এক বন্ধুর স্ত্রীর শারীরিক সমস্যার কারণে জরুরী অপারেশন করাতে মেডিকেলে ভর্তি। ১দিন আগেই অপারেশন করার কথা থাকলেত্ত ত্ত নেগেটিভ রক্ত সহজলভ্য না হত্তয়ায় ম্যানেজ করতে করতে আর তা সম্ভব হয়নি। বেলা ১১.৩০ এ অপারেশন থিয়েটারের কাছে নিয়ে গেলেত্ত সারা দিন পর সময় হয় ৫.৩০ এ অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যেতে। এটা লাগবে সেটা লাগবে। তাই ত্তটির কাছেই তিনজন দাড়িয়ে আছি কথন কী লাগে না লাগে। আমাদের মতই অনেকে আছে স্বজনদের অপেক্ষায়। বলা বাহুল্য এটি নবজাতকদের ত্তয়ার্ড। তারপরত্ত আছি কী প্রয়োজন হয়। হুট করে একজনের আগমন। তার পরিচয় আনসার সদস্য । এসেই ঝারি
হ্যা এখানে থাকা যাবে না।
শান্ত কন্ঠে বললাম রোগী আছে যদি কিছু লাগে।
না থাকা যাবে না বারান্দায় যান।
তার কথার ঝাঝ দেখে একফাকে নামটি দেখে নিলাম-মুক্তার
একটু পর উকি মেরে দিখি তিনি আর কাউকেই যেতে বলেনি সেখান থেকে। বরং ৫/১০ টাকার নোট নিয়ে ব্যস্ত।

একটু পরে ২য় জন বাইরে এসে বলল ভাই আপনার যত বার ইচ্ছে যাবেন কোন সমস্যা নেই।
নবজাতক ইউনিটের অপারেশন থিয়েটারের কাছে ছেলে হয়েত্ত কেন গেলাম? গ্লাভস থেকে শুরু করে রক্তের ব্যাগ, সুচ সবই নিয়ে আসেন নিয়ে আসেন। বাইরে থেকে। আমি যদি ১০ টাকার একটি নোট ধরিয়ে দিতাম ব্যস্ত মুক্তার সাহেব চুপ। কোন আত্তয়াজ দিতেন না। তার ব্যবসায় লাল বাতি জ্বলবে তাই এত জ্বালা।
প্রায় ২ ঘন্টা বাইরে থাকার সময় আর কোন টাকা খেল না সে। একটু পর পর উকি মেরে দেখছে তার টুল থেকে আমি চলে গেছি কিনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হয়েত্ত যদি ঢাকা মেডিকেল এ গিয়ে আনসারের ঝারি খেতে হয় ৫/১০ টাকা না দেত্তয়ার কারণে তা হলে গ্রামের সাধারণ অসহায় মানুষগুলো যারা এই শহবে আসে মেডিকেলে স্বজনদের নিয়ে তাদের কী অবস্থা হয় ভাবা যায় একবার?