বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই সহজ সরল ও ধর্মপরায়ন।আর এইসব সহজসরল মানুষের দুর্বল দিক ধর্মকে পুঁজি করে বিশাল মহীরুহে পরিনত হওয়া ধর্মব্যবসায়ী দলটির নাম জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি'র পারস্পরিক অবিশ্বাসের রাজনীতির সম্পুর্নভাবে ফায়দা লুটছে জামায়াতে ইসলামী।
বাংলাদেশের বেশির ভাগ লোকই দরিদ্র এবং কোনো সন্দেহ নেই-মৌলবাদের ভিত্তিই হলো অজ্ঞতা এবং দারিদ্র্য,যেখানে এই অজ্ঞতা ডেকে আনে ভয়,অবিবেচনা,অসহিষ্ণুতা,কাপুরুষতাও কুসংস্কার।দরিদ্র লোকজনকে সহজেই বিভ্রান্ত করা সম্ভব এবং তাদের ধর্মের ভয় ও বেহেস্তের টিকেটের লোভ দেখিয়ে অনেক কিছুই করা যায়।ঠিক এই বিষয়ের উপর কাজ করেই জামায়াতে ইসলামী দরিদ্র ও ধর্মভীরু মানুষের মাঝে মৌলবাদ ও নিজেদের প্রোথিত করার কাজটি সুচারুরুপে করে যাচ্ছে অনেকদিন ধরেই।একই সাথে হানাহানির রাজনীতির মাঝে নিজেদের তুলনামূলক পরিচ্ছন্ন করে দেখানোর একটা প্রবনতা জামায়াতে ইসলামীর মাঝে রয়েছে।
একটি দেশের বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন অংশ হলো ছাত্ররা।ছাত্রদের মগজধোলাই ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মী বাড়ানোর জন্য ছাত্র রিক্রুট করার কাজটি করছে ইসলামী ছাত্র শিবির।একটা সময় বিভিন্ন কোচিং সেন্টার ও মাদ্রাসায় কর্মী যোগাড় ও নিজেদের ভ্রান্ত নীতি ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী এখন অনলাইনেও সদর্পে বিচরন করছে।যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার গতি যা-ই হোক না কেন,ছাত্র শিবির ও জামাতে ইসলামী কিন্তু থেমে থাকছেনা।যুদ্ধাপরাধের মানসম্মত(!) বিচারের পাশাপাশি পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর দোসর এই জামায়াতের সদস্যরা নতুন একটি বিষয়ের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষন করছে,তা হলো- অন্য দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের কর্মীদের চেয়ে তাদের চরিত্র পরিচ্ছন্ন,হানাহানির রাজনীতির বিরুদ্ধে এবং দূর্নীতিমুক্ত!
আসলেই কি তাই?
হত্যার রাজনীতিতে জামায়াত-শিবির কাঁচা খেলোয়াড় নয়,বরং তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছাত্র হত্যা ও নির্যাতনে অনেক বেশি পটু।১৯৭৭ সালে ইসলামী ছাত্র শিবির প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন বছরের মাথায় ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম সিটি কলেজের নির্বাচিত এজিএস ও ছাত্রলীগ নেতা তবারক হোসেনকে কিরিচে কুপিয়ে হত্যার রাজনীতি শুরু করে।১৯৮৪ সালে শাহাদাত হোসেন কে জবাই করে,১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলে জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি আবদুল হামিদকে গুলি করে হত্যা করে শিবিরের ক্যাডারেরা।১৯৯০ সালের পর থেকে ২০১২ পর্যন্ত সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলোর সংঘর্ষে নিহত হওয়া মোট ১৪ জন ছাত্রের মাঝে নয়জনই ছিলেন ছাত্র শিবিরের শিকার।১৯৮২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি বাম দল (ছাত্রমৈত্রী, জাসদ ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন)মিলে ১০ টি হত্যাকান্ড ঘটায় করে,অন্যদিকে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের চেয়ে তুলনামূলক পরিচ্ছন্ন,নীতিবান ও ধর্মভীরু বলে দাবী করা ছাত্র শিবির একাই ৭ জন(মতান্তরে) ছাত্রকে খুন করেছে।(আমার দেশ)।একাধারে আটজন তরতাজা মানুষকে হত্যা করে মাইক্রোবাসে ফেলে রাখে ছাত্র শিবিরের ক্যাডারেরা।তাদের হল দখলের রাজনীতির হত্যার মিছিলে সর্বশেষ যুক্ত হয় ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন,নৃশংসভাবে লাশ ফেলে রাখা হয় ম্যানহোলে।পূর্বসুরী রাজাকারদের মতন একের পর এক হত্যাকান্ড ছাড়াও শিবিরের কর্মীরা হল দখলেও পিছিয়ে ছিলোনা।কারমাইকেল কলেজ ছাত্রাবাস দখল,খু.মে.ক. হল দখল,শাবিপ্রবি'র হল দখল,ঢা.বি.'র বিভিন্ন হলে গোপন জঙ্গীবাদের দীক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে নারীদের ব্যবহার করে ছাত্রী সংস্থার প্রচারনা,ইডেন কলেজে ছাত্রী সংস্থা'র মাধ্যমে অস্থিরতা তৈরীর প্রচেষ্টা,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত হাজার ক্যাডার সক্রিয় করন,রাজশাহী পলিটেকনিক হল দখল,প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক কর্মী নির্যাতন,আধিপত্য বিস্তারে প্রতিপক্ষের উপর হামলা- অর্থাৎ কোনোভাবেই হলদখল ও হল সংক্রান্ত অপকর্মে পিছিয়ে নেই ছাত্রশিবিরের কর্মীরা।নিজেদের হানাহানির রাজনীতি থেকে মুক্ত এবং প্রচলিত ছাত্ররাজনীতি থেকে আলাদা দাবী করলেও তাদের জিঘাংসামূলক আচরনের শিকার হয়েছেন ট্রেনের চালক ও যাত্রীরা,পুলিশ সদস্যরা আক্রমনের শিকার হয়েছেন কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আজমকে গ্রেফতার করার জন্য! সাংবাদিক হয়েছে আক্রান্ত,শিক্ষককেহত্যা করা হয়েছে নৃশংসভাবে,বিরুদ্ধমত চাপা দেয়ার জন্যহত্যাচেষ্টা করা হয়েছে লেখকদের,ছাত্রদের বহনকারী বাসে আক্রমন করে বারবার আতংক তৈরী,শ্রেনীকক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় ছাত্র ও শিক্ষকদের,বঙ্গবন্ধুর পোস্টার ছেঁড়ার প্রতিবাদ করায় বহিরাগতদের কাছে জিম্মি থেকেছে হাজারো শিক্ষার্থী,এমনকি আক্রমনের লক্ষ্যবস্তু হতে বাদ যায়নি আমাদের গৌরবের স্বাধীনতা মেলাও!প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবি ও লেখক হাসান আযিযুল হক এবং মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে দেয়া হয়েছে লেখনী বন্ধ অথবা হত্যার হুমকি।তারপরও কেউ কি বলবেন,জামাত-শিবিরের রাজনীতি তুলনামূলকভাবে ভালো ও পরিচ্ছন্ন?
সচ্চরিত্র?দূর্নীতিমুক্ত?
চাঁদাবাজি ও অনৈতিক কর্মকান্ডেও জামায়াত-শিবির কোনো অংশেই কম নয়।ধর্মে জুয়ার প্রতি বিধিনিষেধ থাকলেও তা ধর্মব্যবসায়ী জামাত শিবির কর্মীদের জন্য সম্ভবত শিথিলযোগ্য,আর তাই হাউজি বা জুয়ার আসরে শিবিরের আধিপত্যবিস্তারের চেষ্টায় মারামারি করতে দেখা যায়।শিবির নেতার লালসার শিকার হয়েছে তরুনী,ইভটিজিং করতে গিয়ে আটক হয়েছে শিবির কর্মী,জামায়াত নেতার পরকীয়া করতে গিয়ে মুচলেকা প্রদান,ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে শিশুকে,জামায়াত নেতার হাতে ধর্ষিতা হয়েছে ছাত্রী - এরকম সচ্চরিত্রের উদাহরন দেয়া যাবে ভুরিভুরি।স্কুলের জমি দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান,ইয়াবা ব্যবসায়ী শিবির নেতা অথবা মদ-গাঁজা দিয়ে অন্যকে ফাঁসানোর চেষ্টা-ঠিক নৈতিক আর কোনো অপকর্মে নেই জামায়াত-শিবির?
পার্শ্ববর্তী দেশের সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মুখর জামায়াত কর্মীরা ঠিকই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন করে চলে।মায়ানমারের মুসলিম নির্যাতনের প্রতি এদের মায়াকান্নার গোপন উদ্দেশ্য ঠিকই টের পাওয়া যায়,কেননা ইতমধ্যে হাজার হাজার শরনার্থী বাংলাদেশের ভুয়া জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট ও ভোটার আইডি বানিয়ে নিয়ে কার ভোটব্যাংক হিসেবে কাজ করছে-তা নিয়ে সন্দেহ থাকেনা।আমেরিকার আফগানিস্তান আক্রমনের কিছুদিন পরই জামায়াতে ইসলামী 'আমেরিকার যুদ্ধের শিকার নিষ্পাপদের সাহায্যে'' একটি ফান্ড গঠন করে এবং সেই ফান্ডে সংগৃহীত ১.২ কোটি টাকার কোনো হদিস কেউ বলতে পারেনি।২৬শে অক্টোবর,২০০৫ এর দৈনিক সংবাদ ইস্যুতে জামায়াতের সাথে তৎকালীন আফগান শাসকদের যোগসুত্র প্রদানকারী একটি ছবি প্রকাশিত হয়,যেখানে দেখা যায় জামায়াত নেতা মাওলানা সোবহান আফগানিস্তানের গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের সাথে বৈঠক করছেন।একই সাথে ডেইলিস্টারের ৭ নভেম্বর,২০০৫ সালের সংখ্যায় ইসলামী ঐক্যজোটের সাথে আলকায়েদার সংযোগ থাকার কথাও আলোচিত হয় ।ইসলামী ব্যাংকিংয়ের আড়ালে অবৈধ লেনদেন,জঙ্গী অর্থায়ন ও দুর্নীতির খবরও চাপা থাকেনি।ইটিভির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বের হয়ে এসেছিলো জামায়াতের নেতা কর্মীদের দুর্নীতির চিত্র।
বাংলাদেশ হবে পরিপূর্ন ইসলামিক স্টেট?
উইকিলিকসের মাধ্যমে তৎকালীন আমেরিকান ডেপুটি চীফ অফ মিশন নিকোলাস ডীন'র বরাতে বছরখানেক আগে প্রকাশিত এক তারবার্তায় জামায়াতের উদ্দেশ্য প্রকাশ পায়।জামায়াতের উদ্দেশ্য কেবল পরবর্তী নির্বাচন জেতা অথবা সংসদে আসনবৃদ্ধি নয়,বরং বাংলাদেশে পরিপূর্ন ইসলামিক আইন বা শরিয়া আইন প্রবর্তনই তাদের উদ্দেশ্য,আর সে উদ্দেশ্যেই তারা কাজ করে যাচ্ছে।এখানেই বাংলাদেশের সচেতন ধার্মিক ও উদার মানুষদের চিন্তিত হবার কারন রয়েছে।আফগানিস্তানের তালিবানদের সাথে প্রগাঢ় সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে ঠিক কি ধরনের শরিয়া আইন প্রবর্তন করতে চায়,তা অনকেটা আঁচ করা যায়।তালেবান শাসনের সময় আমরা জোর করে বোরখা পড়তে নারীদের বাধ্য করা,প্রকাশ্যে নারীদের বেত্রাঘাত,৮ বছর বয়সেই লেখাপড়া ত্যাগ করতে বাধ্য করা,মহিলাদের চাকরি করতে বাধা প্রদান,পুরুষদের বাধ্যতামূলক দাড়ি রাখা,নেইলপলিশ লাগানোর জন্য আঙ্গুল কর্তন,নারীর পোষাকের মাপ নেয়ার জন্য দর্জির শাস্তি ইত্যাদি বিভিন্ন মধ্যযুগীয় বর্বরতা শরিয়া আইনের নামে পরিচালিত হতে দেখেছি।উদার গনতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশকে পরিপূর্ন ইসলামিক স্টেট ও এখানে তালেবানী শরিয়া আইন প্রবর্তন করে ধর্মব্যবসায়ী জামায়াত-শিবিরের বর্বর শাসনব্যবস্থা চালু করার কোনো সুযোগ নেই।
উপরের সব ঘটনাগুলো জামায়াত শিবির কর্তৃক সংঘটিত অপকর্মের ক্ষুদ্র একটি অংশ এবং যুদ্ধাপরাধের তুলনায় বলতে গেলে কিছুই নয়। জামায়াত তারপরও দাবী করছে,
-''রাজনৈতিক অঙ্গনে শক্তিশালী ইসলামী ধারা সৃষ্টি ও জাতীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালনে গুরম্নত্বপূর্ণ অবদান।''
-''মাদরাসা ও সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত লোকদের যোগ্যতা বৃদ্ধি করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও জনগণের খেদমত করার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।''
-''একদল নিষ্ঠাবান, সত ও যোগ্য লোক তৈরী করেছে এবং সততা ও স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত্ম স্থাপন করে যাচ্ছে।''(সুত্র:এখানে)........এই হলো তাদের মিথ্যাবাদিতার নমুনা!
অনলাইনে এখন মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে ভুরিভুরি তথ্য-উপাত্ত এক ক্লিকেই চলে আসে।হাজারবার যেষ্টা করলেও জামায়াত ইসলামী কখনো তাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন অপকর্মকে ঢেকে রাখতে পারবেনা,বাংলাদেশের সুর্যসন্তানদের রক্তে রঞ্জিত হাত তারা লুকোতে পারবে না।সুতরাং তাদের নতুন প্রপাগান্ডা ''অন্যান্য রাজনৈতিক দল অপেক্ষা তারা পরিচ্ছন্ন,নীতিবান'' এর জবাব দিতেই এত কিছু দেখিয়ে দেয়া।জামায়াত শিবির যে শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধীদের দলই নয়,বরং এরা সুযোগ পেলে অন্য দলগলোর চেয়েও খারাপ হতে পারে,তারই প্রমান এসব লিংক।
বাংলাদেশের জন্মকে অস্বীকার করে জন্মের বিরুদ্ধে যে দল একের পর এক হত্যাকান্ড ও ধর্ষন করে গেছে,সে দলের কোনো অনুসারীর অধিকার নেই বাংলাদেশে বসবাস করার।অথচ তারা এখন শুধু রাজপথেই না,বরং অনলাইনেও গোলাম আজম-নিজামী-মুজাহিদ-কামরুজ্জামান-সাঈদীদের মত যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে নিয়মিত প্রচারনা চালায়,ব্লগ খুলে ৭১'র কৃতকর্মকে জায়েজ করতে চেষ্টা চালায়,ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে,টুপি ও দাড়িকে নিজেদের একক সম্পত্তি দেখিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনের অনুকম্পা আদায় করে!
পাঠক,আপনি যখন এই পোস্ট পড়ছেন,ঠিক সেই মূহুর্তে বাংলাদেশের কোনো এক স্থানে আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা হয়তো মারা গেলেন,হয়তো এইমাত্রই কোনো বীরাঙ্গনাও চলে গেলেন-এইসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না দেখেই।এভাবেই প্রতিটা মূহুর্তে আমরা হারাচ্ছি মুক্তিযুদ্ধের এক একটা স্মৃতি,অন্যদিকে প্রতিটা মূহুর্তে জন্ম নিচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গী।কমে আসছে মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শীরা,বেড়ে চলেছে প্রপাগান্ডা তৈরীর স্যাঙাতেরা।
আপনি হতে পারেন আওয়ামী লীগের কট্টর সমালোচক,হতে পারেন বিএনপির সমর্থক,কিন্তু আপনাকে এই দুঃখী দেশটার জন্যই জামায়াত আর শিবিরকে বর্জন করতেই হবে,উচ্চকন্ঠে আওয়াজ তুলতে হবে এদের বিচারের জন্য, এদের জন্য ঘৃনার শেষ বিন্দুটি বরাদ্দ রাখতেই হবে।অনলাইনে আমাদের পূর্বসূরিদের মতোই আরেকটি যুদ্ধে নামতে হবে,বিচার প্রক্রিয়া যতই ধীরগতিতে চলুক,অনলাইনে আমরা যেন এদের অনুসারীদের প্রাপ্যটা মিটিয়ে দিয়ে দেরী না করি,এদের সকল প্রকার প্রপাগান্ডা শক্তভাবে দমন করি।
বিচার নিয়ে সরকারের রাজনৈতিক ফায়দা লোটার খায়েশ থাকতে পারে,বিরোধীদলের নিজ সঙ্গীকে বাঁচানোর প্রয়াস থাকতে পারে।কিন্তু আমাদের বিবেক কারো খুঁটিতে বাধা নেই, অনলাইনে এই যুদ্ধাপরাধীদের দোসরদের ঠেকিয়ে দিতে পারি আমরাই,অফলাইনে সবাইকে সচেতন করে এসব ধর্মব্যবসায়ীকে রুখে দিতে পারি।
মনে রাখুন,লক্ষ প্রান আর লক্ষ মানের ত্যাগের সাথে কোনো রাজনৈতিক হিসাবনিকাশ আর আপোষ চলেনা।
_____________________________________________________________
বি.দ্র.প্রচুর তথ্য ইন্টারনেট থেকে সন্নিবেশিত করার সময় কিছু লিংক ব্রোকেন থাকতে পারে।ব্রোকেন লিংকের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করছি।একই সাথে সামহোয়্যারের সার্ভারে কিছু ব্লগারের আপলোড করা ছবি ছিলো,যা নতুন করে আপলোড না করে এখানে লিংকে যুক্ত করা হয়েছে।তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৩১