বন্ধু-বান্ধবেরা তাদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে। কেউ ভালো চাকুরি, কেউ মধ্যম চাকুরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। কয়েকজন নিজের ব্যবসা গুছিয়ে আনছে। দু'-একজন রাজনীতির খাতায়ও নাম লিখিয়েছে। সময় চলে যাচ্ছে, যে যার যার মত যোগ্য হয়ে উঠছে, নিজেকে যোগ্য করে তুলছে। কয়েকজন আমারই মত পারিপার্শ্বিক এড়িয়ে ঘরে বসে দিব্যি আছে। ভবিষ্যতের ভাবনা আছে, কিন্তু নেই তদানুযায়ী চেষ্টা। কিছুটা ভাগ্যের দোষ, কিছুটা জিনের দোষ। এ জিন কিন্তু জ্বীন না আবার ! (স্মাইল ইমো)
বেশিরভাগই প্রেম করছে, প্রেম শেষে পরিণয়ের দিকে যাচ্ছে। কিছু আবার সদ্য সিঙ্গেল তকমা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নতুন কারো অপেক্ষায় দিন গুজার করছে। আস্তে আস্তে দু'-চারটা করে বন্ধু-বান্ধব জীবন সঙ্গিনী নিয়ে বাসর সাজিয়ে বসছে। দাওয়াত পাচ্ছি না। কাছের বন্ধুরা হয় ভুলে গিয়েছে, অথবা দূরে সরে যাচ্ছে। খুব কাছে বন্ধুগুলোর মধ্যে যারা এখনও টিকে আছে (জানি না আর কতদিন কাছের থাকবে) তারাও জীবন নিয়ে ব্যস্ত। যারা বসে আছে আমার মত- না আছে প্রেম, না আছে কর্ম, তাই রাস্তায় রাস্তায় না ঘুরে ঘরে শুয়ে-বসে কাটাচ্ছে। এদের অনেকেই ঠিক আমার মত, ভবিষ্যৎকে ব্যঙ্গ করে হতাশ হচ্ছে।
তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে ঘরে বসে, কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোনের পর্দায় সোশ্যাল মিডিয়া মারফত সবার খরবই কম-বেশি পাচ্ছি। নিত্যদিন যাদের সাথে দেখা হত, তারপরও প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ফোনে কথা হত, আজকাল তাদের সাথে যোগাযোগ ততটা নেই। নিতান্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কথা হয় না আর এখন। আজও দু'-তিনজনের সাথে সপ্তাহান্তে দেখা হয়, তবু নিত্যদিনকার সেই উচ্ছ্বাসটা নেই যেন। সবাই হয় হতাশায় স্তব্ধ নয় ভীষণ ব্যস্ত। তবে সুখের বিষয় যে, অন্তত সাক্ষাৎ তো হচ্ছে।
আজকাল সময়গুলো ঈর্ষায় কাতর। কাছের মানুষগুলোর সাফল্যে আর এখন একতরফা খুশি হই না। নিজের অজান্তেই অনকের অনিষ্ট কামনা করে ফেলি- সম্পূর্ণ অনিচ্ছায় অবশ্যই। নিজে ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছি বলেই হয়তো। আজকাল বেঁচে থাকার জন্যই শুধু বেঁচে থাকা- অন্যথায় নিজের জীবন নিয়ে তেমন কোন মাথাব্যথা নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৭