দুঃখ পেয়েছি, কিন্তু দুঃখ স্থায়ী হবেনা, আমরা জিতবোই একদিন, আমাদের সমবেত চাওয়া সত্যি একদিন হবেই হবে।
ক্রিকেট কে ধন্যবাদ। ক্রিকেট আর আমাদের ১১ জন খেলোয়ারকে ধন্যবাদ। ওরা মাত্র ১১ জন খেলোয়ার একটি জাতিকে উজ্জীবিত করলো। দেশ ভাসছে আনন্দ আর প্রত্যাশার জোয়ারে। ওরা ১১জন খেলোয়ার, কেবলতাদের দক্ষতায়, দাওয়াত না দিয়েই মাঠে নিয়ে গিয়েছে আমাদের রাজনীতির অন্যতম তিন প্রধান ব্যক্তিত্বকে। মাঠে উপস্থিত ছিলেন-
>>আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
>> আমাদের মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
>> আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ।
>>আমাদের ক্রিকেট পাগল সব বয়সের হাজার হাজার দর্শক।
বিগত বছর গুলোতে এমন কোনো উপলক্ষ্য আমাদের জীবনে আসেনি, যেখানে দাওয়াত ছাড়াই আমাদের বিভিন্ন দলের জাতীয় নেতৃত্ব এক সাথে, এভাবে একই সাথে, একই দলের জন্য প্রার্থনা করেছেন। আমাদের চোখে পড়েনি তারা একসাথে কোনো বিষয়ে এভাবে উজ্জীবিত হয়ে মাঠে উপস্থিত হয়েছেন। আপনাদের আন্তরিক অভিনন্দন। খেলায় জয় পরাজয় থাকলেও আমাদের বহু অর্জন আছে এই খেলায়।
আমরা এটাই চেয়েছি, এই রাজনীতিই চেয়েছি। এই দেশপ্রেমই আপনাদের কাছ থেকে আশা করেছি বছর বছর। দেশের সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমরা কখনোই যোগ্যতাহীন ভাবে আপনাদের কাছে কিছুই চাইনি। অন্যায় আব্দারও করিনি। কেবল চেয়েছি, আপনারা বাংলাদেশের জন্য এমন কিছু করবেন-যার সুফলভোগী হবে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ। আপনাদের এমন একটি কাজও থাকবেনা যেখানে কোনো একক বা গোষ্ঠিকে লাভবান হওয়ার জন্য করবেন। আমাদের ভরসার জায়গা কম, আনন্দের উপলক্ষ্যও কম। তাই আপনাদের উচ্ছাস যখন জনতার কাতারে এসে মিশে-তখন অনুভব করি আমরা সবাই এক, একই আমাদের প্রার্থনা। এই সমবেত প্রার্থনা ঐশ্বর না শুনে পারেনা। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনাদের আন্তরিক উপস্থিতি, সমর্থন আর সমবেত প্রার্থনা আমাদের উজ্জীবিত করে। আমরা নতুন করে প্রেরণা পাই, কোথাও আমরা হারবো না, আমাদের সন্তানরা হারতে পারেনা। কেবল দরকার আপনাদের আন্তরিক সমর্থন আর ভালবাসা।
ওরা ১১জন, ওদের জন্য অপেক্ষা আর সমবেত প্রার্থনায় একটি জাতি-দেশে ও দেশের বাইরে। ইতিহাসের অংশ হোক আমাদের আজকের বিজয় অর্জন-এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দল-এটাও কম নয় কোনো ভাবেই।।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:০৬