somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিজয়ী কংগ্রেস, ম্লান বিজেপি, বিলুপ্ত বাম: বাংলাদেশের লাউ বা কদু

১৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
প্রতিবেশীর সাথে সহবাস বাধ্যতামূলক। প্রেম, বিয়ে, কাবিনের কারবার নাই। শুতে হবে এক বিছানায়। তালাকের ও জো নেই। চরমতর ক্ষেত্রে হয় আপনি বাড়ি ছেড়ে অন্যপাড়ায় চলে যেতে পারেন, নয় গুন্ডা পান্ডা লাগিয়ে হরেক রকমের পেইন দিয়ে অপ্রিয় প্রতিবেশীকে পাড়া ছাড়তে বাধ্য করতে পারেন। দু'টোই বেশ কঠিন কাজ। আর দু' বাড়ীর ক্ষেত্রে ফর্মুলাটা কাজদিলেও প্রতিবেশী গ্রাম, প্রতিবেশী থানা বা জেলার জন্য অচল। প্রতিবেশী দেশ হলে তো কথাই নেই।

আর সে প্রতিবেশী যদি ভারত হয় তাহলে তা কেমন হয়? যেমন হয়েছে গত ৬৯ বছর। যেমনটা দেখা যায় ভূ-স্বামী মতিন জোয়ার্দারের সাথে প্রান্তিক চাষী ইদ্রিস আলীদের। আজ মুরগীটা ধরে রেখে দেয় তো কাল সীমানা ঠেলে, পরশু গাছের আম পেড়ে নেয় তো তরশু পথ আগলে রাখে।
রাস্ট্র ভারত ও প্রতিবেশীদের দিনকাল তেমনটাই যাচ্ছে। আকার, শক্তি ও মানবতা বিধ্বংসী রাস্ট্রদানবদের সাথে দোস্তির মদমত্ততায় ক্ষুদ্র প্রতিবেশী বাংলাদেশের সাথে আজন্ম খিটিমিটি লেগেই আছে। ১৯৭১ পশ্চিম পাকিস্তানের নাগপাশ থেকে মুক্তির বছর হলেও, কুটিল ভারতীয় পররাস্ট্রনীতির বিরাট অর্জনের বছর অন্য হিসেবে। বড় প্রতিবেশীকে দু'টুকরো করে মারাত্মক দুর্বল করা। বোনাস- শিশু রাস্ট্রটির অর্থ, অস্ত্র, রাজনীতি, পররাস্ট্রনীতি, ব্যবস্থাপনা, ও বাজারের উপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রন কায়েম করা। হয় বেকুব, নয় দালাল জাতীয় ক্রীড়নক শ্রেনীর লোকের উপর ভর করে স্যাটেলাইট স্টেট রান করা। যেখানকার নাগরিকদের দায়দায়িত্ব ভারত নেবেনা, কিন্তু নানা ভাবে সেখানকার সম্পদ ও বাজারের উপর হিস্যা আদায় অব্যাহত রাখতে পারে। মজার পলিসি!
কংগ্রেস, বিজেপি, বামপন্থী, রামপন্থী, রাবণপন্থী কিংবা এতদ বহু মিশ্রন ভারতের সরকার পরিচালনায় আসলেও তাদের বাংলাদেশ নীতির সামান্যও হেরফের দেখা যায়না। তবে খুবই মজার ব্যাপার হল বাংলাদেশের ও ভারত নীতিতে তেমন পার্থক্য দেখা যায়নি জাপা, লীগ বা দল চালিত শাসনামলে। তর্কের খাতিরে যদি বলি, জামাত আসলে কেমন হত? আমার কনফিডেন্ট উত্তর: একই। ঘরোয়া নির্বাচনী মচ্ছবে মৌসুমী ভারতবিরোধী যে কলরব উঠে তা চড়ুইভাতির ডাল রান্না মাত্র!

তো কেমন সে ধারাবাহিক প্রতিবেশী রাস্ট্রদানব ভারত? গুলি করে, ধরে নিয়ে নির্যাতন করে প্রতিনিয়ত কৃষক হত্যা। নিস্ঠুর মারধর। এমনকি এপারে মাইলখানেক এসেও। জমি জবর দখল। বিশেষ করে নদীর চর। নদীতে গ্রোয়েন দিয়ে এদিকে স্রোত ঠেলে দেয়া। সমুদ্র দখল। সমুদ্রের চর দখল। স্থাবর এসব খুন, জখম, দখল জাতীয় ফৌজদারী অপরাধের বাইরে আছে বাজার দখল (ও উৎখাত)। গোটা বাংলাদেশ ভারতের আদা থেকে ট্রাক সকল পণ্যের অভয়ারন্য। আমদানী, আমদানীর ছদ্মাবরনে চোরাচালান ও খাটিঁচোরাচালান সবই চলছে। বাংলার আকাশ রাখিব মুক্তের গালভরা শ্লোগানসর্বস্ব কিছু খামাকাবাহিনী যেমন আছে তেমনি আছে হিন্দী মুভি, গান, সিরিয়াল, শোর প্লাবন। বিপরীতে ওপারে ঢাকাইয়া টিভি হারাম। ঢাকাইয়া মাল নিয়ে ব্যবসা করাযে কত কঠিন তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। তবে এক্ষেত্রে দাদাদের শক্ত চরিত্র ও আমাদের তরল প্রেমও অনেকখানি দায়ী। প্রচুর ভারতীয় সম্পুর্ন অবৈধভাবে গুলশান বনানীতে চাকরি করছে। সরকার নির্বিকার। আছে পানি প্রত্যাহার। পদ্মা, তিস্তার উপর বাধঁ পড়েছে, পড়ছে সুরমা-কুশিয়ারার উজানে। গ্রীস্মে মরুকরনের পথে বাংলাদেশ, বর্ষায় মহাপ্লাবন। আছে চর লাগিয়ে দলিলপত্র চুরি, গোপন হত্যা ইত্যাদি। তবে মহাক্ষতিটা হয়েছে মগজ চুরির মাধ্যমে। সুশীল, আমলা, কনসালটেন্ট, মন্ত্রী নামধারী কতিপয় জারজের মাধ্যমে দেশীয় শিল্পের বারোটা ও সেইম ভারতীয় শিল্পের পৌষমাস নিশ্চিৎ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক, এডিবি, ইউএন এ কর্মরত ভারতীয় কিংবা গোত্রভুক্তরা এসব সর্বনাশের বাদবাকিটা সমাপ্ত করেছেন।

তাই কে ভারতের নির্বাচনে জিতল, কে হারল তাতে বাংলাদেশবাসীর কিছু যায় আসেনা। যদিও আবাল পত্রিকাওয়ালারা হেডলাইন করেছে। ঝড় বইছে টক শোর। আমার কাছে ভারত একটি লাউ ছিল, এখন কদু হইল!

পরিবর্তন যা করার নিজেকেই করতে হবে।
১৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×