পরিবর্তিত ও বিবর্ধিত মন্ত্রী সভাঃ সরকারী চাতুরী আর রঙ তামাশায় লজ্জিত দেশবাসী। +১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
একটি কৌতুকঃ
এক কৃপণ স্বামী, বিবির বহু তাড়ার পর দোকানে গেলো বিবির জন্য অন্তর্বাস কিনতে। দোকানী ব্রা দেখিয়ে সাইজ জানতে চাইলো। চালাক কৃপন স্বামী বললেন, ‘‘মাপ তো আনিনি, তাই সাইজ বলতে পারছিনা। তবে বিবির পুরান ব্রা টা দিয়ে আমি দুটো টুপি বানাইছি। সেই মাপের ব্রাই দেন।’’ এই কৃপনতায় স্বামীর দুটো টুপি জুটলেও সন্মান জুটেছে কিনা ভেবে দেখা দরকার। আমাদের বর্তমান সরকারও বাতিল অন্তর্বাস কেটে আবার টুপি বানিয়ে মাথায় দিলো, এযেন দেশপ্রেমিক সরকারের সম্পদের সর্বোচ্চব্যবহার নিশ্চিতকরন। প্রযুক্তির মতো একটি মন্ত্রণালয়কে এভাবে আবুল হোসেনকে দেওয়ায় সরকারের সন্মান নিশ্চয় বাড়েনি। আবুল হোসেন একজন শিক্ষানুরাগী বিদুৎসাহী মানুষ, সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের মতো প্রতিষ্ঠান তিনি করেছেন-তাই সরকার তাকে কোনো কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বানালেই বাংলাদেশ উপকৃত হতো, প্রতিষ্ঠান উপকৃত হতো। যোগাযোগ বিষয়টি আবুল এতটাই ভালো রাখছেন যে, সরকার তার কাছে দায়বদ্ধ। তাই যোগাযোগ শব্দটি নতুন মন্ত্রণালয়েও তার খুশীল জন্য দেয়াই আছে!!!
বিবর্ধিত মন্ত্রণালয়ঃ
সাম্প্রতিক দেশপ্রেমিক সরকার বিশ্বব্যাংকের অভিযোগকে প্রকারন্তরে স্বীকার করে নিলেন সৈয়দ আবুল হোসেনকে যোগাযোগ মন্ত্রনালয় থেকে সরিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করছেন। দেশে তথ্য মন্ত্রণালয় নামের একটি ও যোগাযোগা মন্ত্রণালয় নামে একটি আলাদা মন্ত্রনালয় আছে। তাহলে বাকী থাকে কেবল প্রযুক্তি শব্দটি। এর জন্যই আবুল হোসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রযুক্তি সম্পর্কে আবুল হোসেন সাহেবের যে অবদান তা দিয়ে সরকার আগামীদিনে ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে না পারলেও, ডিজিটাল মর্খতার পরিচিতি পাবেন হয়তো। এতটা বিকারহীন ও নির্লজ্জ না হলে নাকি মন্ত্রী হওয়া যায়না-যতটা দৌড়আবুল হতে পারলেন। দেশবাসী ও সচেতন সমাজের এত সমালোচনার মুখেও সরকার কেন আবুল হোসেনকে নতুন মন্ত্রণালয় বানিয়ে দান করলো? সরকার কি কোনো কারণে আবুল হোসেনের কাছে দায়বদ্ধ? দুর্জনেরা বলে থাকেন, রেহানা ম্যাডামের প্রিয়জন হিসাবেই আবুলকে হজম করতে হচ্ছে-যখন আম্লীগে আবুল হোসেনের চেয়ে বহুযোগ্য নেতাকর্মী থাকার পরও। আবুলকেই প্রয়োজন পড়লো, তাও আবার প্রযুক্তির মতো একটি টেকনিক্যাল মন্ত্রণালয়ে!! ৩২জিবির মেমরীর দোয়েল ল্যাপটপ আর দৌড়বিদ আবুলদের দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবেনা-হতে পারে অলিম্পিকে দৌড় প্রতিযোগিতার কোনো ব্রোঞ্জ পদক লাভ।
দলীয় বোমা ফাটা ঠেকাতে রেলকে বানানো হলো নেতা পূর্ণবাসনকেন্দ্র। তবুও আমরা গুপ্তবাবুর সফলতা চাইবো। সুরঞ্জিত যোগ্য মানুষ-তিনি রেল ব্যবস্থায় ইতিহাস সৃষ্টির সুযোগ পেয়েছেন-যা তিনি আমাদের উপহার দিতে পারেন। সরকার ও দেশবাসী উপকৃত হতে পারবেন তার কাছ থেকে, যদি তিনি তা চান। খিস্তিখেউর বাদ দিয়ে কাজ করলেই তা কেবল সম্ভব।
সরকারী চালাকীর চিপায় জিএম কাদেরঃ
সঙ্গত কারণে যে কারো প্রশ্ন আসতে পারে-জিএম কাদের আসলে কাদের? জাতীয় পার্টির নাকি আম্লীগের গিনিপিগ? আগামী দুই বছরে দ্রব্যমুল্য বর্তমানের চেয়ে কমার সুযোগ নেই। তাই সরকার দ্রব্যমুল্যের কঠিন জোয়ালটি জিএম কাদের সাহেবের কাধেঁ আরোপ করলো-বদনাম হবে জাতীয় পার্টির। ফারুক খানকে কি তাহলে দায় মুক্ত করার চেষ্টা? দায়মুক্তির সাথে আরো ব্যাপক মিশন আছে ফারুক খানকে এখানে বসানোর। দুর্জনেরা বলেন, কানাডীয় কম্পানীর বিমান বন্দরের নিরাপত্তার নামে যাত্রীপ্রতি যে ৩৭ ডলারের ব্যবসার ধান্ধা ছিলো-এটাতে সুবিধা হচ্ছিলো না সাবেক মন্ত্রীকে দিয়ে। তাই ফারুক খানকে আনা হলো যাতে ব্যবসাও হয়, আবার বন্দরের অবৈধ বরাদ্ধকৃত জায়গাতেও একটি থাবা বসানো যায়!! বিমানের দুর্নীতি সর্বজনশ্রুত, এখানে বহু ধরণের ব্যবসা আছে-এসব বিষয় মাথায় রেখেই অন্তরালের হিসাব নিকাশ। আমাদের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে নাটকের শেষ দৃশ্য পর্যন্ত।
কে যোগ্য/কিভাবে যোগ্যঃ
মন্ত্রণালয় চালানো কি একটি স্কুল কলেজ চালানোর মতো বিষয়। তামাশার এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকার কি যোগ্যতাকে বিবেচনা করেছে, নাকি সম্পর্ক বা কুসম্পর্ককে বিবেচনায় নিয়েছে। একজন ব্যর্থ মানুষও পুরষ্কৃত হয় তা কেবল বাংলাদেশেই সম্ভব। পদ্মা সেতুতে যা হয়েছে তার জন্য যার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার কথা-সেখানে আবারো পুরষ্কার!!
প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা বলুনতো তথ্যপ্রযুক্তির জন্য এখানে কারা যোগ্য- সৈয়দ আবুল হোসেন নাকি ব্লগার ফিউশন ফাইভ, ব্লগার হাসান যুবায়ের, ব্লগার অনুজীব-এই কয়েকজন ব্লগারের সমান তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান বা যোগ্যতা কি আবুল মন্ত্রীর আছে? তথ্যপ্রযুক্তির মতো টেকনিক্যাল বিষয়ে মন্ত্রীত্ব দেওয়ার মতো লোক কি আম্লীগে ছিলোনা? নাকি আম্লীগ আসলে কাউকে বিশ্বাস করতে পারছেনা? উপদেষ্টাদের কু-উপদেশের যন্ত্রনায় দিশেহারা সরকার, স্তব্ধ আম্লীগ চাঁদাবাজির দেশসেবক-মুক্তিযোদ্ধাকে হামলায় ব্যস্ত!!
ধন্য আমাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়!!
ধন্য দেশবাসী আবুলকে প্রযুক্তির বরপুত্র হিসাবে পেয়ে।
ধন্যবাদ সরকারকে,
একটি বাতিল অন্তর্বাসকে টুপি বানিয়ে মাথায় দিয়ে দেশবাসীর সামনে হাসাহাসি, খিলখিল করার কারণে আমরা লজ্জিত।
৪৬টি মন্তব্য ৪৬টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন
কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী
ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন