somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চন্দ্রবোড়া

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভাষার আধিপত্যে আমরা আমাদের পরিচিত নামগুলোকে ইংরেজিতে নতুন ভাবে জানছি। এটা জাতিগত ভাবে কি নিজস্ব সংস্কৃতি বা ভাষার ক্ষেত্রে আমাদের সংকীর্ণতা প্রকাশ করছে? নাকি আন্তর্জাতিক করণের নাম দিয়ে প্রপাগান্ডা প্রচার হচ্ছে?
চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Daboia russelii) ভাইপারিডি পরিবারভুক্ত ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম বিষধর সাপ এবং উপমহাদেশের প্রধান চারটি বিষধর সাপের একটি।

আমাদের গনমাধ্যম আমাদেরই অঞ্চলের একটি সাপকে কেন ইংরেজি নামে প্রচার করে, এটার কারণ কি হতে পারে বুঝে আসেনা। গ্রামীণ একজন কৃষক বা সাধারণ মানুষ কি এই রাসেল ভাইপারকে চন্দ্রবোড়ার থেকে সহজে চিনতে পারবে নাকি সংশয়ে পরিচিত সাপটিকেও বিদেশী সাপ বলে গন্য করবে। আমাদের এই সমস্যা এখন রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। আমাদের দোকানগুলোর নাম, প্রতিষ্ঠানের নাম, স্থানগুলোর নাম, বইয়ের নাম, কবিতা,গল্প,উপন্যাসের নামও পর্যায়ক্রমে ইংরেজিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।


ভাষা যেভাবে আমাদের সংস্কৃতিতে প্রভাব ফেলছে তার দার্শনিক,ঐতিহাসিক বা তাত্ত্বিক বিচারে না গিয়ে আমরা বরং খালি চোখের পরিবর্তনগুলো যদি দেখি তাহলে দেখবোঃ- ঢাকা শহরে কোন একটি বাড়ির নাম যদি আপনি বাংলায় রাখেন সেক্ষেত্রে দেখবেন সেখানে দেশীয় ফুলের গাছ , সামনে খানিকটা জায়গা, বাড়ির নকশায় দেশীয় সংস্কৃতির ছাপ থাকে। একটা দোকানের নাম যখন বাংলায় রাখা হয় সেখানে নামের সাথে সাথে দোকানের সজ্জা ও পরিবেশের ও একটা পার্থক্য থাকে।

কিন্তু বর্তমানে আমাদের দোকান, প্রতিষ্ঠানের নামগুলো আরবী এবং ইংরেজির মিশ্রণে নতুন এক ধরণের বিপর্যয়ের সৃষ্টি করছে যেটা আমাদের অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও প্রকৃতির প্রতি বিরুপ মনোভাব তৈরি করছে। আগে আমাদের প্রত্যেক বাড়িতে সেটা একজন প্রান্তিক কৃষকের ভাঙ্গা ঘরেও পুরোনো কোন মাসিক পত্রিকা এবং একটা দেয়াল ঘড়ি এবং কাপড়ে নকশা করা কটন বার্ডের অথবা সেলাই করা কিছু একটা ফুলের বা অন্য কিছুর দেখা মিলতো। ক্রমান্বয়ে সেটা এখন হারিয়ে যাওয়া একটা সংস্কৃতিতে পরিনত হয়েছে। মানুষ এখন পরিচিত কিছু ফুলগাছ ছাড়া অন্য সুন্দর ফুলগুলো চিনেনা এবং আবাদও করেনা। কত ধরণের গাছ ছিল সেগুলো মানুষ না লাগিয়ে বিদেশী গাছগুলো আবাদ করছে। এই সমস্ত কিছু মনে হয় আমাদের ভাষার ব্যবহারের দূর্বলতার কারণে। আমরা এখন বিদেশী নামক রোগে ভয়ংকর ভাবে আটকে গেছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:২৬
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সামনে বিপুল, বিশাল চ্যালেঞ্জঃ মোকাবেলায় কতটুকু সক্ষম বিএনপি?

লিখেছেন শেহজাদ আমান, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



১. ভুল রাজনৈতিক বিশ্লেষণ, দূরদর্শিতার অভাব

বিএনপি বাংলাদেরশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। লোকবল ও জনপ্রিয়তায় তাঁর ধারেকাছেও নেই অন্যকোনো রাজনৈতিক দল। মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক ধারায় আছে বলেই বাংলাদেশের মধপন্থী ও উদারপন্থী... ...বাকিটুকু পড়ুন

চিঠি।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৩০



চিঠি: এক হারিয়ে যাওয়া অনুভূতির নাম

চিঠি—শুধু একটুকরো কাগজ নয়, এটি আবেগের স্পর্শ, অপেক্ষার মধুরতা, ভালোবাসার নিঃশব্দ উচ্চারণ। এক সময় মানুষের ভাব বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম ছিল এই চিঠি। স্বামী লিখতেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ডিফেন্স গ্যালারী Defence gallery

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০১

মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটির মরদেহ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে হেলিকপ্টার যোগে নিয়ে যাওয়া হলো নিজ বাড়িতে
ঢাকা ১৩ মার্চ ২০২৫ (বৃহস্পতিবার): মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখ দুপুর ০১:০০ টায় সম্মিলিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমা করবেন আরেফিন সিদ্দিক স্যার..

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:৩৭


আরেফিন সিদ্দিক স্যারের লাশটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দিচ্ছে না। ক্যাম্পাসের সাথেই সংযুক্ত হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে লাশ রাখা। শহীদ মিনারেও শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দেবে না, ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে হবে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাথর চোখের কান্না- ৩

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৪১

অন্ধকারের ভাবনা.....

চোখের সমস্যার জন্য নানাবিধ টেস্ট করিয়েছি। যার মধ্যে অন্যতম Ophthalmoscopy, Funduscopy, Optic fundus, OCT (Optical Coherence Tomography এছাড়াও যেহেতু মাথায় যন্ত্রণা থাকে সেজন্য CT Scan এবং MRI করতে হয়েছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×