লিখতে গিয়েও কলম থেমে যায়।
কি দরকার এসব প্রতিবাদ লেখায়?
তাই দেখেও না দেখে থাকি,
শুনেও না শুনে থাকি,
জেনেও না জেনে থাকি।
এদিকে মানবাধিকার কমিশন মাথা তুলে দাঁড়ায় সংবাদমাধ্যমের দ্বারে
আর টক-শোতে পক্ষ-বিপক্ষ পরস্পরের মুণ্ডুপাত করে কথার ধারে।
আবার প্রতিবাদে উত্তাল হয় শাহবাগ,
মানববন্ধনে সরগরম হয় প্রেসক্লাব।
নতুন ইস্যু নিয়ে জ্বালাময়ী স্ট্যাটাস দিয়ে
জাতে উঠে আসে ফেসবুক প্রজন্ম।
আর কর্তৃপক্ষ হলুদ সাংবাদিকের মাইকে ঘোষণা দেন
“খুনীদের খুঁজে বের করা হবে অমুক দিনের মধ্যে।”
পরপরই আসে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির ঘোষণা।
এবং সপ্তাহ না ঘুরতেই থেমে যায় সব আলোচনা।
আমি এসব দেখি,
আমি এসব শুনি,
আমি এসব জানি।
তাই চোর অপবাদে সিলেটে রাজন
কিংবা খুলনার পায়ুপথে বায়ুযোগে রাকিব
কাউকে নিয়ে আমি কিছু লিখি না
আর লিখেই বা কি লাভ হত?
সেই তো সপ্তাহখানেক
মাতম হল, শোকসভা হল, স্মরণসভা হল এই কম কিসে?
এও বা ক’জনের ভাগ্যে জোটে নির্বিকারত্বের দেশে?
মরে গিয়ে ওরা বরং বেঁচেই গেছে!
আমি তাই ওদের নিয়ে লিখি না।
নীল আকাশে মেঘের ছুটোছুটি
অথবা প্রেমের সাথে মিষ্টি খুনসুটি
এসব নিয়েই লিখি।
ওসব প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আমি তাই লিখি না।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০৫