গবেষণায় দেখা গেছে, একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ তার জীবদ্দশায় যতটুকু হাঁটেন তাতে সমস্ত পৃথিবী তিন বার চক্কর দেয়ার সমান হয়ে যায়।
তবে কিছু মানুষ আছেন যারা এই সুস্থ স্বাভাবিক মানুষগুলোর চেয়ে আরও কয়েক পা এগিয়ে থাকতে চান। এদেরই একজন জর্জ মিগান(George Meegan) (https://en.wikipedia.org/wiki/George_Meegan), লম্বা হাটায় বিশ্ব রেকর্ড রয়েছে ইনার। ১৯৫২ সালের ২রা ডিসেম্বর জন্ম নেয়া ব্রিটিশ এই ভদ্র লোক ছিলেন একজন মেরিনার। ১৯৭৬ সালে চাকরী ছেড়ে দিয়ে তিনি ১৯৭৭ সালে শুরু করেন তার সেই বিশ্বখ্যাত হাঁটা, যা শেষ হয় ১৯৮৩ সালে। এটা দীর্ঘতম অবিরাম হাটার রেকর্ড হিসাবে গিনেস্ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস্ এ সংরক্ষিত। দীর্ঘ ২,৪২৫ দিন হেঁটে তিনি অতিক্রম করেন মোট ৩০,৬০৮ কিলোমিটার।
মজার ব্যপার হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকা হতে উত্তর আমেরিকা পর্যন্ত এ দীর্ঘ ছয় বছরের পদযাত্রায় তিনি –
১। কদম ফেলেছেন মোট ৪ কোটি ১০ লক্ষ বার
২। জুতো ছিঁড়েছেন মোট সাড়ে তের জোড়া
৩। তার জাপানী প্রেমিকাকে বিয়ে করেন
৪। এ যাত্রায় তিনি ঐতিহাসিক দূর্গম ডারিয়েন গ্যাপ (Darien Gap) (Click This Link) অতিক্রম করেন, যেখানে তাকে উদ্দেশ্য করে একবার গুলি ছোঁড়া হয়, আরেকবার ভাগ্যক্রমে সন্ত্রাসীদের ছোরার আঘাত থেকে বেঁচে যান।
৫। এ যাত্রায় তিনি তৎকালীন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের বাসাও ঘুরে আসেন
৬। যাত্রা শেষে তিনি লাভ করেন গিনেস্ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস্ এ তার নাম, সুন্দরী জাপানী স্ত্রী আর তার গর্ভে দুইটি ফুটফুটে ছেলে মেয়ে।
হ্যান্ডশেক ভালো? নাকি চুমু ভালো?
চুমু খাওয়ার চেয়ে নাকি হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায় বেশী, জানেন নাকি এটা? আর না জেনে থাকলেও সমস্যা নেই, এখনতো জানলেন।
তবে বলে রাখি, এই তথ্যের আবার অপব্যবহার করবেন না যেন। বুঝতে পেরেছেনতো আমি কি বলতে চেয়েছি?
না বুঝলেও সমস্যা নেই, মাইরের মধ্যে নাকি কি কি ভিটামিন আছে?
মস্তিষ্কের খেলা
মানুষের মস্তিষ্ক নাকি সেকেন্ডে এক কোটি দশ লাখ বিট তথ্য গ্রহণ করতে পারে, তবে আইডেন্টিফাই করতে পারে মাত্র চল্লিশটি।
আপনাদের মস্তিষ্ক এরকম নাকি? আমারটা কিন্তু এরকম না, আমার মস্তিষকের তথ্য গ্রহণের হিসাব সেকেন্ড না, বরং ঘন্টা হিসাবে বের করতে হবে।
আপনি কি পোকা খান?
আচ্ছা আপনি কি পোকা খান? খান না? তবে জেনে রাখুন, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বে প্রতিটা মানুষ তার জীবনে প্রতি বছরে গড়ে ৪৩০ টি পোকা খেয়ে ফেলে, তাও ভুল বশতঃ।
ছ্যা ছ্যা। আমি বাবা ওসব খাই না, মানে এখন থেকে খাবার দাবার পরীক্ষা করে খাব আরকি।
মানুষ নামের মহাশয়
এই পৃথিবী তার ধরণীতে যতগুলো মানুষ নিয়ে সূর্যের চারপাশে ঘুরে বেড়ায় তার চেয়ে বেশী সংখ্যক জীবাণু নাকি আমাদের শরীরে নিয়ে আমরা ঘুরে বেড়াই!
পৃথিবীর আসলে অনেক কিছুই শেখার আছে আমাদের কাছ থেকে।
দেঁতো বাবা !!
গড়ে প্রতি ২০০০(দুই হাজার) শিশুর মধ্যে একজন শিশু নাকি জন্মের সময় দাঁত নিয়ে জন্মায়।
দাঁতের তো অনেক নাম আছে, যেমন- দুধ দাঁত, আক্কেল দাঁত ইত্যাদি। এই দাঁতের নাম কি হবে? পেঁটু দাঁত?
লালা লা লা
মরফিন একটি শক্তিশালী বেদনানাশক। এর চেয়েও ০৬(ছয়) গুণ বেশী শক্তিশালী বেদনানাশক আছে আমাদের লালায়, এর নাম অপিওরফিন (opiorphin)।
দে দে, লাফ দে
আপনার পোষা প্রাণিটি যখন তার গা চুলকায় বা গা ঝাঁকা দেয় তখন তার গায়ের কীট বা জীবাণুগুলো খুব দ্রুত গতিতে তার গা থেকে লাফ দেয়। এই কীট বা জীবাণূগুলোর এই গতির ত্বরণ (প্রতি সেকেন্ডে গতি বৃদ্ধির হার) কেমন জানেন? -মহাকাশগামী স্পেস শাটল্ বা রকেট যে ত্বরণে ভূপৃষ্ট হতে লাফ দেয় তার চাইতে ২০(বিশ) গুণ বেশী!
পালুন এবার বিড়াল, কুকুর, সাথে আরও কত কি !!
সবশেষে একটি হাদীস
চলবে-
এই সিরিজের অন্যান্য পোষ্টগুলিঃ
১। কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-১
২।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-২
৩।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৩
৪।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৪
৫।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৫
৬।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৬
৭।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৭
৮।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৮
৯।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৯
১১।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-১১
১২।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-১২
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩