স্ত্রীসহ পুলিশ কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গোয়েন্দাদের সন্দেহের তীর মেয়ে ঐশীর দিকে। অসৎ সঙ্গই তার জীবনে ডেকে নিয়ে আসে বিপর্যয়। ইংরেজি মাধ্যম পড়ুয়া বন্ধু-বান্ধবদের পাল্লায় পড়ে আসক্ত হয়ে পড়ে ইয়াবায়।
১৭ বছর বয়সী তরুণী ঐশী উশৃঙ্খল জীবন-যাপনে অভ্যস্ত, সে দীর্ঘ দিন ধরেই মাদকাসক্ত। সে নিয়মিত ইয়াবাসহ নানা ধরনের ড্রাগস সেবন করে। প্রায় প্রতিদিনই বন্ধুদের বাসায় নিয়ে আসে এবং তাদের সঙ্গে রাত কাটায়। বেশ কয়েকজনের সঙ্গেই তার প্রেম বা যৌন সম্পর্ক ছিল বলে সে অবলীলায় স্বীকার করেছে। আর এ কারণেই তার বাবা বিভিন্ন সময় তাকে মারধোরও করেছেন।
তার বখাটে-বেলাল্লাপনায় বাধা দিয়েছেন। সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন ধরে তাকে বাসা থেকেও বের হতে দেয়া হয়নি। এমনকি ঈদেও বের হতে দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। এবারও ঐশীর সঙ্গে এসে জোটে নষ্ট বন্ধুরা। তারাসহ ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে থাকে ঐশী। এসব কারণেই বন্ধুদের বাসায় নিয়ে এসে তার বাবা-মাকে খুন করেছে বলেও পুলিশের কাছে ঐশী স্বীকার করেছে। পুলিশকে বন্ধুদের নাম বলেছে।
এদিকে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকাসক্তদের বাসায় আটকে না রেখে চিকিৎসা দেয়া উচিত। ঐশীর ক্ষেত্রেও তার অভিভাবকের উচিত ছিল চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়া।
ওপরদিকে অনেক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বর্তমান সামাজিক অবক্ষয় এই হত্যাকান্ডের পিছনে দায়ি। কারণ হিসেবে তারা দেখছেন অভিজাত এলাকাগুলোতে বিভিন্ন ফ্যামিলীর ছেলে-মেয়েরা বার, নাইটক্লাবে যেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মিশে বিভিন্ন মাদক সেবন করে। ফলে তারা নিষ্ঠুর অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
ঐশির নিষ্ঠুরতা নিয়ে তোলপাড় সর্বত্র। পশ্চিমের দুনিয়ায় এ হয়তো অভিনব কোন ঘটনা নয়। কিন্তু বাংলাদেশে কোন সন্তানের পরিকল্পনায় মাতা-পিতার হত্যা এমনই নির্মম যে তা হতচকিত করেছে সবাইকে।
অনুলিখন
বাংলাসংবাদ২৪/এনডি/বিএইচ
- See more at: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯