১. সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে গুটিকয়েক যে কয়েকটি দেশ বিশ্বে স্বাধীনতা লাভ করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ১৯৭১ সালে এত রক্তের বিনিময়ে যে দেশ তৈরি হয়েছিল, তার সরকারে যারা ছিল তারা বিজয়ের কিছুদিন পরই লুটপাট, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। তার পর চলে বিভাজন আর ক্রেডিটের রাজনীতি। ফলস্বরূপ মাত্র ৪ বছরের মাথায় সরকার প্রধান হয়ে যান ঘৃণিত ব্যক্তি এবং পরবর্তীতে তেনার হত্যাকান্ডের পরও অনেকে এটাকে ‘যথার্থ পরিণতি’ বলে মনে করেন…
২. ১ম রাষ্ট্রপতির মৃত্যুর পর ভাল একজন রাষ্ট্রপতি আসলেও তেনাকেও কিছু অতি উৎসাহী হত্যা করে। এরপর ৩য় রাষ্ট্রপতিও দুর্নীতি, লুটপাটে জড়িয়ে ঘৃণা নিয়ে গণঅভূত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা ছাড়েন। ১৯৯০ সালে (স্বাধীনতার ১৯ বছর পর) একটা সুযোগ এসেছিল আবার নতুন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু আবারও যারা ক্ষমতায় ছিল বা রাজনীতিতে ছিল তারা সমঝোতার মাধ্যমে লুটপাট, দুর্নীতি, ক্ষমতায় চিরদিন থাকার রাজনীতি ও প্রতিপক্ষকে দমন করার রাজনীতি অব্যাহত রাখে। ’৯০-এর সুযোগ পাওয়ার ১৭ বছর পর ২০০৭ সালে আসে ১/১১…
৩. ১/১১ সরকার আবার আশা যোগায় দেশ এবার সঠিক পথে চলবে। তবে তারা তো চিরস্থায়ী সরকার নয়। তারা নির্বাচন দিলে যে সরকার ক্ষমতায় আসে সে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে পুরো সিস্টেম নিজেদের করে নেয়। কিন্তু সব কিছুর শেষ আছে। তাই ২০০৭ সালে সুযোগ পাওয়ার ১৭ বছর পর ২০২৪ সালে আসে ৩৬শে জুলাই…
৪. আমরা .দু জনতা ভেবেছি এবার অন্তত ঠিক পথে যাবে দেশ। কিন্তু আবারও মনে হয় আশা ভঙ্গ হতে যাচ্ছে জাতির। গর্ত থেকে বের হওয়া ৮০+ বছর বয়সী রাজনীতিবিদরা দ্রুত নির্বাচন চান, সংস্কার চান না। ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই তেনারা অলরেডি সব জায়গা দখল, চাঁদাবাজি, লুটপাট শুরু করে দিয়েছেন। ওদিকে আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধরেছে ফাটল, চলছে ক্রেডিটের রাজনীতি, সমন্বয়করা করছে নীরবে ঘুষ লেনদেন। জুলাই আহত, নিহতরা আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। ১০০০+ শহীদের ক্ষতিপূরণ আদায় না করে ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছে সদ্য সাবেক ছাত্র রা…
৫. তার মানে আরেকটি তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকার পেতে যাচ্ছি আমরা। যেখানে আগের মতই সব কিছু ‘সিস্টেম’ হয়ে যাবে। আবারও আমরা জীবন যুদ্ধে পতিত হয়ে কিছু দেখেও না দেখার ভান করে নিজের পরিবারই শেষ কথা মেনে নিয়ে সময় পার করব। আসলে মনে হচ্ছে, জাতি হিসেবেও আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠদের মধ্যে সততার অভাব। যে কারণে বারবার সুযোগ পেয়েও আমরা উন্নত জাতি হতে পারিনি। অথচ আমাদের সমসাময়িক মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর আজ কোথায়…