পূর্বের পোষ্টে লিখেছিলাম, সামহোয়্যারইনে কেউ কেউ গালির লাইসেন্স পেয়ে ব্লগিং করেন। গালিবাজদের একজনকে সাময়িকভাবে ব্যান করে কর্তৃপক্ষ আমাকে ভুল প্রমান করেছেন। এভাবে ভুল প্রমান হওয়া আনন্দের এবং এ সচেতন পদক্ষেপের জন্য কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ।
কর্তৃপক্ষ আরো যে কারনে ধন্যবাদ পাবেন, তাহল স্বাধীনতার মাসে মুক্তিযুদ্ধের পোষ্টগুলোকে নির্বাচিত পোষ্ট হিসেবে প্রথম পাতায় রাখা। এতে অবশ্য কেউ কেউ মনে দুঃখ পেয়ে সামহোয়্যারইন নিপাত যাক কামনা করে কান্নাকাটি করেন; কিন্তু দেশপ্রেমিক ব্লগাররা সেই কান্নার মুখে ছাই দিয়ে সামহোয়্যারইনকে সমৃদ্ধ করে যাবেন।
দেশবিরোধিদের হম্বিতম্বি, হ্যান করেংগা ত্যান ছিড়েংগা বেশ কিছুদিন ধরে স্থবির অবস্থায় ছিলো। সবাই শান্তিপূর্নভাবে ব্লগিং শুরু করেছিল এবং সাধারন ব্লগাররা ব্লগের প্রতি আগ্রহ ফিরে পাওয়ায় ভিজিটের সংখ্যাও বাড়ছিল। রাত ২/৩ টায় যেখানে হাতে গোনা ৮/১০ জন ব্লগার অনলাইন থাকতো, এখন সে সংখ্যা নিয়মিতভাবে ৪০/৫০ এ গিয়ে পৌঁছায়।
দেশবিরোধীদের এরূপ অবস্থায় বসে থাকলে চলবে কেন? তারা আবার নতুন উৎপাত শুরু করেছে। নারী স্বাধীনতার আন্দোলনকে, নারীর প্রাপ্য অধিকারকে নস্যাৎ করতে আবারও তারা ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
সেই সাথে শুরু হয়েছে যারা মানুষের মুক্তির কথা বলে, তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। এই ধর্মব্যবসায়ী, দেশ ও জাতির চিরন্তন শত্রুদের এ এক পুরোনো খেলা। ১৯৭১ এ তারা পরাজয়ের মুহূর্তে দেশের সূর্যসন্তানদের হত্যা করেছে, এখন লেগেছে জাফর ইকবালের পেছনে। কারণ, জাফর ইকবাল সত্য কথা সরাসরি বলেন, তিনি মুক্তির কথা বলেন, তিনি শোষণের বিরুদ্ধে বলেন, তিনি দেশের আপামর জনসাধারনের উন্নয়নের কথা বলেন। তাকে রুখতে না পারলে এদের ভন্ডামির ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে যে!
ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো, এসব উষ্কানীমূলক পোষ্ট ও পোষ্টদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। এ ব্লগ বাংলার, এ ব্লগ স্বাধীনতার, এ ব্লগ মুক্তিকামী মানুষের হোক। কুপমন্ডুক ধান্ডাবাজদের প্রতিহত করুন। আপনাদের সদিচ্ছাই এজন্য যথেষ্ট। সকল সাধারন ব্লগারকে সবসময়ই এ কাজে সাথে পাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:০১