এশিয়া কাপে আজকের ম্যাচ ও আফগানিস্তান ম্যাচ এর সাথে বাকী দুই ম্যাচ যদি গড় করি তবে বলতে হবে তামিম-সাকিব এর অনুপস্থিতিতেও মোটামুটি ভালো ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। বোলিং যে খারাপ করেছে তা বলতে আমার ঘোর আপত্তি রয়েছে। শুধুমাত্র আফগানিস্তানের বিপক্ষে বোলার+ফিল্ডারদের বেশ কিছু উইকেট ফেলে দেয়ার পরে হাল ছেড়ে দেয়াটা ছাড়া বোলিং এ খারাপ কিছুই আমার চোখে পড়ে নি। ফিল্ডিং হয়েছে গড়পড়তা, তবে এই ভুলটা সহজেই সংশোধন যোগ্য তাই এ নিয়ে কথা বলবো না।
কিন্তু বোলিং চেঞ্জ?
ফিল্ডিং এ কাঁধ ঢিল দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা?
সিঙ্গেলস নিতে থাকলে ফিল্ডারদের ভেতরে না আনা?
ডেথে 'ইতোমধ্যে ম্যাচে মার খাওয়া' স্পিনার আনা?
এগুলোর কারণেই ক্লোজ ম্যাচগুলো হেরে গিয়েছি। ভুলগুলো নিতান্তই এড়িয়ে যাবার মতো নয়। গ্লাভস ছাড়ার পর থেকেই মুশফিকের সিদ্ধান্তগুলো অবাক করছে। যেমন কোন ম্যাচে জিয়াকে একবারও বল না দেয়া আবার কোন ম্যাচে একজন বোলার ভালো বল করছে জন্য তাকে দিয়ে টানা দশ ওভার করানো! ভালো বোলারের কিছু ওভার শেষের জন্য না রাখা হোক কিন্তু একজন মিডিয়াম ফাস্ট বোলারেরও তো রেস্ট প্রয়োজন! আধুনিক ক্রিকেটে ৫/৬ ওভারের বেশী কোন বোলারকে দিয়েই বল করানো হয় না সে যেইই হোক! প্রথমত বোলার স্ট্যামিনা হারিয়ে ফেলে, দ্বিতীয়ত এর মাঝে তেমন উইকেট না গেলে উক্ত বোলারের বিপক্ষে সেট হয়ে যায় ব্যাটসম্যান! মুশফিকের সিদ্ধান্তগুলো তাই হতাশ করেছে। এবং এটা যে আমার ব্যাক্তিগত হতাশা নয় বরং ফ্যাক্ট এর প্রমাণ পাবেন কমেন্টেটর, ক্রিকেট বোদ্ধা, সাংবাদ মাধ্যম এমনকি প্রতিপক্ষের কথাতেও!
আমি নিশ্চিত মুশফিক এখনও তরুণ ও বেশ বুদ্ধিমান এবং ব্যাটসম্যান হিসেবে দুর্দান্ত হয়ে উঠছেন দিন দিন! দলের জন্য অসাধারণ একজন ব্যাক্তিত্ব এবং তার শেখার এখনও অনেক বাকী, তবে এও আশা করি তিনি দ্রুত শিখবেন কখন ফিল্ডিং ও বোলিং চেঞ্জ করতে হয়, কীভাবে তার বোলারদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হয়।
উন্নতি কিছু ক্ষেত্রে হচ্ছে বটে কিন্তু এইসব ছোট ছোট ভুলই ম্যাচ শেষে লুজিং ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেই ক্লোজ ম্যাচগুলো জিততে পারছে না বাংলাদেশ। ভালো ফিল্ডিং, আক্রমণাত্মক শরীরী ভাষা ও মাঠে নিজেকে ঢেলে দেয়ার মানসিকতা থাকলেই এই ম্যাচগুলো জয় হয়ত সম্ভব ছিল, এখন দলে পরিবর্তন বলতে এটুকুরই প্রয়োজনীয়তা মনে করি। সামনেই টি ২০ বিশ্বকাপ, আশা করি ভুল ত্রুটি ও মানসিকতা শুধরে কক্ষপথে ফিরবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শুভকামনা রইলো!