(লেখাটিতে এমন কিছু যেন আছে যা সবার পড়া উচিত জানা উচিত। তাই দিলাম ঠুকে-)
আমি রাজনীতি নিয়ে না লেখারই পক্ষপাতী। মূলত এই কলামে সংস্কৃতি নিয়ে কথা বলে থাকি, তাও বাংলাদেশের বাইরে যেতে চাই না। অন্তত এত দিন চাইনি। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর করুণ মৃত্যুতে স্বভাবতই আমার মনমানসিকতা নিশ্চুপ থাকতে ইঙ্গিত দিচ্ছে। আমি নিজেও মনে করি চুপ করে থাকাই সব দিক দিয়ে মঙ্গলজনক। তবু প্রতিবাদযোগ্য বিষয়ে প্রতিবাদ না করে পারি না। বেনজিরের মৃত্যুতে যে অশুভ শক্তির উত্থানের লক্ষণ আন্দাজ করা যাচ্ছে, তা ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনতে পারে।
আমাদের দেশে এর কোনো প্রভাব পড়বে এমন মনে হয় না। তবুও যতটা সম্ভব সতর্ক থাকার জন্যই পরামর্শ দিতে হবে বৈ কি, যদিও বলি আমার বিষয় সংস্কৃতি, কিন্তু এটা তো অস্বীকার করা যাবে না যে, সংস্কৃতির ভাষ্যকাররা ইচ্ছা করলেও রাজনীতিকে একেবারে পাশ কাটিয়ে চলতে পারেন না।
যত দিকে কান পাতি, বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে এক করুণ বিলাপমিশ্রিত রোদন ধ্বনিই-শুনতে পাই। আমি জানি কান্না কোনো সমাধান দেয় না। তবুও বুকের ভেতর কান্না জমা হলে তা চেপে রাখার ইচ্ছা ত্যাগ করাই উত্তম। যাদের কান্না পায়, তাদের উচিত একটু কেঁদে নেয়া। এতে যদি বাংলাদেশের বুকটা একটু হাল্কা হয়, তাহলে সেটাই করা উচিত।
বাংলাদেশে সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সামাজিক উৎসবের মধ্যে প্রবেশ করেছে আতঙ্ক, মৃত্যুর আতঙ্ক। কেউ মন খুলে এখানে কথা বলতে চায় না। বুদ্ধিজীবীরা, আগেই উল্লেখ করেছি, মৌনতা অবলম্বন করেছেন। এখন একমাত্র রাজনীতিই পারত বাংলাদেশকে কর্মচঞ্চল রাখতে। যা হোক, আফসোস করা আমার কাজ নয়। আর যদি আফসোস করতেই হয়, তাহলে শিল্প-সাহিত্যের দুর্গতির জন্য করি।
আমার ধারণা ছিল, সাহিত্য এর সৃজনশীল প্রতিভার কাছে দায়বদ্ধ থাকে, সৃজনশীল প্রতিভা যদি সময়ের সঙ্ঘাতে একবার ভীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে তাহলে ভয় নামক এক ভয়ানক অসুখ মননশীলতার ওপর শীতলতা নামিয়ে আনে।
নতুন বছরের শুরুতেই ইউরোপের দু’টি দেশ এবং আমেরিকা থেকে টেলিফোনে আমার প্রতি শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছি। জার্মানি থেকে আমার পরিচিত এক মহিলা এবং স্পেন থেকে আমার এক ভক্ত আমাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন। আর নিউ ইয়র্ক থেকে কবি হাসান আল আব্দুল্লাহর টেলিফোন পেয়েছি। প্রীতিসম্ভাষণ বিনিময় করেছি। স্পেন থেকে যিনি টেলিফোন করেছিলেন তিনি সাহিত্যপ্রেমিক লোক হলেও সাহিত্যিক নন। তিনি স্পেনিশ ভাষার সাহিত্যের ইতিহাসও অল্পই জানেন। আমি যখন তাকে স্পেনীয় কবি লোরকার করুণ মৃত্যুর ঘটনার ইঙ্গিত দিয়ে কিছু বলতে গেলাম তখন তিনি বললেন, ‘আমি তো এসবের কিছুই জানি না। আমি তো সাহিত্যিক নই। তবে আপনার কাছে শুনে মনে হচ্ছে আমার বদলে আপনি যদি এখানে আসতে পারতেন, তাহলে কতই না ভালো হতো।’
দেশে দেশে প্রকৃত কবিরা কখনো অন্যায়ের সাথে আপস না করে ফ্যাসিস্টদের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তবু কবিতাকেই তারা মানবজাতির মাতৃভাষা হিসেবে গণ্য করতে ভয় পাননি।
আমাদের দেশে, দেশের অভ্যন্তর থেকে যে মানবাত্মার বিলাপ ধ্বনি আমার কানে এসে লাগছে, আমি বুঝতে পারি এই রোদন অন্য কেউ আমার মতন শুনতে পায় না। আমি কেন পাই, সেটাও আমার অজানা। মনে হয় বৎসরারম্ভেই যে বিষাদ গীতি বেজে উঠেছে, তার অশুভ লক্ষণ বাংলাদেশকে খুব সহজে ছেড়ে দেবে না। অন্তত আমাদের জন্য ভালো কিছু দেখতে পাচ্ছি না। আমি হতাশাবাদী মানুষ নই। আশা ও উদ্দীপনার কথাই সাধারণত লিখে থাকি। আজো সেই কাজটি করতে চাই।
মানুষকে ভালোবাসা হলো কবির ধর্ম। আমি মানুষকে ভালোবেসে এসেছি। ফলে অনেক অনাত্মীয় আজ আমার আত্মীয়ে পরিণত হয়েছে। রক্তের সম্পর্ক নেই যাদের সাথে, তারাই আমার কাছে বিশ্বস্ততায় আপন হয়ে আমার দুঃখে-কষ্টে শরিক হতে চেয়েছে।
ফলে আমি মনুষ্যত্বের ওপর আস্থা হারাইনি। আশা করছি আমার প্রভু আমাকে নতুন বছর পার হওয়ার শক্তি ও সাহস দান করবেন। কাব্য হলো মূলত সাহসেরই শস্য। কবিরা সব দেশেই ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিজ নিজ ভাষায় বর্ণনা করেন বলে তারা আচমকা দুর্ভাগ্যের শিকার হন। আমি অবশ্য তেমন অবস্থায় কখনো পড়িনি। তবু হুঁশিয়ার হয়ে কথা বলতে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি।
এর মধ্যে কে একজন আমাকে উদ্দেশ করে বলেছেন ‘চুপ থাকুন না। শব্দ না করাই তো হলো শব্দের ওপর সুবিচার’। নিঃশব্দে হেসেছি। কারণ হাসির চেয়ে নিরপরাধ কর্মজগতে আর কী আছে? মানুষ আমাকে তাদের শ্রদ্ধা জানাতে কিংবা কয়েক লাইন কবিতা শোনাতে আমার বাসায় এসে হাজির হয়। সময়-অসময় নেই, একটা টেলিফোন করেই পাণ্ডুলিপি নিয়ে সশরীরে উপস্থিত। আমি কবিকে সহসাই ‘না’ বলতে পারি না। এর মধ্যে দু’জন কবির কবিতা আর কথোপকথন আমাকে শুনতে হয়েছে। একজনের নাম স্যামুয়েল মল্লিক, অপরজন ওমর ফারুক জীবন। তার মধ্যে জীবন সশরীরে হাজির হতে পারেননি। কিন্তু স্যামুয়েল তার কবিতা আমাকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত শুনিয়ে মনে হয় তৃপ্তি লাভ করে গেছেন।
আমার মনে হয়েছে, স্যামুয়েল ও ওমর ফারুক দু’জনের মধ্যেই সংযত কবিত্ব শক্তি সংহত রূপ নিয়ে পঙ্ক্তি বয়ন করে চলেছে। কবির সাথে কবির যোগাযোগ দৈব ঘটনার মতো। আমি মাঝে মধ্যে এই দৈব যোগাযোগের রস আস্বাদন করে থাকি। এতে অবশ্য আমার এ কালের প্রকৃত কবিদের সাথে সেতুবন্ধ সৃষ্টি হয়। আমার মন থাকে প্রফুল্ল। এর মধ্যে নিজেও কয়েকটি চতুর্দশপদী লিখে খুশিতে সময় অতিবাহিত করছি। লিখতে পারার আনন্দের চেয়ে প্রফুল্লতা আর কোনো কিছুতে অনুভব করি না। কবির সৃজনক্ষমতা হলো এক অনিশ্চিত ব্যাপার। জোয়ার আসলে তার তরঙ্গ ধরতে হয়। তা না হলে সময় ফুরিয়ে যায়। কাজের কাজ কিছুই হয় না। পূর্বপরিকল্পিত কোনো কিছু লেখাজোখা এখন আর গুটিয়ে আনতে পারি না। আকস্মিকভাবে যা আসে, তা-ই টুকে নিয়ে কাব্যের খাতায় জমা করি।
কবির যন্ত্রণাদগ্ধ সৃজনক্ষমতার বিবরণ কোনো কবি শেষ পর্যন্ত লিখে রেখে যেতে পারেননি। যারা লেখার চেষ্টা করেছিলেন বলে প্রতীয়মান হয়, তারাও সঠিক কোনো বিবরণ দিয়ে গেছেন এমন কিছু আজ পর্যন্ত পড়িনি। এ ব্যর্থ চেষ্টা আমি নিজেও করতে চাই না। যারা উদ্ভাবনার কাহিনী লিখতে চেষ্টা করেছেন, তারা টাকার একটা পিঠ মাত্র দেখিয়েছেন। অন্য পিঠ থেকে গেছে অজানাই। আত্মজীবনী লেখার জন্য একদা প্রয়াস পেয়েছিলাম। কিন্তু সফল হয়েছি, এ কথা দাবি করতে পারি না। মনে হয় আমার সব রচনাই তো আত্মজীবনী। কখনো কবিতায় কখনো গদ্যে কিংবা কখনো অন্য প্রবন্ধাদিতে। তির্যকভাবে নিজের জীবন এসে নানা উৎপ্রেক্ষা তৈরি করে পঙ্ক্তিতে বিন্যস্ত হয়ে যায়। সতর্ক হলেও নিজের অজান্তেই সব সাবধানতা ভেঙে পড়ে, নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
এ সময়ের কবিদের জানতে আমার আগ্রহের কোনো সীমা নেই। স্যামুয়েল মল্লিকের মতন তরুণ কবিরা যখন তাদের রচনা আমাকে শুনিয়ে যান তখন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতায় আমার মন ভরে থাকে। কবিরা বৃদ্ধ ও দীর্ঘায়ু হলে অন্য কবিরা তাকে এড়িয়ে চলতে চান। আমার মনে হয়, এটা এক ধরনের নির্মমতা। এ ব্যাপারে আর বেশি কিছু বলতে চাই না। সাহিত্য হলো পারস্পরিক সহযোগিতার ব্যাপার। এমন তো হতেই পারে যে, লিখতে লিখতে একদিন কবির দৃষ্টিশক্তি অপরিচ্ছন্ন বা অস্পষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ সময় যদি সহযাত্রীরা কবিকে পথে বসিয়ে অন্য দিকে সরে যান, তাহলে সাহিত্যের আত্মীয়তা স্বাভাবিকভাবেই নষ্ট হয়ে যায়। অথচ এই আত্মীয়তা দীর্ঘ জীবনব্যাপী বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। কেউ এই মানসিকতা না বুঝে আমার সাথে শত্রুতা সাধন করতে গিয়ে নিঃসঙ্গ হয়েছেন। একাকী পড়ে গেছেন। সেই একাকিত্ব থেকে আর বেরোতে না পেরে নানা চমক সৃষ্টি করে নিজের অস্তিত্ব জাহির করতে ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। ফলে এক হাস্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থা থেকে সব সময় আল্লাহর অনুগ্রহ প্রার্থনা করেছি। আমার প্রভু আমাকে মন্দ ভাগ্য বরণ করতে বাধ্য করেননি।
এ দেশে কবি-সাহিত্যিকদের মেলামেশার কোনো ইনস্টিটিউট তৈরি হয়নি। ফলে কবিতে কবিতে মুখ দেখাদেখি খুব একটা হয় না। আমি তেমন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য একদা সচেষ্ট হয়েছিলাম। এ দেশে শেষ পর্যন্ত এসব গড়ে তোলা খুবই দুরূহ ব্যাপার। এর চেয়ে বরং একটি নতুন কাব্যগ্রন্থ সৃষ্টি ও প্রকাশ অনেক সহজ কাজ। তবে নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে পারলে অনেক কাজ হয়। সাহিত্য যে পরস্পরের বিনিময়ের ব্যাপার, লেনদেন ও চেনাজানা বিস্তৃত করার ব্যাপার এটা এ দেশে কেউ আঞ্জাম দেয়নি। বরং সাহিত্যকে সব সময় প্রতিযোগিতার ব্যাপার করে তোলা হয়েছে। এতে দৌড় শেষ হলে দেখা গেছে, যিনি প্রথম হয়েছেন তিনি যেমন ক্লান্ত, যিনি হেরে গেছেন তিনিও তেমনি মহা ক্লান্ত-শ্রান্ত। পরস্পরের দিকে তাকাবার পর্যন্ত ক্ষমতা রইল না। অথচ সাহিত্যের প্রধান কাজ যে রহস্য সৃষ্টি সেটা ঘর্মাক্ত কলেবরে মূর্ছা গেল। যেভাবেই হোক, আমাদের দেশে সাহিত্যকে সহযোগিতার নিয়মের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং কবিতাকে রহস্যের আকর করে তুলতে হবে। সাহিত্যে প্রতিযোগিতা থাকবে না, এমন কথা বলছি না। তবে শত্রুতা নৈব নৈবচ। অর্থাৎ বৈরিতা একেবারেই পরিহার করতে হবে। বাংলাদেশে অতীত দুর্যোগ-দুঃসময়েই উন্নত মানের কাব্য সৃষ্টি হয়েছে। আজো হতে পারে। কবিকে তার দেশ সম্বন্ধে খুঁটিনাটি অনেক কিছু জানতে হয়। গাছ-মাছ-পাখি-পতঙ্গ, অর্থাৎ প্রাকৃতিক সবকিছু অধ্যয়ন করতে হয়। সবকিছু তো আর বইয়ে লেখা থাকে না। যা লেখা থাকে না, সে বিষয়ে প্রাকৃতিক পুস্তকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সেটা অধ্যয়নের কৌশল এবং এর ভাষা কবিকে আয়ত্তের মধ্যে রাখতে হবে। এর জন্য দরকার প্রবল দেশপ্রেম এবং দেশ ও জাতির প্রতি গভীর মমত্ববোধ।
আরো একটি নতুন বিষয় এখানে উত্থাপন করতে চাই। সেটা হলো কবিকে এ যুগে প্রবল গদ্যশক্তিরও অধিকারী হতে হয়। গদ্য লিখলে কবির জাত যায় না। বরং কবির সব কাজই গদ্য-পদ্যে মিলিয়ে। যা কিছু তিনি লেখেন, তার সবটাই কবিতারই কাজ। এই যুগে গদ্যশক্তি প্রবল না থাকার ফলে অনেক শ্রেষ্ঠ কবির বিষয়েও আমরা অন্ধকারে থেকে গেছি। এই অন্ধকার কেবল তার কবিতার দ্বারা দূরীভূত হচ্ছে না। কতই না ভালো হতো, যদি তিনি গদ্যে তার নিজের বিষয়ে কিছু লিখে যেতেন। কিংবা লিখতেন দু-একখানা উপন্যাস। তাহলে অন্তত তার মনোভঙ্গির ঠিকানাটা আমরা খুঁজে বের করতে পারতাম। আমাদের দেশে পল্লী কবি জসীম উদ্দীনেরও গদ্য লেখার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল। এই ক্ষমতা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন ‘ঠাকুরবাড়ির আঙ্গিনায়’ রচনা করে; ‘চলো মুসাফির’ লিখে। আরো একটি কথা সব সময় মনে রাখতে হবে, কবির শৈথিল্য, ভুলত্রুটি এবং ছন্দপতনকে কেউ ক্ষমা করে না। সাহিত্যের সমালোচনা মূলত খুবই নির্মম একটি কাজ। বিশেষ করে কবিদের জন্য কোনো নমনীয়তা অপেক্ষা করে না যদি তিনি আঙ্গিকে কোনো অসম মাত্রা ফেলে রেখে যান। তাহলে এর মাশুল তাকে পোহাতে হয়। শিল্প-সাহিত্যের অন্যান্য ক্ষেত্র হয়তোবা অতটা নির্মম নয়। যা হোক, কবিকে উৎসাহ দেয়াই আমার কাজ। তিনি তরুণ হতে পারেন, নাও হতে পারেন। নবীন-প্রবীণের পার্থক্য ছন্দের ব্যাপারে বিচার্য নয়। ছন্দে পতন হলেই পতন। এর আর কোনো ওষুধ নেই।
আমি সব সময় তরুণ কবিকে গদ্যশক্তিতে অভ্যস্ত হওয়ার তাগাদা দিয়ে থাকি। কোনো একসময় পল্লীকবি জসীম উদ্দীন চিঠি লিখে আমাকে আমার গদ্যশক্তির জন্য প্রশংসা করেছিলেন। তার উৎসাহের কথা কখনো ভুলিনি। এ যুগের কবিকে গদ্যে-পদ্যে সমান্তরাল থাকতে হয়। দোষ কী, যদি কবি কবিতা লেখার ফাঁকে কয়েকটি গল্প কিংবা এক-আধখানা উপন্যাস লিখে ফেলতে পারেন? অন্যান্য ভাষায় তো কবিরা ‘ফিকশন’ লিখেই নিজেদের আত্মমর্যাদা এবং অর্থগৌরব ও সচ্ছলতা তার পাঠকদের কাছ থেকে আদায় করে নিচ্ছেন। অবশ্য এটা খুব পরিশ্রমের কাজ। শুধু প্রতিভার দ্বারা হয় না। ঘাম ঝরিয়ে কলম ঠেলে অর্জন করতে হয়। লেখকের বৃত্তি হলো পরিশ্রমের বৃত্তি। আর এ পরিশ্রম যৌবনকালেই সম্ভব। বার্ধক্য কবিকে কোনো সুবিধা দেয় না।
Link
কবিকে গদ্যে পদ্যে সমান্তরাল থাকতে হয়: আল মাহমুদ
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।
দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?
বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন
একটি ছবি হাজার কথা বলে
আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি
ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন