কৌতুক কালেকশন -২: অর্থপূর্ণ কৌতুক কালেকশন
আসছালামুআলাইকুম.....শুভ দুপুর আর সন্ধার মাঝের কাল ।... কিছু মারাত্মক হাসির পাশবিক কৌতুক আপনাদের শুনামু যা অত্যন্ত হাসির বলে আমি মনে করি। আপনারা হাসতে হাসতে যদি হার্ট এটাক করেন তো আমার দোষ নহে। নিচে দেয়া পাশবিক কৌতুক গুলো খুবই অর্থপূর্ণ, কটাক্ষপূর্ন ও তাৎপর্য বহুলও বটে । পাশবিক কৌতুক গুলো কম হাসির হলে আর মোটামুটি হাসির হলেও দায় এই কপি পেষ্ট কারকের নহে । যদিও কিছু সেলফ বিযয় সবগুলাতেই আড করছি । আর মৌলিক লেখাও আছে । আগেই বলে রাখছি এই কৌতুক কিন্তু কিছু উর্বর মস্তিস্ক প্রসূত গর্ভস্রাব মাত্র। অনেক চরিত্র, ঘটনা, স্থান, বা কালের সাথে এর মিল খুজে পেলে পেতে পারেন । ইহাতে কারোর আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয় ।
১ । হাতি ও পিপডা (একটি ডেটিংয়ের আত্মকাহীনি)
এক পিপড়া ভালবাসে এক হাতিকে
তাই তারা গেল একদিন ডেটিংয়ে
অনেক কথা হল, রোমান্স হল
অনেক গল্পের পর পিপড়া সুধালো
ওর মনে আছে এক সাধ ।
আহ্লাদি হাতি জানিতে চাহিল পিপডার মনের বাসনা
পিপড়া সুধালো সে হতে চায় হাতির বাচ্চার মা
কথা শুনে হাতি heart attack করে মারা গেল!!
তখন পিপড়া কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগল,
এক রাত ডেটিং করলাম!!
এখন সারা জীবন যাবে কবর খুড়তে ।
[ বিঃ দ্রঃ পিপড়া তার নিজের ওজনের তুলনায় ৬০ গুন বেশী ভার বহন করতে পারে ]
২ । সিংহ ও পিপড়া কথপোকথন
অনেক দিন আগের কথা----
একদিন জঙ্গল থেকে এক পিপড়া জঙ্গলের নিয়ম ভেঙ্গে, মনের দুখে জঙ্গল থেকে চলে আসবে বলে সিদ্ধান্ত নিল। আসার সময় পথের মধ্যে জঙ্গলের রাজা সংহের সংগে দেখা। সিংহ তাকে জিজ্ঞেস করল কিরে কোথায় যাচ্ছিস্। পিপড়া উত্তর দিল আমি জঙ্গল থেকে চলে যাচ্ছি। সিংহ বলল কেন কি হয়েছে। পিপড়া বলল না রাজা মশাই আপনাকে বলা যাবে না, প্রেসটিজের ব্যপার। সিংহ বলল না তোকে বলতেই হবে। আমি জঙ্গলের রাজা আমার জানতেই হবে তুই কি করণে জঙ্গল থেকে চলে যাচ্ছিস। পিপড়া বলল রাজা মশাই দেখুনই প্রেসটিজ পানচার হয়ে যাবে। রাজা বলল এত কিছু বুঝি না তোকে বলতেই হবে তু্ই কি দুঃখে চলে যাচ্ছিস। এত করেই যখন বলছেন তাহলে হুনেন- কোন হালার পুতে যেন হাতিরে চিপায় ফালয়া কাম করছে এখন দোষ টা পড়ছে আমার !!!!
[ বিঃ দ্রঃ পিপড়াদের গতি এবং শক্তি বিষ্ময় জাগানোর মতো! মানুষের আকৃতির (মানুষের আকৃতি প্রাপ্ত হলে) একটি পিপড়া নিজের কাঁধে ৫০০ পাউন্ড বোঝা সহ ৩০ মাইল বা তার চেয়ে একটু বেশি পথ একনাগারে হাটতে পারে। প্রতি চার মিনিটে এক মাইল হিসাবে এরা ছুটতে পারে। এ হিসাব থেকে সহজেই অনুমান করা যায় এ প্রাণীটির গতি আর শক্তির। ]
৩ । পাখি ও পিপড়া
একদিন এক পিপড়া মনের সুখে জঙ্গলে ঘুরিতেছে। পথিমধ্যে সে পানিতে পড়িল। পিপড়া খাইলে সাতার শিখা যায়, বাট সেই বেকুব নিজেই সাতার জানিত না। ডুবে, ভাসে, এই মরে ত সেই মরে। ভয়াবহ সাসপেন্স, কী হয়... পিপিলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে, কিন্তু ভন্ড বাংলা প্রবাদকে মিথ্যা প্রমাণ করিয়া সেই হতভাগার কোন পাখাও গজাইলো না। পিপড়া কি তবে ডুবিয়া মরিবে? এই দৃশ্য দেখিল এক পক্ষি, সে বলিল হায় হায়। উড়াল দিয়া সেই পাখি একখানা পাতা নিয়া আসিল । সেই পাতার ভেলায় চড়িয়া পিপড়া জীবন বাচাইল। অনেকদিন কাটিয়া গেল। আবার আসিল বর্ষাকাল। পিপড়া বাহিনী বাহির হইল খাবারের সন্ধানে, গিয়া দেখে বুড়া হইয়া সেই পাখি মরিয়া রহিয়াছে, তারা খুশি হইয়া উঠিল। পিপিলিকার কলোনীর ১ বছরের খাবার জোগাড় হইয়া গিয়াছে। মরা পাখিরে পিপড়ায় খাইল।
[ বিঃ দ্রঃ রানী ক্লিওপেট্রা তাঁর ঠোঁটে লিপস্টিক ব্যবহার করতেন যা তৈরি হতো মেরুন রংয়ের বিটল পোকা থেকে, এর ফলে ঠোঁটে একটি গাঢ় লাল আভা ফুটে উঠতো, এছাড়া বেজ দেওয়া জন্য ব্যবহৃত হতো পিপড়া। ]
৪ । সিংগো ও বিলাই
বনে বাঘের বিয়ে হচ্ছে। সেখানে এসেছে শিয়াল, হাতি, সিংহ, ভাল্লুক আরো অনেকে। সবাই অনেক নাচ গান করছে। কিন্তু বিড়াল কিছুটা ব্যতিক্রম। সে একটু নাচে আর একটু কাঁদে। তা সিংহ মামার নজরে গেলো। বিড়ালের কাছে এসে বিড়ালকে বলছে........
সিংহ: কিরে বিলাই, তুই একবার নাচোসতো আর একবার কান্দোস, ঘটনা কি?
বিড়াল: কি আর কমু মামু, নাচি বাঘ মামুর বর্তমান অবস্থা দেইখা আর কান্দি বাঘ মামুর ভবিষ্যত চিন্তা কইরা।
সিংহ: ভবিষ্যত চিন্তা কইরা মানে?
বিড়াল: মামু, আমিও এক সময় বাঘ মামুর লাহান বাঘ আছিলাম, বিবাহ কইরা বিলাই-এ পরিনত হইছি।
[ বিঃ দ্রঃ
কন্সপিরেসি -একটি সেলফ অনুকাব্য
ইদুর মিলেছে শকুণের সাথে,
করেছে শষ্য ক্ষয়;
লাল পিপঁড়া উৎসব করে,
উইপোকাও উদ্ধত হয় । ]
৫ । অবশেষে পিপড়া মুক্ত একটি কাক কাব্য
বসে আছে একটি কাক টেলিফোনের তারে,
কত কথা ভেসে যায় ইথারে ইথারে
ওপাস থেকে প্রেমিকা তার প্রেমিককে বলে
লাভ ইউ
এপাস থেকে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বলে
মিস ইউ
কাক তার বাল ডাও বোঝে না ।
[ বিঃ দ্রঃ পল্টু: বল্টু, তুই কি শুনছস যে হাতির দুধ পান কইরা এক সপ্তাহে একটা বাচ্চার ওজন ২০ কেজি বাড়ছে। বল্টু: এটা অসম্ভব। কার বাচ্চার ওজন এভাবে বাড়ছে।
পল্টু: হাতির বাচ্চার। ]
৬ ।
হাতি বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়েছে । বিভিন্ন দেশ হাতি বিষয়ে তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রচনা লিখে পাঠিয়েছে ।
জার্মানী পাঠিয়েছে : হাতি পালন বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ভূমিকা ।
ইংল্যান্ড : হাতি এবং উপনিবেশ ।
আমেরিকা : হাতি এবং পুঁজিবাদ ।
ফ্রান্স : হাতি এবং প্রেম ।
সোভিয়েত ইউনিয়ন : রাশিয়া - হাতির মাতৃভূমি
বুলগেরিয়া : সোভিয়েত হাতি - বুলগেরিয় হাতির শ্রেষ্ঠ বন্ধু ।
এইবার কইঞ্চেন দেহিঃ
কিছু পিপড়া একত্রে চলিতেছিল । চলমান পিপড়াদের প্রথমটি বলিল যে তাহার পিছনে ২টি পিপড়া, দ্বিতীয়টি বলিল আমার পিছনে ২টি পিপড়া, ৩য়টি বলল আমার পিছনে ২টি পিপড়া তাহলে সেখানে পিপড়া মোট কয়টি?
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২৫