ভিডিওটা সম্পূর্ণ দেখুন, অনেক ভুল ভেঙ্গে যাবে ইনশাআল্লাহ।
কুরআন সরাসরি আল্লাহর বাণী যা রাসুল (স: ) এর কাছে ফেরেস্তার মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। হাদিস হচ্ছে নবী ও রাসুল মুহাম্মাদ (স: ) এর জীবনের প্রতিটি ধাপে, বিশেষত: নবুয়ত লাভের পর কিভাবে চলেছেন, কি কি করেছেন, কি কি করতে আদেশ দিয়েছেন, কি কি নিষেধ করেছেন -- তার এক প্রামাণ্য দলিল। তিনি (স: ) নিজের খেয়াল খুশিমত কোনো কথা বলতেন না, যেভাবে নির্দেশ পেতেন আল্লাহর কাছ থেকে সেভাবেই উপদেশ দিতেন। এমনকি কিছু কাজ তার উপস্থিতিতে ঘটেছে - তিনি বারণ করেন নি, এমন বিষয়গুলোও "মৌনসম্মতি" হিসেবে বৈধ গণ্য করা হয়।
সাহাবী: রসুল (স: ) কে দেখেছেন, ঈমান এনেছেন এবং সেই অনুযায়ী জীবনযাপন করেছেন এমন সঙ্গী, সাথী, সহচর কে সাহাবী বলা হয়েছে। তাঁরা রসুল (স: ) কে ছায়ার মত অনুসরণ করেছেন। তাঁদের জীবনধরন (lifestyle) কে আমাদের জন্যে অনুসরণীয় করা হয়েছে। প্রসিদ্ধ সাহাবিগণ বেঁচে থাকাকালীন জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। সাহাবিগণ রসুল (স: ) এর হাদিসগুলো সংরক্ষণ করেছেন বলেই আমরা আজ এগুলো জানতে পারছি। রসুল (স: ) এর মৃত্যুর পরবর্তিতে যেসকল সমস্যার উদ্ভব ঘটতো তা সাহাবীদের ইজমা (বা ঐক্যমত) দ্বারা সমাধান করতেন। তাদের ঈমানের উঁচু স্তর, কুরআনের জ্ঞানের গভীর চর্চা এবং রসুল (স: ) এর সরাসরি সন্নিদ্ধ্যে থাকার দরুন তাঁদের নেয়া সিদ্ধান্তসমূহ কুরআন ও সুন্নাহর পর স্থান পায়।
আমরা তাদের এই অসামান্য জ্ঞান, আজীবন ত্যাগতিতিক্ষা, শক্ত ঈমানী জোর এবং রসুল (স: ) এর প্রতি তাঁদের অকৃত্তিম ভালবাসাকে অবজ্ঞা করে নিজেদেরকে যদি অধিক জ্ঞানী ভাবতে চাই - বিষয়টা ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়ার মত হয়।
সুরাহ ফাতিহার শেষ ২ আয়াতে বলা হয়েছে: " আমাদেরকে সরল পথ দেখাও। সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
তাই সঠিকপথের সন্ধানে পূর্ববর্তী সফলকাম ব্যক্তিদের অনুসরণ ছাড়া আমাদের উপায় নেই। আমাদের সময় কুরআন নাজিল হয় নাই, রসুল (স: ) কে জীবদ্দশায় পাইনি। আর আল্লাহ স্বয়ং যাদের মর্যাদা এত বৃদ্ধি করেছেন যে, ১০ জন প্রসিদ্ধ সাহাবীর জীবদ্দশায় জান্নাতি হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাঁদের কে মেনে চলে আমরা সত্যের সন্ধান পেতে পারি, আল্লাহর ক্ষমা ও অনুগ্রহ পেতে পারি এই তৌফিক আল্লাহ দান করুন আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:১৩