তারিখটা মার্চের ছয়;
ভোর থেকেই মনে লাগছিল ভয়।
এত্তগুলো খুশি আর কদ্দিন সয়!
তাই ভাবছিলাম অবচেতনে হয়তো? বোধহয়?
কিন্তু তাই বলে ভাবি নি হবে এমনটা,
এমনি করে ঘুরে যাবে ছোট্ট জীবনটা।
মুখবইয়ের নীল দেয়ালে মোদের প্রেমগাথা
মোর পরিলেখে তারকাচিহ্নে সাঁটা।
ভাবতাম আমি, তুমিও বুঝি হবে আমারই মতো,
মতামত বক্সে এসে যাবে তোমার শুভাকাঙ্খী যত।
কিন্তু হয়ে গেল গোলমাল,
তিল হয়ে গেল তাল।
নিন্দুক তোমার এত যে ছিল
আগে যদি জানতাম!
মোদের কথা বন্ধুদের সাথে
ভাগ নাহি করতাম।
আমি বুঝি নি আমি কিশোর ছিলাম তাই,
করে ফেলেছিনু ভুল, দিতে হবে মাশুল।
‘আমার প্রিয়তমা’ বলে নেব চেয়ে ক্ষমা
অপরাধীর অনুতপ্ত মন ভেবেছিল এমনটাই।
সান্ধ্যকালীন আলাপন
করে দিল শাস্তি নির্ধারণ।
নিস্পৃহ কণ্ঠে বলে দিলে তুমি-
তোমায় যেন ভুলে যাই আমি।
আমার সাথে সব সম্পর্ক তোমার শেষ,
আমার জীবন থেকে তুমি হবে নিরুদ্দেশ।
মুঠোফোনটা আমার হাত ফসকে যায়;
বদ্ধ ঘরে আটকে বসে থাকি নিরালায়।
কিছু মুহূর্ত পেরোলে
মুঠোফোনে তোমায় আবার ডাকি,
“কক্ষণো আর হবে না এমন,
বিশ্বাস কর আমার সোনাপাখি!”
তুমি শুধু বললে এটুকু,
“কেঁদেকেটে কোন লাভ হবে না,
আমায় আর কখনো কল দেবে না।”
লাইনটা কেটে গেল।
মুঠোফোনটা আবার হাতছাড়া হল।
নেত্রপল্লবে জমে থাকা মেঘ
ঘনীভূত হতে থাকল।
প্রেম, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা সব
ভেসে যেতে লাগল।
ভূলুণ্ঠিত হয়ে পড়ে থাকি আমি,
এ কেমন গুরুদণ্ড পেল আসামী!
কিছু ভাবতে গেলেই গুলিয়ে যাচ্ছে,
শুধু তোমার মুখটাই সামনে ভাসছে।
হে প্রেমিকা,
তোমার সামনে আমি আজ নতজানু হয়েছি,
সকল পুরুষত্বের অহংকার বিসর্জন দিয়েছি।
হে প্রিয়তমা,
আমায় তুমি অনুগ্রহ করো,
নিগ্রহ করো না।
আমায় তুমি ক্ষমা করো,
বিগ্রহ করো না।
অতি মানবী,
সেদিন শোন নি আমার প্রতিবাদ,
ছিলে সম্পূর্ণ নির্বিকার।
সেদিন বোঝ নি আমার আর্তনাদ,
কেড়ে নিয়েছিলে ভালোবাসার
সমস্তটুকু অধিকার।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫০