সিটি ব্যাংকের বস গুলো আসলেই অসাধারন।
আউট বাউন্ডে থাকার কারনে আমি মূলত জাহিদ ভাইয়া আর ওয়াহিদ ভাইয়া এর সাথে কাজ করার সুযোগ হয়। আমাদের টিম লিডার ছিল রাফি ভাইয়া, পরে চেঞ্জ হয়ে মারুফ ভাইয়া হন। অমায়িক মানুষ, এত জ্বালাতাম বিরক্ত হলেও কিছু বলতো না।
Md. Jahidul Islam ভাইয়া আর Wahidul Haque Jackie ভাইয়া এর কাছে ছুটি চাইলেই পেয়েছিলাম।
আমাদের আবদার এর শেষ ছিল না। এটা করবো, সেটা করবো, রতনের চা খাব ব্লা ব্লা। তারা বিরক্ত হতই না প্রায়। মাঝে মাঝে তারাও আসত আমাদের সাথে চা খেতে।
আমি অন্য কোথাও চাকরি জন্য পরিক্ষা দিতে গেলে ভাইয়া দের কাছে বলেই যেতাম। তারাও বাধা দেয়নি। সম্ভবত এই কারনেই আমরাও চেষ্টা করতাম আমাদের সর্বোচ্চ টা দেয়ার। টিম বন্ডিং এত ভাল ছিল যে আমাদের একজন সহকর্মী না আসলে আমরা বেশি বেশি কল করে তা কভার করার চেষ্টা করতাম।
জাহিদ ভাইয়া আর ওয়াহিদ ভাইয়া আমাদের কাজের মাঝেই মাঝেই মাঝেই এসে আমাদের সাথে গল্প করত। আমরা এই সময়টা খুব হাসতাম। তারা সাধারন বিষয়ও এমন ভাবে উপস্থাপন করত না হেসে পারা যায় না। এই ৫ মিনিটে আমরা কাজের ক্লান্তি সব ভুলেই যেতাম।
Rezaul Kabir ভাইয়াকে ভাল লাগে ট্রেনিং এর সময় থেকে। ফার্স্ট ইম্প্রেশন হয়েছিল ট্রেনিং এর সময়।
Asha Afrin আপু একদিন তার বেবি অসুস্থ থাকায় ৩ টায় চলে যায়।
পরের দিন সকালে ট্রেনিং এ সাদিয়া আপু দেখেই রেজা ভাইর প্রথম প্রশ্ন ছিল "তুমি এখানে কেন?"
তোমার বেবী অসুস্থ, এই সময়ে তোমার তার কাছে থাকা দরকার আর তুমি অফিসে?
সাদিয়া আপু আমতা আমতা করে বলল, আম্মু আছে।
রেজা ভাই বলল থাকার কথা তোমার। যাই হোক আমি লাঞ্চ এর পরে যেন তোমাকে না দেখি।
এইদিনই রেজা ভাই এর প্রতি আমি ইম্প্রেসড। ধীরে ধীরে বুঝতে পারি এখানকার সব বস গুলোই হেল্পফুল এবং অসাধারন ।
হাসান ভাইয়া, রুবায়েত ভাইয়া, ফায়জুল ভাইয়া সবাই।
আমাদের কল সেন্টারের হেড ছিল ইয়াজদানী বস। আর পুরো এডিসি দেখতেন উজ্জ্বল বস।
কোন এক অজানা কারনে আমি ইয়াজদানী বসকে ভয় পেতাম। অথচ তিনি আমাকে কোনদিন ঝারি বা বকাঝকা করেননি।
তার মোটিভেশনাল স্পিচে আসলেই নিজেকে খুজে পাওয়া যেত।
আর উজ্জ্বল বস আমাদের উৎসাহ দিতেন খেলার প্রতি। তার অনুপ্রেরণা তে এখানে ক্রিকেট খেলার আয়োজন হয়েছিল,
হয়েছিল ২ বার ফুস বল (ফুটবল না) খেলার আয়োজন । আসার আগে কেরাম, ব্যাডমিন্টন আর দাবা খেলা আয়োজন হবে শুনেছিলাম ।
সিটি ব্যাংকে আয়োজনের অভাব ছিল না। এই জন্মদিন, তো আরেকদিন বর্ষপূর্তি । একবার তো স্টার সিনেপ্লেক্স বুক করে সিটি ব্যাংকের স্টাফদের ফ্রী টিকেট দেয়া হয়েছিল থ্রি ডি মুভি দেখার জন্য।
পহেলা বৈশাখ এর অনুষ্ঠান হত হেড অফিসে। জমকালো আয়োজন । কি ছিল না এখানে!
সিটি ম্যাক্স টিমে আমরা ১০ জন ছিলাম, পরে তা ৫ জন এ দারায়। Ovi Momen Ajmee, Ziaul Haque Uzzal, Taniya Tonu, Suriya Jafor, শাহরীন ইসলাম নিরু, Shanjida Rahman, Ireen Haque Ireen, Khadiza Chowdhury Antor এদের সাথে অনেক দিন এক সাথে ছিলাম।
আমাদের ডেস্ক চেঞ্জ হওয়ার পরে নিয়াজ ভাই দের কাছে এসে পরি। Neaze Rasel ভাই আর Samiha Shoma আপুর খুনসুটি আর সেই সাথে Fatema Faisal Ahmed আপুর আগুনে ঘি ঢালা ছিল রেগুলার ইস্যু ।
সিটি ব্যাংক ছেরে চলে এসেছি ঠিকই, কিন্তু এই মানুষ গুলোকে ভোলা যাবে না কোনদিনও।
মিস ইউ সিটি ব্যাংক।