somewhere in... blog

বুয়েট মেধাবীদের কোন জবাব আছে? B-)) B-)) B-))

১৬ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আইজকা প্ররথম আলুতে লেখচে বুয়েটে দলীয়করন চলতাছে। উলটাপালটা নিয়োগ শুরু হইছে। কিছুদিন আগে শুনলাম বিচি নজরুল নাকি তার পোলারে সিএসই টিচার হিসাবে নিয়োগ দিতাছে যদিও সে ডিপার্টমেন্টে ২৬ তম হইছে =p~ =p~ =p~

আর আজকে আলুতো ধুইয়া দিছেঃ
মেধাবীদের পীঠস্থান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রশাসনে দলীয়করণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের ৩৪ নম্বর ধারায় শিক্ষক-কর্মচারীদের রাজনীতি করার বৈধতা নেই। কিন্তু ক্যাম্পাসে জোরদার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের অনুগত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গড়া ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’।
জানা গেছে, এই পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কামাল আহম্মদ একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তা ছাড়া কর্মকর্তা নিয়োগ ও পদোন্নতিসংক্রান্ত কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়ে। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রেজিস্ট্রার নিয়োগের বিষয়টি আসলে টেস্ট কেস। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হলে বুয়েট প্রশাসনে দলীয়করণ শুরু হবে। আর এতে বুয়েটের পরিবেশ ও ঐতিহ্য ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে।’
জানতে চাইলে বুয়েটের উপাচার্য নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রশাসনে দলীয়করণ হচ্ছে না।
সহ-উপাচার্য হাবিবুর রহমান বলেন, আগের প্রশাসনগুলো অনেক বেশি দলীয় ছিল। বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে দলীয়করণের অভিযোগ সত্য নয়।
ডিপ্লোমাধারী ব্যক্তি হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার: ২০১০ সালের জুনে রেজিস্ট্রার মো. শাহজাহানের মেয়াদ শেষ হয়। নিয়ম অনুযায়ী কম্পট্রোলার মো. জসিম উদ্দিন আকন্দকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৩১ আগস্ট নিয়োগ পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই উপাচার্য নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে উপরেজিস্ট্রার কামাল আহম্মদকে দায়িত্ব পালনের জন্য অফিস আদেশ জারি করেন। এরপর থেকে দুই দফা রেজিস্ট্রার পদে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞাপন দিলেও প্রতিবারই নানা কারণ দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ নিয়োগ-প্রক্রিয়া বন্ধ রাখে।
সম্প্রতি আবার পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তাতে রেজিস্ট্রার পদের জন্য কামাল আহম্মদও আবেদন করেছেন। সূত্র জানায়, রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালনের জন্য উপরেজিস্ট্রার হিসেবে অন্তত পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। কিন্তু কামাল আহম্মদ উপরেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পান ২০০৯ সালের ৩০ জুন। অর্থাৎ মাত্র এক বছর নয় মাস ধরে তিনি এ দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্র জানায়, রেজিস্ট্রার নিয়োগ-প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত পয়লা ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কামাল আহম্মদকে আপগ্রেডেশন পদোন্নতি দেয়। সেখানে উপরেজিস্ট্রার হিসেবে তাঁর নিয়োগ দেখানো হয়েছে ২০০৪ সালের ১৬ মার্চ থেকে। নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওই সময় কামাল আহম্মদ ছিলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তিনি সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে পদোন্নতি পান ২০০৫ সালের ২৯ জুন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের সেরা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের সনদে সই করবেন একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী—এটা মেনে নেওয়া যায় না।’
উপাচার্য বলেন, বিজ্ঞাপন দেখে যেকোনো ব্যক্তি আবেদন করতে পারেন। সেগুলো দেখার জন্য বাছাই কমিটি আছে। কামাল আহম্মদ যোগ্যতাসম্পন্ন না হলে সিলেকশন কমিটি তাঁকে বাদ দেবে।
আপগ্রেডেশন পদোন্নতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সহ-উপাচার্য বলেন, সিন্ডিকেট নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে উপরেজিস্ট্রার হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছে।
পছন্দের ব্যক্তিদের দিয়ে নিয়োগ কমিটি: অভিযোগ উঠেছে, বর্তমান প্রশাসন এসব কমিটি করছে নিজেদের পছন্দের লোকদের দিয়ে। আর প্রথমবারের মতো উপাচার্যের পরিবর্তে কয়েকটি কমিটির সভাপতি হয়েছেন সহ-উপাচার্য হাবিবুর রহমান।
সূত্র জানায়, সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) সভাপতি সহ-উপাচার্য। কমিটিতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা আছেন। নির্বাচনী বোর্ডের সভাপতি উপাচার্য। আর এসএসবির তিনজন সদস্য এই কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন। অর্থাৎ একই ব্যক্তিদের দিয়ে গঠন করা হচ্ছে এসব কমিটি।
শিক্ষকদের অভিযোগ, উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের অনুগতদের নিয়োগ ও পদোন্নতির সুবিধার জন্যই পছন্দের ব্যক্তিদের দিয়ে এসব কমিটি করা হয়েছে।
কমিটিতে পছন্দের ব্যক্তি রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে উপাচার্য বলেন, এসব কমিটিতে কারা থাকবেন সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে কিছু বলা নেই। আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ-উপাচার্য ছিলেন না। বর্তমানে সহ-উপাচার্য থাকায় তাঁকে কয়েকটি কমিটির সভাপতি করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সিদ্ধান্তে হবে নিয়োগ: আওয়ামী লীগ সমর্থক কর্মকর্তাদের নিয়ে ২০০৬ সালে বুয়েটে গঠিত হয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক-ছাত্র-কর্মচারীদের রাজনীতি করার বৈধতা বুয়েট অধ্যাদেশে দেওয়া হয়নি। তারপরও কর্মকর্তাদের এই সংগঠনটি প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, নিয়মিত বৈঠকও করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বুয়েট ক্যান্টিনে পরিষদের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বুয়েটের প্রশাসনিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সুপারিশ মানতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানোর সিদ্ধান্তও হয়। যোগাযোগ করা হলে পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কামাল আহম্মদ বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
সহ-উপাচার্য এখনো আইটিএনের পরিচালক: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপাচার্য কিংবা সহ-উপাচার্যের মতো প্রশাসনিক পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লিয়েনে গেলে একাডেমিক পদে আর থাকেন না।
তবে সহ-উপাচার্য হাবিবুর রহমান এখনো ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনিং নেটওয়ার্কের (আইটিএন) পরিচালক হিসেবে বহাল আছেন। সূত্র জানায়, ডানিডার অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পে কিছু আর্থিক ও গাড়ির সুবিধা থাকায় তিনি পরিচালকের পদ ছাড়ছেন না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সহ-উপাচার্য হলেও আইটিএনের পরিচালক পদে থাকতে সমস্যা নেই। আগের উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা রাখেননি। তাই আইটিএনের গাড়ি তিনি ব্যবহার করছেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, পরিচালক পদের দায়িত্ব হস্তান্তর নিয়ে কিছুটা সময় নেওয়া হচ্ছে।






বুয়েট মেধাবীরা এখন কি কইবেন?>
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:৫১
৯৭০ বার পঠিত
৩৩টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কে আমি.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১১

কে আমি?.....

Jean-Paul Charles Aymard Sartre (আমরা সংক্ষেপে বলি- জ্যা পল সাত্রে) নাম ভুলে যাওয়া একটা উপন্যাসে পড়েছিলাম, জার্মানীর অর্ধ অধিকৃত ফরাসীদের নিয়ে।

'হিটলারের সৈন্যরা প্যারিস দখল করে নিয়েছে। কয়েকশো মাইল দূরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভোজন -শিল্পী- বাঙালি

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯


আমাদের বাঙালির রান্নাঘরে পঞ্চ ব্যাঞ্জন আয়োজন নিয়োজন করেন মা দাদী নানীরা কিন্তু কোন মাছের সাথে কোন সবজী যায় ,মাংসের ঝোলে কতটা গাঢ় হবে সেটুকু নির্ধারণ করেন আমাদের বাবা দাদা... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হচ্ছে না!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৮


বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করার জন্য সমাজের একটি বৃহৎ অংশ দাবী জানিয়ে আসছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি কে অনেকে দায়ী করছে কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পকে আধুনিকায়নের চেষ্টা

লিখেছেন জটিল ভাই, ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে)

বনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৩

বর্তমান সময়ের রাজনীতি নিয়ে আমার আমার পর্যবেক্ষণ সমুহঃ
১। শেখ হাসিনা এখন হুমকি ধামকি না দিয়ে হাল্কা পাতলা কান্না কাটি করলে এবং দুঃখ প্রকাশ করলে আওয়ামী লীগের উপকার হত।
২।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×