আমাদের এই ছোট একটি দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা যে ভাবে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা নতুন প্রজন্মের কতটা সহায়ক তা মনে হয় রাজনিতিবিদদের চেতনা বহির্ভুত। জনসম্পদে পরিপূর্ন আমাদের এই দেশে সহিংস রাজনীতি এবং এর পরিনতি কি ? তা নেতৃবৃন্দ কখনো ভেবে দেখেছে বলে মনে হয়না। রাজনৈতিব বিরোধ বা বিভেদকে আজ কথিপয় মহল জাতীয় বিভেদে পরিনত করার হীন চেষ্টায় লিপ্ত। সফলতার সাথে যদি ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশী জনগনকে আবারো একটি গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পাওে, তবে কাদের স্বার্থ হাসিল হবে তা একটু ভেবে দেখা দরকার। ৭১-এ আমরা স্বাধীন বাংলা পেয়েছি কিন্তু স্বাধীনতার আড়ালে একটি দেশের স্বাধীন বাজারে পরিনত হয়েছি একথা আজ সকলের কাছেই পরিষ্কার। নতুনকরে আবার জাতিকে বিভক্তির দিকে ঠেলে, গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরী করে শাšিত প্রতিষ্ঠার নামে ঐ দেশের করদরাজ্যে পরিনত করার অভিপ্রায় এমপি মন্ত্রীদের বক্তব্যে প্রমানিত হয়। সীমান্ত হত্যা বন্ধের শত অনুরোধ সত্যেও অত্যান্ত তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের সাথে বিএসএফ এর গুলি বর্ষন আর প্রতিবাদের পরিবর্তে সহাস্যে মীরজাফরী করর্মদন জাতির সুখের ঘরে দুখের আগুন জালানোর পূর্বাভাস। নতুন প্রজন্মের সাহসী তরুন যুবকদের আরো চিন্তাশীল হতে হবে। দুরদৃষ্টি না থাকলে আবারো পরাধিনতার শৃংখলে আবদ্ধ হতে হবে। আরাকানের মুসলিমরা মায়ানমারের নাগরিক নয় তাই তাদেরকে পশুর মতো হত্যা করা ,এবং তাদেরকে দেশ হতে বিতাড়িত তরা বৌদ্ধ দের দৈনিক কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। আমাদের এই দেশ প্রতিবেশীর করদরাজ্যে বা অংগ রাজ্যে পরিনত হলে একদিন হয়তো আমাদেরকে এই দেশের নাগরিক নয় বলে আরাকানের মুসলিম বা গোজরাটের মুসলিমদের মতো ভয়াবহ পরিনতির দিকে ঠেলে দিতে কুণ্ঠিত হবেনা। যে সকল নামদারী মুসলিম নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন আমরাতো হিন্দুই ছিলাম এবং যারা কপালে সিদুরপড়াকে সৌভাগ্য হিসেবে ভেবে থাকেন তারা হয়ত নিজেদের বংশধরদের খতনা না করিয়ে হিন্দু হিসেবে বড় করে তুলতে পারবেন কিন্তু আমাদের মতো মুসলমানের অবস্থা কতটা করুন হবে তা কি মুসলিম তরুন যুবকেরা একবার ভেবে দেখেছে।
জাতিকে নতুন একটি আত্বঘাতি পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য গৃহপালিত ট্রাইবুনালের নামে মিমাংশিত একটি ইস্যুকে কাজে লাগানোর অপচেস্টা চলছে । পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক কর্মীবাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে অন্য একটি রাজনৈতিক দলের বিরোদ্ধে। গনতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে প্রসাশনকে। অথচ সবাই এই দেশেরই নাগরিক কেবল রাজনৈতিক বিরোধিতাই শত্রুতায় পরিনত হয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাচতে দেশকে বাচাতে নতুন প্রজন্মের সহসীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।