নারী হোক আর পুরুষ হোক কে কতটা খুলবে বা ঢাকবে সে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার কেবল তার। নারী স্বাধীনতা নারী স্বাধীনতা বলে মুখের ফেনা তুলছেন কিছু মানুষ।
নারীদের স্বাধীনতা দেবার পক্ষে আমিও একজন। নারী কেনো পরাধীন থাকবে? তাকে তার মত প্রকাশের পূর্ন স্বাধীনতা দেয়া হোক। যারা নারী স্বাধীনতা চায়, তাদের চিন্তাধারা নিয়ে কিছু জিনিস দেখা যাক। তারা চান, নারীকে জোর করে গৃহবন্ধী করে রাখা না হোক। বোরকায় নারীর সৌন্দর্য বন্ধী করা না হোক। আমিও চাই। যেই নারী বোরকা পরতে চাইবেন না, তাকে জোর করা না হোক। এভাবে তার মতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো হয়। কিন্তু , নারী যখন বোরকা পরতে চায়, তখন কেনো তাকে বোরকা পরতে বাধা দেয়া হবে? এখানে কি তার মতামতের কোনো দাম নেই? তাহলে বুঝে দেখুন, যারা নারীনীতি প্রণয়ন করেন, তাদের উদ্দেশ্য কি? তারা অন্য মেয়ের উলঙ্গ নৃত্য দেখে আসে। হাততালি দিয়ে আসে। কিন্তু নিজের বউকে নাচতে দেয়না। কারন হিসেবে দেখায়, সামাজিক স্ট্যাটাস। আরে, যাদের নাচাচ্ছিস, তাদের কি কোনো সামাজিক মূল্য নেই? তারা কি মানুষ নয়? তাদের মানসিকতা দেখে মনে হচ্ছে "বেডরুমে বৌ রাস্তায় বাকি নারী"
আমার সাথে দ্বিমত করতে পারেন অনেকেই।কিন্তু সত্যিকার কথা হচ্ছে নারী স্বাধীনতার জন্য কেন নারীর পোষাক নিয়ে টানাটানি করবে? ব্যাপারটা কতটা যৌক্তিক? তাদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে পুরো নারী অধিকারটা বোরকার ভিতরেই লুকিয়ে আছে,বোরকা তুলে ফেললেই নারী অধিকার উন্মোচিত হবে! কি হাস্যকর।
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ বিগ্রেডিয়ার গোলাম হোসেন, আপনাকে বলছি। আপনার কলেজের অনেক সুনাম। প্রতিবছর স্কুল আর কলেজের রেজাল্টে আপনারা শীর্ষস্থানে থাকেন। আপনাদের কলেজের ড্রেসকোড যদি মিনি স্কার্ট করেও দেন, তবু অনেকে ভর্তি হবে। ছাত্রী কমবেনা। কিন্তু আমাদের ধর্মে কিছু বিধি-নিষেধ আছে। আপনার বৌ-মেয়েকে মিনি স্কার্ট পরাতে পারেন, কিন্তু ছাত্রীদেরকে না। সেটা আপনার ইচ্ছেমতো হবেনা। পরিমলদের ছাত্রীদের দেহের অংশ দেখিয়ে আকর্ষন করাতে, আপনার এতো আগ্রহ কেনো? ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। আমাদের দেশের জনগণ অনেক বোকা। তাই এদেশে এখনো জামায়াতের মতো দল আসন পায়। ৫ বছর পরপর আমরা দুই নেত্রীকে ক্ষমতায় আনি। কিন্তু, আপনার উদ্দেশ্য কেউ বুঝবেনা, এটা মনে করার কোনো কারন নেই। আমরা দেশের জন্য ভাবি, অনেক ভাবি। কিন্তু বাস্তবে চুপ থাকি। কিন্তু, আমাদের ঘরের ব্যাপারে হাত দিলে ছেড়ে কথা বলবোনা। আমাদের মেয়েদের পরিমলদের শিকার বানানোর ষড়যন্ত্র রুখে দেবার ক্ষমতা আমাদের আছে। নারী অধিকার নারীদের হাতেই আছে।এটা নিয়ে যারা হাউকাউ করে তাদের হাতে নয়।
মেয়ে তোমাকে বলি, আমি জানি আমি কেমন। আমরা কেমন। নিজেকে তুমি সামলে রেখো। আর পচ্চিমা বিশ্বের নারীদের মত স্বাধীনতার নামে নিজেকে ভোগপন্যে রুপান্তরিত করবে, তবে এসো। আমি , আমরা থাবা পেতে আছি। তোমাকে রক্তাক্ত করার আশায়।
নারী, তুমি কার শিকারে পরিনত হবে? (১৮+, আবার ১৮+ না)
'বোনেরা, তোমাদের কিছু বলার ছিল'
বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃ নোমান নমি