সিরাজগঞ্জে রেল দূর্ঘটনার পর স্থানীয় জেলা প্রশাসকের পদত্যাগ
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিরাজগঞ্জের ট্রেন দূর্ঘটনার পর স্থানীয় জেলা প্রশাসক পদত্যাগ করেছেন। এরকম বিপদজনক স্থানে সমাবেশের অনুমতি দানের মত অদূরদর্শি কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায়ভার কাঁধে নিয়ে দূর্ঘটনার ৪ ঘন্টার মাথায় তিনি পদত্যাগ করেন। সহকারি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বর্তমানে সাময়িকভাবে জেলা প্রশাসকের দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এ রকম বিপদজনক স্থানে জনসভা করার জন্য লজ্জিত, জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন খালেদা জিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক : গতকাল সিরাজগঞ্জে বিপদজনক স্থানে জনসভা করার জন্য বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি লজ্জা প্রকাশ করে বলেন “আসলে তাৎক্ষণিক ভাবে আমরা বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারিনি, যদিও জনসভার জন্য নিরাপদ স্থান বেচে নেয়ার বিষয়ে আরো ভাবনার প্রয়োজন ছিলো”। গতকালের রেল দূর্ঘটনার পরও জনসভা চালিয়ে যাবার পরামর্শদাতা খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী গতকাল রাত ১০টায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তবে বিস্তারিত তথ্যের জন্য তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
নাগরিক সমাবেশগুলো আরো নিরাপদ করার বিষয়ে মন্ত্রীসভার জরুরী বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক : গতকাল রেল দূর্ঘটনার জের ধরে মন্ত্রীসভার জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো সন্ধ্যা ৭টায়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রীসভার ২১জন সদস্যের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সভায় নাগরিক সমাবেশগুলো অধিক নিরাপদ করার লক্ষ্যে সম্ভব সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা এবং ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য একই সাথে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীগণ পরদিন সকালে নিহতের পরিবার এবং আহতদের সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে মোবাইল ফোনে দূর্ঘটনাস্থলে অবস্থানরত স্থানীয় সাংসদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর আলাপ হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৫৬