খালেদ মুহিউদ্দিন। আমাদের নিউজ এডিটর। সুদর্শন অল্পবয়সীমুখের (বেবিফেস ) অসম্ভব মেধাবী। প্রথম আলোতে একসঙ্গে কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা সম্পর্কে অসাধারণ একটা সিরিজ রিপোর্ট আছে তার। খালেদ ব্লগ পড়ে, রেজিস্টার্ড কিন্তু লিখেনা। লিখলে ওর চিন্তার গভীরতা সম্পর্কে দারুণ একটা ধারণা পেতো সামহোয়ার।
সকালে অফিস এসেই লোডশেডিংয়ের ভেলকি। আমাদের জেনারেটরে নাকি ফুয়েল নেই। সে ঝামেলা সারতে সারতে খানিকক্ষণ বারান্দায় আড্ডা। হঠাত রাজনীতিকদের গণগ্রেপ্তার থেকে রাজনীতির ভবিষ্যত সেনা বাহিনীর উদ্দেশ্য সবই নিয়ে টুকরো আলাপচারিতা।
হঠাত প্রসঙ্গ উঠল জামাত ব্যাকড কিনা এই সরকার। খালেদের যুক্তি না। তাহলে বাবর গ্রেপ্তার হয় না। তবে পর্দার আড়ালে নানা তুরুপ চলছে এটা স্বীকার করে নিল। জেএমবি এক্সট্রিমিস্ট ইসলামপন্থী দলগুলোর সঙ্গে জামাতের চিন্তাগত ও আদর্শিক পার্থক্যটা দুর্দান্তু কিছু যুক্তি দিয়ে বুঝাল খালেদ।
এল গোলাম আযম। খালেদ তার লেখা বইটা পড়েছে। তার প্রথম কথা- এই একটা লোক আপাদমস্তক মিথ্যাবাদী। আসলে ওর বিরুদ্ধে বিচার হওয়া উচিত স্রেফ ৭১ এ তার ভূমিকার জন্য না, বরং বাংলাদেশের মত একটা নবজাতক রাষ্ট্রকে যাতে কেউ স্বীকৃতি না দেয় তার জন্য অপততপরতা চালানোর জন্য। এই লোক সৌদি আরব থেকে আমাদের দেশে সব মসজিদ হিন্দুরা ভেঙে ফেলছে বলে টাকা নিয়া ম্যানচেস্টারে ভাইয়ের নামে টেক্সটাইল মিল খুলে। এই লোক তার বইয়ে ল্যাখে মুজিবের সঙ্গে ক্যান আমি একমত না হয়ে পাকিস্তানের পক্ষে ছিলাম। কারণ আমার মনে হইছে মুজিব ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলে। একজন মুসলমান হয়ে আমি সেটা মানতে পারিনাই বলে নির্যাতিত পাকিস্তানী ভাইদের সঙ্গে ছিলাম (ছাগুরামের কথার সঙ্গে দারুণ মিলে)। ইলেকট্রিসিটি চলে আসায় এরপর আর কথা বাড়েনি। তবে এ নিয়ে একটা পোস্ট দিব। ওর কথা নিয়ে। সবচেয়ে জটিল কমেন্ট : জামাতের রাজনীতি! ওরা ইহলোকে মন্ত্রীত্ব করতে চায়, পরলোকে বেহেশতে যাইতে চায়
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০০৭ সকাল ১১:৩৮