লিখতে চেয়েছি মনের কথামালা,
লিখতে পারি নি কিছু।
দুঃখের ঘরে মারতে চেয়েছি তালা,
কান্না ছাড়ে নি পিছু।
দেখতে চেয়েছি স্বাধীন আকাশ,
ভাঙতে চেয়েছি শৃঙ্খল।
খুঁজতে চেয়েছি সত্যের আবাস,
রুদ্ধ করতে চেয়েছি মিথ্যার ঢাকঢোল।
ভালোবাসতে চেয়েছি মনের জানালায়,
ঘৃণাকে দিয়েছি ঘৃণা।
স্বাধীনতা হারিয়েছি হিংস্র আলেয়ায়,
জেগেছি আবার নিয়ে উন্মাদনা।
সব চাওয়া যখন হচ্ছে নির্যাতিত,
স্বাধীনতা দেখি নিম্নমুখী ক্রন্দনরত!
জিতে গিয়েও লাগছে পরাজিত,
হায়েনার কবলে নিরীহ হচ্ছে নিষ্পেষিত।
লাল সবুজ আজ আবার রক্তে রাঙা,
পরাধীনতার শিকল বুঝি এখনও হয় নি ভাঙা?
ত্রিশ লাখ রক্তে পশুর মেটে নি ক্ষুধা!
আবার হেনেছে ধারালো নখের থাবা।
রক্তে রাঙা হতে থাকবে না কোন শোক,
হায়েনা পশুর দাঁতগুলো তবু ভাঙা হোক।
লাল সবুজের মানচিত্রে রাখবো না কোন দাগ,
পশুরূপী রাজাকারেরা বাংলাদেশ থেকে ভাগ।
বীর বাঙালি জেগেছে আবার,
৭১ এর অসমাপ্ত কাজ এখনও বাকি।
কণ্ঠ আবার প্রতিবাদে মুখর,
মারতে হবে পশু, দেবো না আর ফাঁকি।
আর একবার মুষ্টিবদ্ধ করেছি এই হাত,
রক্তের বদলা রক্ত দিয়েই হবে।
ভাঙতে হবে রাজাকারের বিষদাঁত।
এখন না হলে আর হবে কবে?
দেখতে দেখতে কেটে গেল ৪২টি বছর,
এখনও বাংলার মাটিতে আছে রাজাকারের দোসর।
শহীদের ঋণ এখনও হয় নি শোধ,
তবুও স্বস্তি; অবশেষে জাতির জেগেছে বোধ।
বীর বাঙালি হও আগুয়ান,
লাল সবুজের ঝাণ্ডা ওড়াতে করো না দ্বিধামাত্র।
যুদ্ধাপরাধী করো এবার নিধন,
হও যদি বাংলা মায়ের পুত্র!