সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সোয়াইন ফ্লু খবরের কাগজের এই শব্দগুলো টেনে নিচ্ছে আমাদের গভীরে যাবার জন্য। বিভিন্ন দেশে মৃত্যুর কিছু খবর পাওয়া যাচ্ছে, প্রতিদিন বাড়ছে সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে কয়েকগুন বাড়ছে আতঙ্ক। কেউ বলছে অবস্থা সুবিধার না, কেউ বলছে রশ কম্পানির বানিজ্যিক প্রসারের একটা ধান্ধা এই আতঙ্ক। খবরগুলো আমরা পাচ্ছি খবরের কাগজ থেকে অথবা নিজেদের ধারণা নির্ভর আলোচনা থেকে। বিষয়টা Medical Microbiology বা আরো সুনির্দিষ্টভাবে বললে Virology সম্পর্কিত। হাওয়ায় ভেসে আসা নানা বিশেষজ্ঞের আলোচনা শুনে আতঙ্কিত হবার চাইতে, সব চাইতে ভাল হয়ত Medical Microbiology খানিকটা উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখলে। আসুন দেখি বিজ্ঞান কি বলে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ঘটিত শ্বাসযন্ত্রের যে রোগ তাকে ফ্লু বলে। এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের তিনটি ধরণ এ, বি ও সি। এদের মাঝে এ এবং বি মানুষের ফ্লু করে থাকে। বি শুধু মানুষের মাঝেই পাওয়া যায় অন্যদিকে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস মানুষ, পাখি, শূকর, কুকুর প্রভৃতি প্রানীতে থাকে। বিভিন্ন প্রানীতে পাওয়া ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস একই নয়, বিভিন্ন রকম। যেমন মানুষের ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস পাখিতে বাস করতে পারে না তেমনি পাখির ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস মানুষে বাস করতে পারে না। প্রানীভেদে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের নামকরন করা যায়। যেমন Human influenza A, Avian Influenza A, Swine Influenza A প্রভৃতি। অর্থাৎ সবই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস কিন্তু পোষক হিসেবে প্রকৃতি ভিন্ন।
এবার আসুন ভাইরাসের একটু ভেতরে ঢুকি। সকল জীবের যেমন জেনেটিক মেটেরিয়াল বা নিউক্লিক এসিড (ডিএনএ বা আরএনএ) থাকে তেমনি ভাইরাসেরও থাকে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের জেনেটিক মেটারিয়াল হল আর এন এ (RNA)। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে মোট আট টুকরা আরএনএ থাকে। প্রতিটি হতে ভাইরাসের কনিকার বিভিন্ন অংশ এবং সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য দরকারি প্রোটিন তৈরি হয়। ভাইরাস কনিকার পৃষ্ট একধরণের চর্বি জাতীয় পদার্থের আবরণে ঘেরা। এই আবরণ ভেদ করে হিমাগ্লুটিনিন এবং নিউরামিনিডেজ দুটি প্রোটিন বেরিয়ে এসেছে। আবরণে ঢাকা থাকায় আমাদের দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা শুধু এই দুটি প্রোটিনকেই চিনতে পারে। ফলে, এই দুটোর বিরুদ্ধেই আমাদের দেহে প্রতিরোধকারি এন্টিবডি তৈরি হয়। বিভিন্ন প্রাণীর ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসে মোট ১৫ টি হিমাগ্লুটিনিন (H1, H2, H3…….. H15 এভাবে প্রকাশ করা হয়) এবং ৯ টি নিউরামিনিডেজ (N1, N2, N3………. N9 এভাবে প্রকাশ করা হয়) চিহ্নিত করা হয়েছে। যদি কোন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের হিমাগ্লুটিনিন হয় ১ এবং নিউরামিনিডেজ হয় ১ ধরণের তবে সেটাকে লেখা হয় Influenza A H1N1। মানুষের ইনফ্লুয়েঞ্জা যেমন Influenza A H1N1 হতে পারে তেমনি অন্য প্রানীর Influenza A ভাইরাসও Influenza A H1N1। তবে তারা এক ধরণের না। তাদের H1 বা N1 এর গঠনে পার্থক্য থাকে। অতএব, মানুষের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের H1 শূকরের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের H1 থেকে ভিন্ন হয়।
আগেই বলেছি, মানুষের Influenza A ভাইরাস পাখিতে বাস করতে পারে না তেমনি পাখির Influenza A ভাইরাস মানুষে বাস করতে পারে না। কিন্তু জীববিদ্যায় Absolute বলে কিছু নাই। শূকরের শ্বসনতন্ত্রে কিছু কোষ আছে যেখানে মানুষ ও পাখির Influenza A ভাইরাস ঢুকতে পারে। বলার অপেক্ষা রাখে না সেই সব কোষে শূকরের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস অবশ্যই ঢুকতে পারবে। এখন চিন্তা করুন, একটা বদ্ধ রুমে তিনজন ব্যক্তিকে পাঠানো হল নির্দিষ্ট জামা পড়তে। একজন, সাজবে রাজা, একজন রানী আর একজন জোকার। অন্যদিকে তিনজন ব্যক্তিতে তিনটি আলাদা রুমে পাঠানো হল রাজা, রানী ও জোকারের নির্দিষ্ট জামা পড়তে (এক এক রুমে এক এক রমন জামা রাখা আছে অন্যরকন নয়)। প্রথম ক্ষেত্রে, ভুলক্রমে রাজার জোকারের টুপি পড়বার বা জোকারের ভুলে রানীর জুতা পড়ে ফেলবার সম্ভবনা যতটুকু থাকবে, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে সেটা থাকবে না। ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রেও তাই, একই কোষে মানুষের, শূকরের, পাখির ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস বংশবৃদ্ধি করতে গেলে ভুল ক্রমে মানুষের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ভেতর শূকরের বা পাখির জেনেটিক মেটারিয়ালের একটা টুকরা চলে আসার সম্ভবনা বেড়ে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সৃষ্টি হওয়া নতুন ভাইরাসটি বংশবৃদ্ধি করতে পারে না, কারন কম্বিনেশন ঠিক মত হয় না। তবে, যদি দৈবক্রমে কম্বিনেশন মিলে যায় তবে উদ্ভব হয় নতুন ভাইরাসের। ইদানিং আমরা একটা টার্ম নিশ্চয়ই শুনছি Antigenic shift, এই কম্বিনেশন মিলে গিয়ে নতুন ভাইরাসের উদ্ভব হওয়াই Antigenic shift।
এই পর্যন্ত আলোচনা হয়ত খুব কঠিন হয়ে গেছে। এখন একটু একটু করে সহজ করতে চেষ্টা করি। এককালে সিঁদেল চোর গায়ে তেল মেখে চুরি করতে আসত। আমরা ধিরে ধিরে তাদের পদ্ধতি ধরতে পারলাম এবং তেলতেলা চোর ধরার পন্থা বের করলাম। চুরি কমে আসল। হঠাৎ, একদিন এক চোর নতুন পদ্ধতি বার করল, যেহেতু এই পদ্ধতি আমাদের অজানা ছিল তাই আবার চুরি বেরে গেল। ইনফ্লুয়েঞ্জার ঘটনাও সেরকম। এই ভাইরাস আমাদের মাঝে সব সময়ই ছিল, আছে এবং থাকবে। মাঝে মাঝে আমরা জ্বর, সর্দিতে আক্রান্ত হই, গাঁ ব্যাথ্যা করে, ক্লান্ত লাগে। এগুলোই ফ্লুয়ের লক্ষণ। ভাইরাস জ্বরের প্রোকোপে পরি আমরা মাঝে মাঝে, অনেকেই আক্রান্ত হই। এগুলোকে কেউ একটা পাত্তা দেই নানা, কিন্তু বেশিরভাগই ভাইরাস ঘটিত বিশেষ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ। যেহেতু এই ভাইরাসটি আমাদের মাঝেই সব সময় আছে, তাই আমাদের ইমিউন সিস্টেম ভাইরাসটিকে ভাল মত চেনে। ভাইরাস আসলেই ইমিউন সিস্টেম সক্রিয় হয়ে উঠে আমাদের রক্ষা করে। কিন্তু যদি ভাইরাসটি নতুন হয় যাকে আমাদের ইমিউন সিস্টেম (Immune system)চেনে না, তবে প্রতিরোধের অভাবে দেহ ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয়ে উঠতে পারে। এখন পরিস্থিতি কতটা খারাপ হবে তা নির্ভর করে ভাইরাসটি কতটা ক্ষতিকারক তার উপর।
১৯১৮, ১৯৫৭, ১৯৬৮ সালেই এরকমই নতুন ভাইরাসের উদ্ভব ঘটেছিল, এবং সেই ভাইরাসগুলো ছিল অত্যন্ত ক্ষতিকারক। বর্তমানে যে সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের উদ্ভব ঘটেছে তা মানুষ, পাখি এবং শূকরের ভাইরাসের সংমিশ্রন। তবে আশার কথা এই ভাইরাসটি পূর্বের মত ক্ষতিকারক নয়। রোগ বিষয়ক আলোচনায় আমাদের একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, এমন কোন রোগ নেই যাতে মানুষ মারা যায় না (হয়ত ১০ কোটিতে একজন মারা যায়), আবার এমন কোন রোগ নেই যাতে সব মানুষ মরে যায় (হয়ত হাজারে একজন বেঁচে যায়)। সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমনে বিশ্বব্যাপি প্রতিবছর আড়াই থেকে পাঁচ লক্ষ মানুষ মারা যায়। নতুন সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জাও একই রকম। এটা নিয়ে ভয়ের কিছু নাই। খোদ আমেরিকাতেই যুগ যুগ ধরে প্রতিবছর ২০/২৫ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে।
কথা হচ্ছে তাহলে এই ফ্লু নিয়ে এত মাতামাতি কেন? কারন হল, এবারের সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা A H1N1 খুব সম্প্রতি শূকর হতে মানুষে বংশবৃদ্ধির যোগ্য হয়েছে। অতএব, মানুষকে একই সাথে সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং মানুষে বিরাজমান সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রমন করতে পারে। এই দুটি ভাইরাস যদি একই কোষকে আক্রমন করে তবে, উভয়ের সংমিশ্রনে নতুন একটি ভাইরাসের উদ্ভব হবার সম্ভবনা বেশী হয়। সেই নতুন উদ্ভব হওয়া ভাইরাসটি হতে পারে ১৯১৮ সালের মত ক্ষতিকর। আবার সেটি হতে পারে স্বাভাবিক ফ্লুয়ের মতই।
১৯১৮ সালের ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারির ধরনও এমনই ছিল। সেবার সেটার নাম দেওয়া হয়, স্প্যানিশ ফ্লু। প্রথমে নতুন ভাইরাস মানুষের মাঝে ছড়ায় আমেরিকাতে (কেউ কেউ বলেন চীনে)। সেটা খুব একটা ক্ষতিকারক ছিল না। কিন্তু কয়েকমাস পরে অর্থাৎ পরবর্তী সিজনে (এটাকে বলা হয় Second Wave) এই ভাইরাসই অত্যন্ত ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করে। কারন আজও গবেষণাধীন। বিজ্ঞানীরা এই বিষয়টি নিয়েই চিন্তিত। যদি কপাল খারাপ থাকে হয়ত পরবর্তী সিজনে (আগামী নভেম্বরের দিকে) ভয়ঙ্কর রূপে ফ্লুর আবির্ভাব হতে পারে। যদি তেমন না হয়, তবে চিন্তার কিছু নাই। কারন ততদিনের মানব সম্প্রদায়ে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়ে যাবে।
যে কোন পদার্থেরই নির্দিষ্ট ধর্ম থাকে। ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের ধর্ম হল, এর নতুন কোন রূপ উদ্ভব হবার পরে প্রায় বছর খানেকের মাঝে এটা বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে যায়। একই নিয়মে, বর্তমানের সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জাও ছড়াচ্ছে। এটাকে আটকানো সম্ভব নয়। বিবর্তনবাদ বিশ্বাস করি আর না করি, যেই বিজ্ঞানের উপর নির্ভর করে আমরা ডাক্তারের কাছে যাই সেই বিজ্ঞানের মতেই, “ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বাহক হিসেবেই আমরা বানর থেকে মানুষ হয়েছি”। আমরা যেমন বিবর্তিত হয়েছি, আমাদের সাথেই বিবর্তিত হচ্ছে ভাইরাসও।
খেয়াল করুন, আপাতত এই সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং স্বাভাবিক ইনফ্লুয়েঞ্জার কোন পার্থক্যই নাই। শুধু ভাইরাসটি সনাক্তকরণের সহজ (কিন্তু ব্যয়বহুল) পদ্ধতি আছে বলেই বিশ্বব্যাপি এটাকে সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। যদি সেটা না থাকত, তবে আমরা জানতামই না কখন সোয়াইন ফ্লু আসল, ছড়াল এবং আমাদের মাঝে স্বাভাবিক হয়ে রইল। আমরা সংবাদপত্রে পড়তাম, ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রোকোপ বাড়ছে, বাচ্চারা স্কুল কামাই দিচ্ছে। ভাইরাস নিয়ে ভয়ের যতগুলো কারন আছে তার প্রত্যেকটির সাথেই “হয়ত” “সম্ভবত” জাতীয় শব্দ জড়িত। ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস যে কতভাবে উদ্ভব হয়ে মানুষের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে তার কোন ধারণাই সাধারণ মানুষের নাই। আমরা কি জানতাম নতুন সোয়াইন ফ্লু শূকর হতে ২০০৯-এ উদ্ভব হতে পারে?
বর্তমানের সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে ভয়ের কিছু নাই। এটা স্বাভাবিক ফ্লুয়ের মতই ছড়িয়ে গেছে। আজ দুইশত, কাল হয়ত দুই হাজার হবে। এটা ফ্লুয়ের সময় তাই এমনটাই হবে। অহেতুক সরকারকে দোষ দেওয়া, হাসপাতালের আলাদা ওয়ার্ডের জন্য চিল্লাচিল্লি করার কোন মানে নাই। ভ্যাকসিন নেবার আগে মনে রাখতে হবে সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন নিয়ে লাভ নাই। সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে কার্যকরি ভ্যাকসিন মনে হয় এখনও মার্কেটে নাই। সাবধানতা যা নেবেন, সেটা সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা হলেও নেওয়া উচিত। স্বাভাবিক ভাবেই অন্যের মুখের সামনে হাচি কাশি দেওয়া ঠিক না, রুমাল ব্যবহার করা উচিত। এটা ফ্লু হলেই বা কি আর না হলেই বা কি। হাত পরিস্কার রাখা উচিত, এই আর কি। আর শরীর খারাপ থাকলে একটু বেশি সাবধান হওয়াই ভাল, তাই না!! ১৫/১৬ কোটি মানুষের গরিব দেশে মাস্ক, টিস্যু জাতীয় উপদেশকে আমার কাছে একধরণের রসিকতাই মনে হয়।
এই পোস্টের মদ্দা কথা হল, “বর্তমান সোয়াইন ফ্লু নিয়ে ভয়ের কিছু নাই। ফ্লু ছিল, আছে, থাকবে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা যেন সামনের সিজনে (আসছে নভেম্বর) এটা ১৯১৮ সালের মত ভয়াবহ রূপ না নেয়। এটাই দেখবার বিষয়। এই ক্ষেত্রে মূল দায়িত্ব সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের”।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সম্পর্কে জানতে বাংলা উইকির নিম্নোক্ত নিবন্ধগুলো দেখতে পারেন। সম্ভব হলে নিজেও তথ্য যোগ করতে পারেন।
# ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস
# সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস
ছবি সূত্র: নেট থেকে পাওয়া। উৎস মনে নাই
(সময় করে পরবর্তী পোস্ট দেব)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৩৩