এক.
প্রচন্ড গরম।দরদর করে ঘামতেছি বাসের মধ্যে।এর মধ্যে দেখি এক আপু অ্যাপ্রন পরে গ্যাট হয়ে বসে আছেন।
বলি আপুরে,ও আপু,আপনার কি গরম লাগেনা? অ্যাপ্রনের কি মাজেজা রে! সব গরম শুইষ্যা নেয়।
ঢাকা শহরের প্রায় সব জায়গাতেই এখন অ্যাপ্রনের দৌরাত্ন। নীলক্ষেতে গেছি বই কিনতে। আপুরাও এসেছেন। বেশিরভাগই অ্যাপ্রন পরা। এই ঠাডাপড়া গরমে তাহারা কিভাবে অ্যপ্রন পিন্দে থাকেন তা ঝাতি জানতে চায়। এক আপুও আইছেন। অ্যাপ্রন পরা।(আমি যেখানে যাই,আপুরাও সেখানে যায় নাকি আপুরা যেখানে যায় আমি সেখানে যাই। ব্যাপারটা বড়ই জটিল।
মেডিকেলের আপুরা না হয় অ্যাপ্রন পইরা আরামসে ঘুইরা বেড়ায়। ইন্জিনিয়ার আপুদের ও তো এইরম ইচ্ছা থাকতেই পারে। উহাদের কি হইপে? উহাদের তো অ্যাপ্রন নাই।শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তেব্র গলায় আবেদন জানাচ্ছি।
দুই.
সন্ধ্যায় ওয়ার্ড চলতেছে। পড়াচ্ছেন সোহেল স্যার। টপিকঃ আলসার। আলসারের এক প্যাশেন্ট কে আনা হল।দেখানো হবে কি করে আলসার এক্সামিন করতে হয়। মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট কে স্যার গ্লাভস দিতে বললেন।
গ্লাভস পরতে পরতে আমাদের দিকে তাকায়ে বললেন,"বুঝছো,৩০% ডাক্তারই জানেনা কি করে গ্লাভস সঠিকভাবে পরতে হয়।আমি তোমাদেরকে গ্লাভস পরার উপরেই আলাদা একটা ক্লাস নিব।"
-ঠিক আছে স্যার।(উৎসাহীরা আনন্দিত গলায়)
-ওহ্ হো,ডান হাতের গ্লাভস টা আমি বাম হাতে পরে ফেলেছি।
(বিঃদ্রঃ-স্যারের দিকে কোনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।ব্যাপারটা আসলেই দুর্ঘটনা ছিল ।স্যার অনেক ভাল পড়ান।)
তিন.
এটি একটি মোগল শের-
"গর্দিশে গরদূনে গরদ না রা দর্গ কর্দ
বর সরে আহলে তমীজা ওয়া নাকী সারা মর্দ কর্দ।"
(ললাটের এমনই লিখন যে সে শ্রেষ্ঠ জনকে মাটিতে মেশায়
যোগ্যদের মাথার উপর অযোগ্যদের বসায়।)
চার.
এটি চার বছর আগের লেখা।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২৭