ধান আমাদের স্বপ্ন দেখিয়ে এখন স্নেহধন্য
ধানের সবুজ গল্প এখনও সতেজ রূপকথা
পরতে পরতে তার রাক্ষস -খোক্কস- দৈত্য-দানো -
রাজা, রাজনীতি; সুয়োরানী-দুয়োরাণী;পায়ে-হাঁটা
শবরের বাস্তুভিটা রোয়ার কাহিনী।
শতাব্দী শতাব্দী এই ধানের গোঁড়ায় জল ঘাম ঢেলে ঢেলে
আমরা পেলাম কিছু উদ্বৃত্ত ফসল; ফসলের রঙে রঙে
স্বর্ণ-বীজ; বীজের অঙ্কুরে তপোবল।
তপোবলে জন্ম নিলো তপোতরু: তরুর পাতায়
ছাল- ফুল-শাখায়, কেবলই
মহাজীবনের ধারাপাত।
হে মহাজীবন, আর কি কাব্যের কোনও প্রয়োজন নেই?
চল, কৃষকের ঘামে জবজব দেহ থেকে ধানের পুরাণ মুছে দেয়।
মুছে দেয় সব---- নীল তেভাগার সেইসব ভূমিহীন চাষিদের দ্রোহের দর্পণ।
কাঁচের নগরীগুলো সটান দাঁড়িয়ে আছে, থাকুক এমনই
ওয়াল ফ্লিইট সবকটা স্ট্রীট- ব্যাংক-বীমা-এভিন্যু ছাপিয়ে বেড়ে উঠছে তপোবন
তারই ছায়াতলে ধান কাটতে গিয়ে ধানের বিষেই আজ মরে গেল কেউ
আমরা কি আদৌ তাকে চিনি?