সমাজবদ্ধ ভাবে বসবাস করা মানুষের ধর্ম, কেননা সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সামাজিক জীব হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন। সামাজ বিজ্ঞানের ভাষায় যাই থাকুক না কেন, আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীতে যতগুলো ধর্ম আছে সকল ধর্মের গ্রন্থাবলীতে মোটামুটি একটি বিষয় ঐক্যমত পাওয়া যায়। আর সেটি হলো সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে মানুষ পাঠিয়েছেন এবং মানুষের কাছ থেকে ভালমন্দের হিসাব একদিন নিবেন। ইতিহাসের পাতা থেকে অতীত যতদুর যাওয়া যায় তাতে সভ্য সমাজের উৎপত্তির সময়কালটি বেশী আগের নয়। প্রাচীন মেসোপটিমীয়, মিশরীয়, গ্রীক, চীন ও সিন্দু সভ্যতার বাহিরে প্রাচীন সভ্যতার কোন অনুলীপী ইতিহাসের পাতায় তেমনভাবে পরিস্ফুটিত নয়। ধারণা বা গবেষণার ভিত্তিতে মানব সভ্যতার বিভিন্ন ক্রমবিকাশ আমাদের সামনে থাকলেও তা নিয়ে যথেষ্ট মতপার্থক্য এখনো বিদ্যমান।
সভ্যতার ইতিহাসে মানুষের জন্য একটি বিরাট ভূমিকা পালন করেছিল সম্পদ, মানব জীবনের সাথে এই সম্পদ নিবিড় ভাবে জড়িত। সমাজে যার যতবেশী সম্পদ আছে তার মূল্যায়ন ততবেশী, দেশের সবচেয়ে ধনী ব্ক্তিটি অধিকার বলেই রাজসভার সদস্য হিসেবে একসময় বিবেচিত হতো। গরীব, মাজদুর ও সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষদের মূল্যায়ন একমাত্র ধর্ম ছাড়া অন্য কোথাও তেমন লক্ষ্যণীয় নয়। তাই সভ্যতার ঊষালগ্ন হতেই মানুষের মাঝে সম্পদ অর্জনের প্রতযোগিতা মূলক মানসিকতা বিরাজমান ছিল। বর্তমানে তা আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। সম্পদের মোহে মানুষ নৈতিক বা অনৈতিক পন্থা নির্বাচনের প্রয়োজন অনুভব করেনি, অন্যের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার চেষ্টায় সবাই মত্ত। বিনাপরিশ্রমে বা কমশ্রম বিনিময়ে অধিক আয় করার উপায় উদ্ভাবনের নেশায় মানুষ অতিপ্রাচীন কাল হতেই চিন্তা-গবেষণা করতে থাকে।
একসময় একটি শ্রেণীর জন্ম হলো, তারা পন্য উৎপাদন না করে উৎপাদিত পন্য চাহিদা মোতাবেক গ্রাহকের নিকট আদান প্রদান করে জীবিকার ব্যবস্থা করতো। তারা ব্যবসায়িক পদ্ধতি অবলম্বন করে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিলো। এমনি ভাবে ব্যাবসায়িদের হাত ধরে সমাজের সুদের মতো একটি কৌশলী ব্যবসার প্রকাশ ঘটে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়িদের পুঁজি দিয়ে একটি স্বপ্ন দেখিয়ে পুজির বিনিময়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। শুরু হয় শোষণের সমাজ, ধনীকে আরো ধনী আর গরীবকে আরো গরীব করার অভিনব পদ্ধতি, সুদের বিভিন্ন প্রকারভেদ, যার ফলে সমাজের একটি শ্রেণী সম্পদের পাহাড় গড়েছে আরকটি শ্রেণীর মাথার উপর পা রেখে। মিশরীয় সভ্যতায়ও সমাজ বিধ্বংসী সুদি কারবারের আলামত পাওয়া যায় তাই ধারণা করা হয় সুদিকারবার অতিপ্রাচীন একটি হাতিযার যার মাধ্যমে সমাজকে শোষণ করা যায়। প্রাচীন গ্রীক সভ্যতায় এর নিদর্শন নেহায়েত কম নয়। প্লেটো তার LOW নামক গ্রন্থে সুদের নিন্দাবাদ করেছেন, এতে প্রতীয়মান হয় প্রাচীন গ্রীকসমাজেও সুদি কারবার বিদ্যমান ছিল। আর প্লেটো তার দার্শনিক চিন্তা দিয়ে সুদের অভিশাপ থেকে মানুষকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন।
চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ সমাজ ধ্বংসের অন্যতম কারণ। আমাদের মতো গরীবদেশের সরল সোজা মানুষদের বোকা বানিয়ে দারিদ্র বিমোচনের নামে আকাশচুম্বি স্বপ্ন দেখিয়ে সুদের সাথে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে সুচতুরতার সাথে, সেই সুদ থেকে ভিটেমাটি বিক্রি করেও অনেকে রেহাই পাচ্ছেনা। যারা গর্হিত এই সকল সুদিকারবারের সাথে জড়িত তাদের কোন ধর্মী পরিচয় নেই, কেননা ধর্মীয় মূল্যবোধ সুদি কারবারের সম্পূর্ণ বিপরিত। সুদি কারবার প্রচলিত কোন ধর্মই সমর্থন করে না। বিশ্বে ইহুদিবাদিতে বিশ্বাসীরা মনে করে থাকে তারা সরাসরি ঈশ্বরের লোক, তারা নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অথচ সুদি কারবারের আধুনিকায়নের মূলে রয়েছে ইহুদি সমাজ। ঈশ্বর কি তাহলে তাদের সুদিকারবারকে উৎসাহিত করেছে? না তা কিন্তু করেনি। তাদের দাবি অনুযায়ী ওল্ড টেষ্টামেন্ট ঈশ্বরের বাণী যাতে লিখা রয়েছে “তুমি যদি আমার প্রজাদের মধ্যে কোন দীন-দুখিকে টাকা ধার দাও তবে তার কাছে সুদগ্রাহীর ন্যায় আচরণ করবে না, তোমরা তার উপর সুদ চাপাবেনা। (যাত্রা পুস্তক, ২২:২৬)” এখানে ঈশ্বর সুদের উপর একপ্রকার নিষেধাজ্ঞা করেছেন। কিন্তু যে ইহুদি প্রকৃতার্থে ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেন তার দ্বারা কি সুদকে সমর্থন করা সম্ভব? সুদের অর্থে জীবিকা নির্বাহ করে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলে তার প্রার্থনা ঈশ্বর গ্রহণ করেন না এমন বক্তব্যও রয়েছে ঈশ্বরের বাণীতে “যে সুদ ও বৃদ্ধি নিয়ে আপন সম্পদ বাড়ায় তার প্রার্থনাও ঘৃন্য, (হিতোপদেশ ২৮:৮-৯)
সুদের কুফল সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে এবং অতি প্রাচীনকাল হতেই এর ক্ষতিকর প্রভাব বিদ্যমান ছিল। ঈশ্বর তাই সুদিকারবার থেকে মানুষদেরকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু ইহুদীরা যদি সত্যিকার ভাবে তাদের ধমীর্য় অনুভূতি নিয়ে কল্যাণের জন্য কাজ করতো তাহলে সুদিকারবারকে পৃষ্টপোষকতা দিয়ে সমাজকে বিভক্তির দিকে ঠেলে দিতোনা। আজ পৃথিবীর দশ ভাগ সম্পদ ইহুদিদের হাতে কেবল সুদি কারবার করে। অনেক দেশ তাদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে পারেনা কারণ গোটা দেশ বিক্রি করলেও তাদের নিকট থেকে নেয়া টাকার সুদ পরিশোধ করতে পারবেনা। উপায়ান্ত না দেখে গোলামীর জিঞ্জির গলায় পড়েছে অনেক দেশ ও জাতি।
অতি প্রাচীন একটি ধর্ম যা আমাদের উপমহাদেশে প্রচলিত আছে আর তা হলো সনাতন ধর্ম যাকে আমরা বলে থাকি হিন্দু ধর্ম। আমাদের উপমহাদেশে মহাজনী ব্যবসার উদ্যোক্তা মূলত হিন্দু ধর্মের অনুসারিরা। এই ব্যবসার সাথে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ যোগ হয়েছে অনেক পরে, তবে সুদের উপর ভিত্তি করেই এই ব্যবসাটি পরিচালিত হয়ে থাকে। অন্যান্য ধর্মীয় আচারকে তেমন সহ্য করতে না পারলেও সুদি ব্যবসার দিক দিয়ে হাক ডাক তাদের কম নয়। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে একজন হিন্দু যদি সত্যিকার ভাবে ভগবানকে বিশ্বাস করে, তবে তার জন্য সুদি কারবার না করা উচিত কেননা তাদের অতি প্রাচিন একটি গ্রন্থ “মনুসংহিতা” যা আনুমানিক ২০০ খ্রীষ্টপূর্বে মনু নামক ধর্ম প্রচারক লেখেছেন। তাতে আছে,
‘গোরকান্ বাণিজিকাং স্তথা কারূ কুশীলবান।
প্রেষ্যাণ্ বার্ধুষিকাংশ্চৈব বিপ্রাণ্ শুদ্রবাদাচরেৎ॥
(মনু সংহিতা, ৮:১০২)
হিন্দু সমাজে বর্ণ প্রথা বিদ্যমান, একজন ব্রান হলো সমাজের সর্বোত্তম ব্যক্তি অপর দিকে শুদ্ররা হলো খুবই নিচু জাতের কিন্তু মনু এই শ্লোকে বলেছেন যদি কোন ব্রান সুদ খায় তবে তার সাথে শুদ্রদের ন্যায় আচরণ করবে। তার মানে সুদখোর ব্যক্তি সমাজের যেই মর্যাদারই হউকনা কেন তার মূল্যায়ন হবে সবচেয়ে নিচুজাতের মতো। সুদকে ঘৃণার চোখে দেখা হয়েছে এই গ্রন্থে। আমাদের উপমহাদেশে এই ধর্মের অনুসারি সবচেয়ে বেশী কিন্তু সুদী কারবার বা সুদ ভিত্তিক অর্থব্যবস্থার বিপরিতে অন্যকোন উপায় বা পদ্ধতি আমাদের সামনে হিন্দু ধর্মের কেউ নিয়ে এসেছেন কিনা তা আমার জানা নেই। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে একজন হিন্দুকে সুদ প্রথা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা আবশ্যক তাই তাদের উচিত সুদমুক্ত কোন একটি পদ্ধতি অবলম্বন করা এবং সুদকে সমাজ থেকে উৎখাত করার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালানো। হিন্দু ধর্মগ্রন্থে সুদকে এতোটাই ঘৃণার চোখে দেখা হয়েছে যে, তার ঘরে অন্য ভন পর্যন্ত নিষেধ করা হয়েছে। সনাতন ধর্মের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ পুরাণে এ বিষয় বলা হয়েছে,
‘চিকিৎষস্য বিক্ষশ্চ তথা বার্ধুষিকস্য চ।
পাষ্যস্য চ নৈবান্নং ভুঞ্জীত নাস্তুকস্য চ’।
(উত্তর খন্ড,শ্লোক নং ৬৩)
এখানে সুদখোরকে অর্থাৎ বার্ধুষিকের অন্য ভন করতে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা সমাজের জন্য সুদখোর হলো অভিশাপ, তারা গরীব দুখির রক্ত চুষেখায় তাই তাদের অন্য ধর্মপ্রাণ কোন হিন্দু ভন করতে পারে না। সামাজিক ভাবে যেমন সুদকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখা হয়েছে ঠিক তেমনি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও সুদকে নিকৃষ্ট ও ঘৃন্য হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। সুদি অর্থব্যবস্থা ধর্মীয় মূল্যবোধকে আঘাত হানে।
একজন খৃষ্টানের নিকট ক্রস যেমন প্রিয় তেমনি বাইবেল। বাইবেলের মাধ্যমে তারা পৃথিবীতে শান্তির বাণী প্রচার করে। দেশে বিদেশে মিশনারী কর্মকান্ডের মাধ্যমে যীশুখ্রীষ্টের বাণী প্রচারে তাদের দেখা যায়। বাংলাদেশে অসংখ্য খ্রীষ্টের বাণী প্রচারক আছেন। আবার বাংলাদেশে যারা সুদখোর হিসেবে পরিচিত তারা তাদের অর্থেই মূলত্ব সুদী কারবার পরিচালিত করে আসছে। যে কয়টি সুদি প্রতিষ্ঠান আছে তাদের সিংহভাগই খ্রীষ্টানদের হাতে বা তাদের ছত্রছায়ায়। তাহলে যীশু কি তাদেরকে সারা বিশ্বে সুদের ব্যবসা করতে বলেছেন? সুদকি মানুষের কল্যাণ আনতে পারে? সুদ কি সুখ সমৃদ্ধি বয়ে আনে? না বাইবেলে সুদকে নিষেধ করা হয়েছে কঠিন ভাবে, বলা হয়েছে “ঋণ দাও, বিনিময়ে কিছু প্রত্যাশা করোনা। (লুক ৬:৩৫) মানুষের কল্যাণে তার পাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে, বলা হয়েছে সাহায্যের হাত বাড়াতে কিন্তু বিনিময়ে কিছু পাওয়ার মানসিকতা পরিহার করতে বলা হয়েছে। যারা কিছু পাওয়ার আশায় অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসে সে আসলে সুযোগ সন্ধানী, লোভী ও চতুর। প্রয়োজনে তারা বুকে টেনে নিবে আবার প্রয়োজন ফুরালে ছুড়ে ফেলে দেবে ডাষ্টবিনে। সুদের পরিনাম বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে, “যদি সুদের লোভে ঋণ দিয়ে থাকে ও বৃদ্ধি নিয়ে থাকে তবে সে কি বাঁচবে? সে বাঁচবে না; সে এই সকল ঘৃনার্হ কার্য করেছে”। (যিহিস্কিল ১৮:৯৩) বিচার দিবসে সুদখোরদের বিচার হবে, তারা বাঁচতে পারবেনা এটা ঈশ্বরের বাণী। এমতাবস্থায় কোন ধর্মপ্রাণ খৃষ্টান কি সুদী ব্যবসার সাথে নিজেকে জড়াতে পারে? না পারে না কেননা ধর্মীয় মূল্যবোধ তাকে সুদমুক্ত অর্থব্যবস্থার দিকে টানবে সুদী ব্যবস্থার দিকে নয়।
আর ইসলামতো সুদকে হারাম ঘোষণা করেছে পবিত্র কুরআনে। সুতরাং কোন মুসলিম সুদের সাথে নূন্যতম সম্পর্ক রাখতে পারে না ইসলাম তাকে সেই অধিকার দেয়নি। তাদের পরিনাম বর্ণনা করতে গিয়ে কুরআনে বলা হয়েছে “যারা সুদ খায় তারা সেই ব্যাক্তির ন্যায় দাড়াবে যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দেয়। এটা এই জন্য যে তারা বলে বেচা কেনা তো সুদের মতোই, আল্লাহ তায়ালা ব্যাবসাকে হালাল করেছেন আর সুদকে করেছেন হারাম, তবে গত হয়েছে তার বিষয়ে আল্লাহর নির্দেশের উপর, আর যারা সীমালঙ্গন করে তারা জাহান্নামের অধিবাসী, তাতে তারা হবে চিরস্থায়ী। আল্লাহ তায়ালা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন আর দানকে বৃদ্ধি করেন (সুরা বাকারা ২৭৫-২৭৬)
এ ছাড়াও অন্য আয়াতে হুশিয়ারী কণ্ঠে আল্লাহ বলেছেন।
হে ইমানদার গণ তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা আছে তা ছেড়ে দাও যদি তোমরা সত্যবাদি হয়ে থাক। (সুরা বাকারা ২৭৮) ইসলামের নেতা মুহাম্মদ (সাঃ) বিভিন্ন সময় তার বক্তব্যের মাধ্যমে সমাজ থেকে সুদকে উৎখাত করেছেন। রাসুল (সাঃ) সুদ খোর, সুদ প্রাণকারী, সুদের সাক্ষী এবং সুদ চুক্তি লেখককে অভিশাপ দিয়েছেন। (বুখারী ও মুসলিম) তিনি আরো বলেছেন সুদ খাওয়ার সর্বনিম্ন অপরাধ হলো সে যেন আপন মায়ের সাথে যিনা করলো। (ইবনে মাজাহ, বায়হাকি)
আবু উমামা (রাঃ) হতে বণির্ত রাসুল (সাঃ) বলেছেন যে ব্যক্তি কারো জন্য সুপারিশ করলো আর সুপারিশ প্রাপ্ত ব্যক্তি কোন হাদিয়া দিলে তা গ্রহণ করলো তবে নিঃসন্দেহে সে সুদের দরজা সমূহের বড় একটি দরজা দিয়ে প্রবেশ করলো। (আবু দাউদ) সুতরাং এরপরও যদি কোন মুসলিম সুদের সাথে জড়িয়ে পড়ে তাহলে তার ধর্মী মূল্যবোধ আছে কিনা সন্দেহ। কোন মুসলমান আল্লাহর উপর ঈমান থাকা অবস্থায় এমন অপরাধের সাথে যুক্ত হতে পারেনা।
দেশ, জাতি ও সমাজের ভারসাম্য রার স্বার্থে একটি সুদমুক্ত সমাজ ব্যাবস্থা অতিবপ্রয়োজন। আর এটা তখনই সম্ভব হবে যদি এর কুফল, এবং ধমীর্য় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মানুষের সামনে উপস্থাপিত করা হবে। ধর্ম মানুষের আত্মার সাথে সম্র্পকিত একটি আবেগী বিষয়। সকল চিন্তা চেতনা বা গবেষণার উর্ধ্বে, মানুষ তার হৃদয়ের সকল আবেগ দিয়ে ধর্মকে গ্রহণ করে তাই জাতি ধর্ম ও বর্ণ নিবিশেষে সকলে যদি অন্তত্য ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে সুদের মতো সমাজ বিধ্বংসী অর্থ ব্যবস্থা হতে ফিরে আসার উপায় উদ্ভাবন করে বা সুদমুক্ত অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে তাহলে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে সমৃদ্ধি নিয়ে আসা সম্ভব।