১।
কোনো এক পশ্চিমী দেশে এক ভদ্রমহিলার তিন-তিনটি অবিবাহিতা মেয়ে।
অনেকদিন চেষ্টা করেও কিছু না হওয়ার পরে হঠাৎ করেই তিন মেয়ের খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিয়ের ঠিক হয়ে গেলো।ভদ্রমহিলা মেয়েদের দাম্পত্যজীবন (?) নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলেন।তো তিনি মেয়েদের বললেন যে প্রত্যেকে যেনো হানিমুন থেকে অল্প কথায় কিছু লিখে তাকে পোস্টকার্ড পাঠায়।যাতে তিনি বুঝতে পারেন যে মেয়েদের হানিমুন কেমন চলছে।
বিয়ের দু'দিন পরে প্রথম মেয়ে হাওয়াই থেকে পোস্টকার্ড পাঠাল। তাতে শুধু লেখা - "Nescafe"!!!!
প্রথমে বেশ অবাক হলেও,কিছুক্ষন বাদে তিনি কিচেনে গিয়ে Nescafe - এর জার বের করলেন।দেখলেন তার গায়ে লেখা - "Good till the last drop"....
তিনি একটু লজ্জা পেলেও,মেয়ের খবরে আনন্দ পেলেন।
বিয়ের এক হপ্তা পরে পরের মেয়েটি ভারমন্ট থেকে পোস্টকার্ড পাঠাল।তাতে লেখা - "Rothmans"!!!!
এবার তিনি আর ঘাবড়ালেন না। একটা Rothmans এর প্যাকেট নিয়ে দেখলেন তাতে লেখা - "Extra Long. King Size"....।
আবার তিনি একটু লজ্জা পেলেও, আনন্দিত হলেন।
সবচেয়ে ছোটো মেয়েটি গেছিল কেপ-টাউন।তার চিঠি কিছুতেই আসে না।এক মাসের শেষে তার চিঠি এল।তাতে খুব কাঁপা-কাঁপা হাতে লেখা - "South African Airways"!!!!
ভদ্রমহিলা জল্দী লেটেস্ট একটা ম্যাগাজিন বের করে South African Airways -এর এডটা দেখলেন।দেখামাত্র তিনি সেন্সলেস হয়ে পড়লেন।
এডটার নিচে লেখা - "Ten times a day, seven days a week, both ways"!!!!!!!!
২।
বাস দুর্ঘটনায় একবার অনেক সিস্টার মারা গেল। মারা যাওয়ার পর তারা স্বর্গের গেটে দারিয়ে আছে আর স্বর্গদূত এক এক করে তাদের নাম ধরে ডাকছে ।
''সিস্টার এসাদ , তুমি কি বেচে থাকতে কখনো কারো সাথে মিলিত হয়েছ??? '' স্বর্গদূত বললো ।
''না,তবে আমি একবার এক পুরুষের ঐটা ধরেছিলাম '' উত্তর দিল সিস্টার এসাদ ।
''স্বর্গে যেতে হলে তোমাকে পবিত্র হতে হবে। সুতরাং তুমি তোমার আংগুল পবিত্র পানিতে চুবাও আর স্বর্গে যাও '' বলল দূত .
সিস্টার এসাদ তাই করলো আর স্বর্গে গেল .
''সিস্টার বিকা , তুমি কি বেচে থাকতে কখনো কারো সাথে মিলিত হয়েছ??? '' স্বর্গদূত বললো ।
'হা , আমি একবার এক পুরুষের ঐটা বুকে নিয়েছিলাম '' উত্তর দিল সিস্টার বিকা
''স্বর্গে যেতে হলে তোমাকে পবিত্র হতে হবে। সুতরাং তুমি তোমার বুকে তুমি পবিত্র পানি ছিটাও আর স্বর্গে যাও '' বলল দূত .
সিস্টার বিকা তাই করলো আর স্বর্গে প্রবেশ করলো .।
এমন সময় হঠাত পিছনে হই চৈ শুনা গেল , পিছন থেকে সিস্টার সাকা দৌড় দিয়ে স্বর্গ দুতের কাছে গিয়ে বলল '' আমাকে তারাতারি পবিত্র পানি দেন , সিস্টার মিজানী তার পাছা ওই পবিত্র পানিতে চুবানোর আগে আমাকে কুলি করতে হবে !!!
৩।
এক লোক বনে পথ হারিয়ে ঘুরতে ঘুরতে এক টিলার উপরে বাড়িতে এসে হাজির হলো। সেখানে থুথ্থুরে বুড়ো এক চাইনিজ বসেছিলো।
-আমাকে রাতটা এখানে থাকতে দিন। আমি পথ হারিয়ে ফেলেছি।
বুড়ো বললো- থাকতে দিতে পারি এক শর্তে। আমার মেয়ের দিকে নজর দিলে তোমাকে তিনটি চাইনিজ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
লোকটি ভাবলো, লোকটি যেমন বুড়ো তার মেয়েও তেমন বুড়ো হবে। সে রাজি হলো।
ডিনারের সময় দেখা গেলো খুব সুন্দরী এক মেয়ে তাদের সাথে যোগ দিলো। মেয়েটা তার দিকে বারবার ফিরে তাকালো কিন্তু লোকটি শাস্তির ভয়ে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করলো না।
রাতে শোয়ার পর তার বারবার মেয়েটার কথা মনে পড়তে লাগলো যে তার পাশের রুমে শুয়েছিলো। সে ভাবলো, বুড়ো তো ঘুমিয়েই গেছে। এই ভেবে সে পা টিপে টিপে মেয়ের রুমে গিয়ে যা করার করলো।
সকালে তৃপ্ত মনে ঘুম থেকে উঠে সে দেখলো তার বুকের উপর একটা মিডিয়াম সাইজের পাথর। আর একটা কাগজে লেখা, প্রথম চাইনিজ শাস্তি।
সে মনে মনে হেসে বললো এই শাস্তিতে আমার কি হবে। বলে সে পাথরটা জানালা দিয়ে নিচে ছুঁড়ে দিলো। এই সময় তার নজরে পড়লো জানালার পাশে একটা কাগজে লেখা- দ্বিতীয় শাস্তি- তোমার বাম অন্ডকোষের সাথে পাথরটা বাঁধা। ভয়ের সাথে লোকটি খেয়াল করলো পাথরের সাথে বাঁধা বাম অন্ডকোষের দড়িটা টান টান হতে যাচ্ছে। নিচে পাথরে পড়ে নাহয় এক আধটা হাড় ভাঙবে কিন্তু অন্ডকোষ গেলে তো..... এই ভেবে সে জানালা দিয়ে নিচের উপত্যকায় লাফ দিলো।
পাথরের সাথে গড়াতে গড়াতে সে এবার বড় একটা সাইনবোর্ড দেখতে পেলো- তৃতীয় শাস্তি, তোমার ডান অন্ডকোষ বিছানার পায়ার সাথে বাঁধা
৪।
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে এক সৈনিক পালিয়ে চলে আসল। সবাই বলতে লাগল-শেষ পর্যন্ত তুমি তাহলে ভয়ে কাপুরুষের মত পালিয়ে চলে এলে।
সৈনিকের উত্তর: ঠিক তা নয়। আমার যুক্তি শুনলেই তোমরা তা বুঝতে পারবে-
দেয়ার আর টু পসিবিলিটি ইন ফ্রন্ট। যুদ্ধে আমি শত্রুকে মারব, নয়ত শত্রু আমাকে মারবে। আমি শত্রুকে মারলে নো প্রবলেম।
কিন্তু শত্রু আমাকে মারলে এগেন দেয়ার আর টু পসিবিলিটি। হয় আমি আহত নতুবা নিহত হব। আহত হলে নো প্রবলেম।
কিন্তু নিহত হলে দেয়ার আর টু পসিবিলিটি। হয় ওরা আমাকে জ্বালিয়ে দেবে নয়ত কবর দেবে। জ্বালিয়ে দিলে নো প্রবলেম।
কিন্তু কবর দিলে দেয়ার আর টু পসিবিলিটি। হয় আমার কবরের উপর বড় বড় গাছ জন্মাবে, নয়তো ঘাস জন্মাবে। ঘাস জন্মালে নো প্রবলেম।
কিন্তু বড় গাছ জন্মালে দেয়ার আর টু পসিবিলিটি। গাছের কাঠ দিয়ে হয় ফার্নিচার তৈরী হবে নতুবা কাগজ তৈরী হবে। ফার্নিচার তৈরী হলে নো প্রবলেম।
কিন্তু কাগজ হলে দেয়ার আর টু পসিবিলিটি। ভাল কাগজ হলে তা দিয়ে সংবাদপত্র ছাপা হবে কিন্তু বাজে কাগজ হলে তা দিয়ে টয়লেট পেপার তৈরী হবে।
লোকজন বাথরুমে তাদের বটম সাফ করার জন্য আমাকে ব্যবহার করবে। যা আমি একজন সৈনিক হয়ে কিছুতেই সহ্য করতে পারবনা। তাই আমি যুদ্ধ করতে আগ্রহী নই। করো পায়ুর জন্য আমি আমার আয়ু বিসর্জন দিতে রাজী নই।