সাধারণত হরতালের সমর্থনে পিকেটাররাই রাস্তায় বেরিকেট দিয়ে গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রা ব্যাহত হয়। কিন্তু আজকের হরতালে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। পুলিশই পিকেটারদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকে অঘোষিতভাবে পুলিশই রাস্তায় বেরিকেট দিয়ে গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে।
তবে বাম দলের ডাকা হরতাল চলছে অহিংসভাবেই। কোনও ভাংচুর, বোমাবাজি এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। বরং পুলিশ হরতাল সমর্থকদের ‘প্রটেকশন’ দিচ্ছে। তবে জনমনে আলাপ চলছে- এই হরতালে সরকারের সমর্থন রয়েছে। তাই পুলিশ প্রটেকশনে হরতাল পালিত হচ্ছে।
জানা গেছে, শাহবাগে পুলিশি পাহাড়ায় হরতাল সমর্থকরা রাস্তার মধ্যে সঙ্গিত পরিবেশন করছে। আর গাড়ি আসতে চাইলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফার্মগেট ও বাংলামটরে পুলিশই রাস্তায় বেরিগেট দিয়ে রাখছে। এতে বিঘিœত হচ্ছে যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়ছে অফিসগামী মানুষ।
ফার্মগেটে একজন পথচারি কামাল উদ্দিন রসিকতার সুওে বলেন, ‘ভাই হরতাল অরেক দেখেছি। কিন্তু এরকম পুলিশি প্রটেকশনের হরতাল আর দেখিনি।’ তিনি জানান, ‘যেকোনও হরতালে পিকেটারদের প্রতি পুলিশ মারমুখী থাকে। অথচ আজকের হরতালে পুলিশ নিজেই পিকেটারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।’
আরেকজন পথচারি নাজিম হোসেন জানান, ‘অফিসে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হলেও অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও কোন গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। জানতে পারি পুলিশ রাস্তায় বেরিকেট দিয়ে গাড়ি আসতে দিচ্ছে না। ফলে আমাদেও ভোগান্তির শেষ নেই।
এ বিষয়ে টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘এই হরতালে আমাদের সবারই সমর্থন জানানো উচিত। তিনি বলেন, ‘এ হরতাল জাতীয় দাবিতে পালিত হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে হরতাল। তাই এ হরতালে সকালের সম্মতি থাকা প্রয়োজন।’
এছাড়া মিরপুর, মহাখালী, যাত্রাবাড়ি, গাবতলী, কাওরান বাজার, শ্যামলী, পল্টন, মতিঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একই চিত্র বিরাজ করছে।View this link