@চুল বা লোম হচ্ছে ত্বকের বহিঃস্তরে অবস্থিত ফলিকল থেকে উৎপন্ন হওয়া চিকন লম্বা সুতার মত প্রোটিন তন্তু।
@চুলের প্রধান উপাদান হচ্ছে কেরাটিন। মানুষ ব্যতীত অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণির শরীরে যে নরম, সুন্দর চুল পাওয়া যায় তাকে "ফার" বা লোম বলে।
@ত্বকের উপরিতলের কোষ বা এপিডারমাল সেল থেকে চুলের উৎপত্তি। হেয়ার ফলিকল তৈরি হয় এপিডারমাল সেল থেকে। হেয়ার ফলিকনের একেবারে গভীরতম অংশ বা হেয়ার বাল্বের বিভাজনে তৈরি হয় নতুন নতুন কোষ। এই নবীন কোষগুলোতে বিশেষ ধরনের প্রোটিন জমতে থাকে, যা ত্বকের সাধারণ প্রোটিন থেকে কিছুটা আলাদা ও শক্ত।
@।একজন পূর্ন বয়স্ক মানুষের মাথায় প্রায় ১০০০০০ চুল থাকে।
@ মানুষের চুল প্রতিদিন ০.৫ মিমি ব্রদ্ধি পায়।
@ ২৪ ঘন্টায় মাথার চুল সমানভাবে বাড়েনা। রাতে চুল খুব ধীরে বারে। সকালে এর গতি বাড়তে থাকে। বেলা ১০ টা থেকে ১২ টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাড়ে। দুপুরের দিক এ চুল বাড়ার গতি কমতে থাকে,আবার বিকাল এর দিক আবার বারে এবং সন্ধ্যায় গতি কমতে থাকে।
@গরমকালে চুল সবচেয়ে দ্রুত বাড়ে এবং ঝরে।
@ দৈনিক কিছু চুল স্বাভাবিকভাবে পড়ে যায় এবং একইভাবে কিছু চুল গজায়। কিন্তু চুল পড়া ও চুল গজানোর হারের সমতা যখন থাকে না তখনই চুল পাতলা হতে শুরু করে।
@ দিনে প্রায় ১০০টার মত চুল পড়লে তা স্বাভাবিক। অনেক রকম ইনফেকশন, বিভিন্ন রোগ, ওষুধের ব্যবহার এবং খাদ্যের ভিন্নতার কারণে সাধারণত চুল পড়ে। তবে ৯৫ ভাগ চুল পড়ার কারণ জিনগত বা বংশগত। এ অবস্থাকে বলা হয় অ্যানড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়া এবং অ্যানড্রোজেন অর্থাৎ পুরুষ হরমোন এ সমস্যার জন্য দায়ী।এ কারনে ই ছেলেদের চুল বেশি ঝরে। বৃদ্ধ বয়সে চুল ঝড়ার হার বেশি।