ধান আমাদের স্বপ্ন দেখিয়ে এখন স্নেহধন্য
ধানের সবুজ গল্প এখনও সতেজ রূপকথা
পরতে পরতে তার রাক্ষস -খোক্কস- দৈত্য-দানো -
রাজা, রাজনীতি; সুয়োরানী-দুয়োরাণী;পায়ে-হাঁটা
শবরের বাস্তুভিটা রোয়ার কাহিনী।

শতাব্দী শতাব্দী এই ধানের গোঁড়ায় জল ঘাম ঢেলে ঢেলে
আমরা পেলাম কিছু উদ্বৃত্ত ফসল; ফসলের রঙে রঙে
স্বর্ণ-বীজ; বীজের অঙ্কুরে তপোবল।
তপোবলে জন্ম নিলো তপোতরু: তরুর পাতায়
ছাল- ফুল-শাখায়,... বাকিটুকু পড়ুন

শৈশবে ফিরছি
ফিরছি কাকতাড়ুয়া আর
একটি নদীর চিত্রকল্পে।
সেই কাকতাড়ুয়ার ভুশণ্ডি জীবন:
বহুযুগ আগে এক প্রকাণ্ড কাঠের গুঁড়ি থেকে ছিন্ন হয়ে
ভেসে এসেছিল সে; মানুষ
নিজেদেরই প্রয়োজনে লাল উত্তরীয় মুড়ে তাকে বানাল ভোজবাজিকর।
হাতের যাদুকাঠিটি আজ কোই, যার ইশারায়
ঘুমিয়ে পড়ত দস্যু কাকাতুয়া দল?
কাকাতুয়া নেই, নেই তাদের উদ্যম দস্যুতাও
গ্রীষ্মের সমস্ত গান হিম হয়ে জমে আছে ক্লান্তির কফিনে।

নদীটি অধুনালুপ্ত;... বাকিটুকু পড়ুন

শৈশবে ফিরছি
ফিরছি কাকতাড়ুয়া আর
একটি নদীর চিত্রকল্পে।
সেই কাকতাড়ুয়ার ভুশণ্ডি জীবন:;
বহুযুগ আগে এক প্রকাণ্ড কাঠের গুঁড়ি থেকে ছিন্ন হয়ে
ভেসে এসেছিল সে। মানুষ
নিজেদেরই প্রয়োজনে লাল উত্তরীয় মুড়ে তাকে বানাল ভোজবাজিকর।
হাতের যাদুকাঠিটি আজ কোই, যার ইশারায়
ঘুমিয়ে পড়ত দস্যু কাকাতুয়া দল?
কাকাতুয়া নেই, নেই তাদের উদ্যম দস্যুতাও
গ্রীষ্মের সমস্ত গান হিম হয়ে জমে আছে ক্লান্তির... বাকিটুকু পড়ুন

হাসপাতাল আমার পছন্দ নয় একদমই, হোক তা যতই পরিপাটি, অভিজাত ও বৃষলী নার্সদের সেন্টে সড়োগড়ো। তার বিছানার হিম নীরবতা জুড়ে থাকে— কয়েকলক্ষ জোনাকের মৃত্যু, মোহ্যমান গাছেদের দূরাগত ফিচেল ফুঁৎকার। সেই সব সেবিকারা কী করে জানেন, রোগীদের অতসব দুরূহ প্রশ্নের এত সহজ উত্তর? আমি তো চেয়েছিলাম— নিরুদ্দিষ্ট অন্ধকারে ধাবমান কোনও এক... বাকিটুকু পড়ুন

জ্বর এলে মা’র কথা খুব মনে পড়ে

মনে হয়— করোটির সীমারেখা দূরে অবিরল খাদ;

নাবিকের গলিত শরীরে মাখা অনুক্ত শব্দের ঘ্রাণ ভেসে আসে।



জ্বর এলে মা’র কথা খুব মনে পড়ে।

মনে হয়¬— শৈশব খোঁড়ল বেয়ে উঠে আসে কৃকলাস

¬— অসহায়, বাস্তুচ্যুত¬ — ... বাকিটুকু পড়ুন

বাকিটুকু পড়ুন

বাবুই পাখিরা চেয়েছিলো-

মাছরাঙাদের সাথে হোক

জীবন বদল।

বাবুই পাখিরা চেয়েছিলো-

ধুয়ে যাক লবণের বিষ।

বীজ ফুল মধুরেণু সাথে

আরও থাক নিরেট আমিষ। ... বাকিটুকু পড়ুন

ঘুম ভাঙে। চোখ তুলে চেয়ে দেখি- বিবর্ত আঁধারে

ভেসে ওঠা এক মা প্যাঙ্গুইনের মর্মান্তিক মুখ।

ঢিল ছোঁড়া কাঁপা কাঁপা অচল জলের মতো তার

অসহায় অনুনয়। সদ্য-পাড়া ছাই রঙা ডিমগুলোর

একাংশ এখনও যে অক্ষত! বাতিঘরে ঘূর্ণাবর্ত

আলো যেন সচেতন দুটি চোখ: বিদ্যুৎ-সকাশে

সপ্রতিভ হয়।হলাহল বুলেট-বেয়নেটের ... বাকিটুকু পড়ুন

যুবকটি জবুথবু, তবু ছুটছে সমুদ্রের পাড়

যুবতীটি প্রাণোচ্ছল, বাঁধা ওর বাহুর বন্ধনে;

দূরে এক ঝাউ-বন ছড়াচ্ছে আমিষ গন্ধ, আর

জাগিয়ে তুলছে ঢেউ, সীমা-ক্লান্ত নাবিকের প্রাণে।

আমিও তো ছুটে আসি তোমার সৈকতে

নিস্তরঙ্গ থেকে একা কুড়াই বিষাদ;

মিথ্যা মিথ্যা ভাব-ভাষা ধোঁয়াশা বালিতে ... বাকিটুকু পড়ুন

সুস্মি, মনে পড়ে ?

সেই লালধূলি সন্ধ্যা, ধোঁয়াটে নৈঃশব্দ্য?

ছেঁড়া ছেঁড়া বাতাসের রোমকূপে হারানো রোদের বিন্দু?

মনে নেই তোমার? ওই যে......

জোড় মুনিয়ার কণ্ঠ বয়ে গেল আমাদেরই মাঝে

তড়িতাহতের মতো তুমি শিউড়ে উঠলে,

বললে- যদি আমরাও উড়ে উড়ে ভাসতাম জলে! ... বাকিটুকু পড়ুন

আমার ভেতরে এক নিরিবিলি সুঁড়িঘর।আর

জানালায় আছড়ে পড়ছে

অভিশপ্ত কোয়ার্কের দল।

তাদের শরীরে লেগে আছে-

বিদগ্ধ প্যালিকানের পালকের ঘ্রাণ

-নিঃসাড় শুদ্ধতা-

বারম্বার ছিঁড়ে ছিঁড়ে যাচ্ছে সব চিত্রল নিঃস্বন; ... বাকিটুকু পড়ুন

আমরা দুজন থেকেছিলাম পানসে মেঘে মেঘে

দূর-পাহাড়ের নীরবতায় ছায়া ছায়া জেগে;

শ্বেতী-দাগী দুটি পাখি ঠোঁটে মাখামাখি

কণ্ঠ ছিল ভিন্ন; বেসুর সুর মিলে মিশে

ছন্দ হত তবু; আর অন্ধ সে-খুনসুটি

কেউ কি দেখতে পেত? হয়তো দেখার চোখ ছিলনা।

অনুভবে চুপিচুপি আমরা ছিলাম মিশে- ... বাকিটুকু পড়ুন

দীঘির ধারে রৌদ্রেপোড়া চিরোল হিজল নিদ্রাহারা

এক লহমার শুষ্ক হাওয়া মুঠোয় পুরে ঘুম এনেছে।

এখন যে তার ঘুম পেয়েছে

এক সাগরের ঘুম পেয়েছে।



দলছুট এক পিগমি ভেড়া ঘুরছিল চুপ বিজন তৃণেঃ

পথ ভুলেছে; ভয়াল ভীষণ ন্যাকড়ে ডাকে পথ চিনেছে। ... বাকিটুকু পড়ুন

একটি নির্ভীক ঘাসফড়িঙ রাত্রির

নিরেট আঁধার চিরে ঢুকে পড়ে আমার শোবার ঘরে

(আলোকিত স্বপ্নাচ্ছন্ন)। না, না

নবীন পাতার গন্ধে কিংবা

ঔজ্জ্বল্যের মোহে নয়- স্রেফ অনুসন্ধিৎসায়।

এক মৃদু মৃদু আশ্চর্য সুঘ্রাণ হয়তো সে পেয়েছিল

দূরের সংকেতগ্রাহী এন্টেনায় তার। ... বাকিটুকু পড়ুন

১)



কন্যা, ভালো লাগে বাতিঘর?

নোনা বায়ু, ঘোলা জল, আচমকা ঝড়?

এতো যে ব্যথিত! লাগে না তো?

ওহে কন্যা, ধৈর্য ধর

তোরই গর্ভে জন্ম নেবে ... বাকিটুকু পড়ুন