somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-১০

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ব্যাঙ দিয়ে প্রেগন্যান্সি টেষ্ট?


১৯৬০ সাল পর্যন্ত মহিলাদের প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সমাধান কি ছিল জানেন ? যাকে প্রেগন্যান্ট সন্দেহ করা হত তার প্রস্রাব আফ্রিকান এক প্রকার নখরযুক্ত ব্যাঙয়ের (African clawed frog) শরীরে প্রবেশ করানো হোত । যদি পরবর্তী ৮-১২ ঘন্টার মধ্যে ব্যাঙটি ডিম পাড়ত তাহলে মহিলাটি প্রেগন্যান্ট । শুধু তাই না, পরীক্ষাটি শতকরা ৯৭-৯৮ ভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক তথ্য দিত । বিশ্বাস হচ্ছে না, তাই না ? তাহলে ভিজিট করে আসুন এই সাইটটি থেকে - Click This Link ; এখন বিশ্বাস হয়েছে ?
যদি বিশ্বাস হয় তাহলে আরেকটি তথ্য দেই । শুধু প্রেগন্যান্ট কিনা, তা না । ছেলে হবে না মেয়ে হবে তাও আগেকার মানুষেরা পরীক্ষা করে বের করে ফেলত, তাও কত আগে জানেন ? যীশু খৃষ্টের জন্মেরও ১৩৫০ বছর আগে ! যার পরীক্ষা করা হোত তার প্রস্রাব নিয়ে গম আর বার্লির ওপর ছিটিয়ে দেয়া হোত । যদি গম থেকে চারা ফুটে বেরুতো তাহলে মেয়ে সন্তান হবে আর যদি বার্লি থেকে চারা ফুটে বেরুতো তাহলে ছেলে সন্তান হবে ।
আরও অবাক করা ব্যপার হচ্ছে ১৯৬০ সালে ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অব হেলথ্‌ গবেষণা করে দেখেছে পরীক্ষাটি আসলেই কার্যকর এবং বিজ্ঞান সম্মত । কি ? এটাও বিশ্বাস হচ্ছে না ? তাহলে ঘুরে আসুন - Click This Link সাইটটি থেকে ।
আমি বলি কি, এখন তো প্রেগন্যান্সি টেষ্টের অনেক ধরণের ষ্ট্রিপ বাজারে পাওয়া যায় আর ওগুলো খুব একটা দামি তাও না । তো ঐ ষ্ট্রিপ দিয়ে স্ত্রীর প্রেগন্যান্সি টেষ্ট টা সহজেই করে ফেলা যায় । তবে ছেলে হবে না মেয়ে হবে এটা জানার জন্য এত টাকা খরচ করে আলট্রাসনো করার কি কোন দরকার আছে ? আর অযথা আলট্রাসনো করানোও নাকি ঠিক না । সুতরাং বাসায় কিছু গম আর বার্লি কিনে নিয়ে আসলেই হয় !!
আর সাথে সাথে এও বলে দিচ্ছি, আমি কিন্তু কম কষ্ট করে ডাটাগুলো যোগাড় করি নি, তার ওপর আলট্রাসনোর খরচটাও বাঁচিয়ে দিলাম । সন্তান হলে আমার ভাগ্যে এক আধটু মিষ্টি যাতে জুটে, মনে রাখবেন ।



হাঁটি হাঁটি পা পা, যেখানে খুশী সেখানে যা
আপনাকে যদি হেঁটে হেঁটে সমস্ত পৃথিবীটা একটা চক্কর দিয়ে আসতে বলা হয়, তাহলে পারবেন? যদি বলেন পারবেন না, তাহলে শুনে রাখেন, পারবেন। তা ও, একবার বা দুইবার না, তিন তিন বার! গবেষণায় দেখা গেছে, একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ তার জীবদ্দশায় যতটুকু হাঁটেন তাতে সমস্ত পৃথিবী তিন বার চক্কর দেয়ার সমান হয়ে যায়।

তবে কিছু মানুষ আছেন যারা এই সুস্থ স্বাভাবিক মানুষগুলোর চেয়ে আরও কয়েক পা এগিয়ে থাকতে চান। এদেরই একজন জর্জ মিগান(George Meegan) (https://en.wikipedia.org/wiki/George_Meegan), লম্বা হাটায় বিশ্ব রেকর্ড রয়েছে ইনার। ১৯৫২ সালের ২রা ডিসেম্বর জন্ম নেয়া ব্রিটিশ এই ভদ্র লোক ছিলেন একজন মেরিনার। ১৯৭৬ সালে চাকরী ছেড়ে দিয়ে তিনি ১৯৭৭ সালে শুরু করেন তার সেই বিশ্বখ্যাত হাঁটা, যা শেষ হয় ১৯৮৩ সালে। এটা দীর্ঘতম অবিরাম হাটার রেকর্ড হিসাবে গিনেস্‌ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস্‌ এ সংরক্ষিত। দীর্ঘ ২,৪২৫ দিন হেঁটে তিনি অতিক্রম করেন মোট ৩০,৬০৮ কিলোমিটার।


মজার ব্যপার হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকা হতে উত্তর আমেরিকা পর্যন্ত এ দীর্ঘ ছয় বছরের পদযাত্রায় তিনি –
১। কদম ফেলেছেন মোট ৪ কোটি ১০ লক্ষ বার
২। জুতো ছিঁড়েছেন মোট সাড়ে তের জোড়া
৩। তার জাপানী প্রেমিকাকে বিয়ে করেন
৪। এ যাত্রায় তিনি ঐতিহাসিক দূর্গম ডারিয়েন গ্যাপ (Darien Gap) (Click This Link) অতিক্রম করেন, যেখানে তাকে উদ্দেশ্য করে একবার গুলি ছোঁড়া হয়, আরেকবার ভাগ্যক্রমে সন্ত্রাসীদের ছোরার আঘাত থেকে বেঁচে যান।
৫। এ যাত্রায় তিনি তৎকালীন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের বাসাও ঘুরে আসেন
৬। যাত্রা শেষে তিনি লাভ করেন গিনেস্‌ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস্‌ এ তার নাম, সুন্দরী জাপানী স্ত্রী আর তার গর্ভে দুইটি ফুটফুটে ছেলে মেয়ে।



হ্যান্ডশেক ভালো? নাকি চুমু ভালো?
চুমু খাওয়ার চেয়ে নাকি হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায় বেশী, জানেন নাকি এটা? আর না জেনে থাকলেও সমস্যা নেই, এখনতো জানলেন।
তবে বলে রাখি, এই তথ্যের আবার অপব্যবহার করবেন না যেন। বুঝতে পেরেছেনতো আমি কি বলতে চেয়েছি?
না বুঝলেও সমস্যা নেই, মাইরের মধ্যে নাকি কি কি ভিটামিন আছে?



মস্তিষ্কের খেলা
মানুষের মস্তিষ্ক নাকি সেকেন্ডে এক কোটি দশ লাখ বিট তথ্য গ্রহণ করতে পারে, তবে আইডেন্টিফাই করতে পারে মাত্র চল্লিশটি।
আপনাদের মস্তিষ্ক এরকম নাকি? আমারটা কিন্তু এরকম না, আমার মস্তিষকের তথ্য গ্রহণের হিসাব সেকেন্ড না, বরং ঘন্টা হিসাবে বের করতে হবে।



আপনি কি পোকা খান?
আচ্ছা আপনি কি পোকা খান? খান না? তবে জেনে রাখুন, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বে প্রতিটা মানুষ তার জীবনে প্রতি বছরে গড়ে ৪৩০ টি পোকা খেয়ে ফেলে, তাও ভুল বশতঃ।
ছ্যা ছ্যা। আমি বাবা ওসব খাই না, মানে এখন থেকে খাবার দাবার পরীক্ষা করে খাব আরকি।



মানুষ নামের মহাশয়
এই পৃথিবী তার ধরণীতে যতগুলো মানুষ নিয়ে সূর্যের চারপাশে ঘুরে বেড়ায় তার চেয়ে বেশী সংখ্যক জীবাণু নাকি আমাদের শরীরে নিয়ে আমরা ঘুরে বেড়াই!
পৃথিবীর আসলে অনেক কিছুই শেখার আছে আমাদের কাছ থেকে।



দেঁতো বাবা !!
গড়ে প্রতি ২০০০(দুই হাজার) শিশুর মধ্যে একজন শিশু নাকি জন্মের সময় দাঁত নিয়ে জন্মায়।
দাঁতের তো অনেক নাম আছে, যেমন- দুধ দাঁত, আক্কেল দাঁত ইত্যাদি। এই দাঁতের নাম কি হবে? পেঁটু দাঁত?



লালা লা লা
মরফিন একটি শক্তিশালী বেদনানাশক। এর চেয়েও ০৬(ছয়) গুণ বেশী শক্তিশালী বেদনানাশক আছে আমাদের লালায়, এর নাম অপিওরফিন (opiorphin)।



দে দে, লাফ দে
আপনার পোষা প্রাণিটি যখন তার গা চুলকায় বা গা ঝাঁকা দেয় তখন তার গায়ের কীট বা জীবাণুগুলো খুব দ্রুত গতিতে তার গা থেকে লাফ দেয়। এই কীট বা জীবাণূগুলোর এই গতির ত্বরণ (প্রতি সেকেন্ডে গতি বৃদ্ধির হার) কেমন জানেন? -মহাকাশগামী স্পেস শাটল্‌ বা রকেট যে ত্বরণে ভূপৃষ্ট হতে লাফ দেয় তার চাইতে ২০(বিশ) গুণ বেশী!
পালুন এবার বিড়াল, কুকুর, সাথে আরও কত কি !!



সবশেষে একটি হাদীস



চলবে-

এই সিরিজের অন্যান্য পোষ্টগুলিঃ

১। কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-১
২।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-২
৩।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৩
৪।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৪
৫।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৫
৬।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৬
৭।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৭
৮।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৮
৯।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-৯
১১।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-১১
১২।কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন-১২
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×