*মিসবাহউদ্দীন খান
* বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর
* মহিউদ্দীন খান আলমগীর
তিন ভাই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় জন নামে পরিচিত। প্রথম জন পুত্রে পরিচিত। টপ লেভেল ঘাদানিক মুনতাসীর মামুনের পিতা তিনি।
১৯৭১ সালে মিহবাহ উদ্দীন খান চট্টগ্রামের বন্দরের কর্মকর্তা ছিলেন। বসবাস করতেন পাকিস্তানী আর্মির অন্যতম প্রধান ঘাটি বন্দরের সরকারী বাসায় ১৯৭১ সালের শেষের দিকে চরম যুদ্ধের সময় মুনতাসীর মামুনও তার পিতার সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের সরকারী বাসায় আর্মির নিরাপত্তায় বসবাস করতেন, যেন কোন সমস্যায় পড়তে না হয়। মিসবাহ উদ্দীন খান বা তার পুত্র মুনতাসীর স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নি, এমনকি যুদ্ধের সমর্থনে পাকিস্তান আর্মির অধীনে চাকুরী করা থেকেও বিরত থাকেন নি, বাসাও ছেড়ে দেন নি। বরং পুরো সময়টি তিনি পাকিস্তানী আর্মির অধীনে চট্টগ্রাম বন্দরে চাকুরী এবং তাদের দেয়া বাসায় স্বপরিবারে বসবাস করে, পাকিস্তান আর্মিকে সহযোগীতা করেছেন।
বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর। ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
ছিলেন। ঢাকা শহরের ওই সময়ের সবচেয়ে অভিজাত এলাকা ধানমন্ডীতে তিনি বসবাস করতেন। ঘাদানিক মুসতাসীর মামুন যুদ্ধ শুরুর পর চাচা বোরহানউদ্দীন খানের বাসায় চলে আসেন এবং অক্টোবর পর্যন্ত ছিলেন। ওই সময়ে পাকিস্তান আর্মি বা পাকিস্তানের কঠোর সমর্থক,
সহযোগী ছাড়া ধানমন্ডীতে কেউ থাকতে পারতেন না। ঢাবি'তে নিয়মিত ক্লাস হতো না বলে ১৯৭১ সালে বোরহানউদ্দীন খান বেসরকারী ফার্মে চাকুরী নেন ও নিয়মিত অফিস করতেন। যুদ্ধের পুরো সময়ে পাকিস্তান
আর্মি তাকে কোন সন্দেহ করেনি বা তিনিও কোন সমস্যায় পড়েন নি। ভালই বন্ধুত্ব ছিল আর্মির সাথে। কথাগুলো কিন্তু স্বীকার করেছেন মুনতাসির মামুন নিজেই।
মহিউদ্দীন খান আলমগীর সচিব ছিলেন, সরাসরি রাজনীতি করতেন সবই জানা ছিল। কিন্তু তিনি ১৯৭১ সালে রাজাকার রিক্রুটমেন্টের সরকারী দায়িত্ব পালন করতেন তা জাতি জানতো না। জানলেও প্রকাশ করা হয়নি। কাদের সিদ্দীকি সেটা প্রকাশ করলেন। মহিউদ্দীন খান আলমগীর পাকিস্তান
আর্মির অধীনে ১৯৭১ সালে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সেই জেলা প্রশাসকের অন্যতম কাজ ছিল রাজাকার রিক্রুট করা। তার নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট জেলায় রাজাকার নিয়োগ দেয়া হতো। তথ্যেটি কাদের সিদ্দীকি প্রকাশ করার পর মন্ত্রী কোন প্রতিবাদ করেন নি।
অর্থাৎ কাদের সিদ্দীকি যা বলেছেন তা পুরোপুরি সত্য। পুরো পরিবার ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আর্মির অধীনে চাকুরী করে, পাকিস্তানের চুড়ান্ত
অনুগত থেকে, পাকিস্তান আর্মির ঘাটিতে বসবাস করে তাদেরকে সহযোগীতা করে, রাজাকার নিয়োগের দায়িত্ব পালন করে, স্বাধীন বাংলাদেশে তারা সবাই স্বাধীনতার চেতনাবাহী! একেই বলে ভাগ্য! তারাই এখন যুদ্ধাপরাধের বিচারের মূল সৈনিক ও স্ক্রীপ্ট লেখক! ওদের দিয়েই স্বাধীনতার চেতনার বাস্তবায়ন করবেন শেখ হাসিনা!...