চারদিকে আমরা আসলে কেউই সুখী না,এটা খুব বাস্তব।শতকরা ৯৯.৯৯ জন সুখের অভিনয় করে। একটুকু সুখের জন্য মানুষের যে পরিমাণ কসরত সেটা চারদিকে তাকালেই দেখতে পাই।
বাহ্যিক দিক থেকে মনে হয় সে না জানি কত সুখে আছে,সে অনেক সম্পদের মালিক বা অনেক শিক্ষিত বা অনেক নামীদামী।এই সব হয়তো সত্য তবে সুখ নামের জিনিষটি তার ঘরে আছে এটা কিন্তু সেই বাহ্যিক রূপের মত সত্য না।
সুখের পিছনে যারা ঘুরঘুর করে তারা ঘুরতে ঘুরতে জীবনের চূড়ান্ত অবকাশে চলে যায় কিন্তু সুখের দেখা পায় না।
জুভেনাল বলেছিল তাই
"একজন সুখী মানুষ সাদা কাকের মতই দুর্লভ"
সুখের সন্ধান করে সুখ আসে না,নির্ভেজাল অল্প প্রাপ্তির,প্রত্যাশার জীবনই সবচেয়ে সুখের।
তাই তো এরিস্টটল এর দৃষ্টি এই বিষয়টিও এড়িয়ে যায় নি,অকপটে বলে দিলেন,
"জ্ঞানী লোকেরা কখনো সুখের সন্ধান করে না"
সুখের কোন ইতিবৃত্ত হয় না,এটা উপলব্ধির বিষয়।তবে খুব প্র্যক্তিক্যাল মানুষেরা সুখী হতে পারে না,তবে তাদের সংগ্রাম থাকে সুখ কিনার।কিন্তু সুখ এমন অস্পৃশ্য বিষয় যে তাকে কিনতে গেলেই সে উধাও।
প্র্যক্টিক্যাল মানুষেরা অনেক বেশী অন্তর্মুখী ভাব নিয়ে থাকার চেষ্টায় লিপ্ত,তাই জড়তা তাদের আকৃষ্ট করে থাকে।
জড়তাহীন মানুষগুলো বাতাসের মত,ঘরে ঘরে পরতে পরতে পৌঁছাতে পারে তাই তারা ক্লিয়ার,সুখ পায় সুখী হয়,অভিনয় কম করতে হয়।
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার তাই হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন,
"লাজুক স্বভাবের লোকজন বেশিরভাগ সময়ই মনের কথা বলতে পারে না,মনের কথা হড়বড় করে বলতে পারে শুধু পাগলরাই।তাই পাগলরাই আসলে সবচেয়ে সুখী"
শেষ কথা,সুখ কুক্ষিগত করার নাম নয়,ছড়িয়ে দেয়ার নামান্তর,আর ছড়িয়ে দিতে হবে ত্যাগের মাধ্যমে,অহংকার ছেড়ে,স্বার্থের চিন্তা বাদ দিয়ে,আত্মকেন্দ্রিক না হয়ে।
"ভোগে নয়,ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।"
হাসির আড়ালে কান্নাকে উপলব্ধি করুন,সেখানে একটু হাসির বৃক্ষ রোপণ করে আসুন।