অভ্যাসগত অপরাধীদের উপর নির্মিত পরিচালক তানিম রহমান অংশুর " সাহসিকা " দেখলাম। এক ঘন্টা তেইশ মিনিট এগারো সেকেন্ডের। পুরোটা সময় জুড়ে মনোযোগ সরানো কঠিন। বেশিরভাগ দৃশ্যই কোর্ট ট্রায়াল।
এই সমাজে বহু Habitual Offender / অভ্যাসগত অপরাধী আছে। যাদের রক্তেই থাকে অপরাধ করার প্রবণতা।
তাঁরা খুব ঠান্ডা মাথায় নিজস্ব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে অনেক বড় অপরাধ ও সহজেই করে। কিন্তু তাঁরা মনে করে / আত্মবিশ্বাসী থাকে তাঁদের কেউ কিছু করতে পারবে না। তাঁরা এটাও মনেকরে অপরাধের বিষয়টি সহজাত ও স্বাভাবিক ঘটনা।
যাইহোক ঘটনাটা এই সমাজের ঘটে যাওয়া ঘটনার মতোই। মিথ্যা প্রেমের ফাঁদ। অতপর অনুশোচনার অনলে পোড়া। তেমন একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে হলেও
বর্তমান পৃথিবীতে যতো অপরাধ হচ্ছে সব কিছুর পেছনে একটা বায়োলজিকালি / ইকোনমিক্যাল কারন থাকে।
পুরো ফিল্মেই আমাদের সমাজের শত শত অস্পষ্ট কুচরিত্রকে আরও স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে।
মানুষের ভেতরে ভীষণ রকম লোভ হয় টাকার লোভ নয় তো দেহের লোভ!
নিজের জীবনের নিরাপত্তা ইস্যুতে যেমন সচেতন থাকা জরুরি। তেমনি ভীষণ অপ্রত্যাশিত সময়ে বুকের সাহস থাকাটা ও জরুরি। সেই সাথে সততা থাকলে হেরে যেতে যেতেও মানুষ জিতে যায়।
কোন বাঁধাই আর বাঁধা থাকে না।
তানজিন তিশা, মনোজ প্রামাণিক, আশীষ খন্দকার, তারিন, মিথিলা, মেমি অনেক ভাল ভাল শিল্পী অভিনয় করেছেন। সবার অভিনয়ের নিজস্ব পারফর্মান্স প্রশংসা করার মতো।
"সাহসিকা" এই নামে অনেক গুলো সিরিয়াল এপিসোড আছে। প্রতিটি গল্পই সুন্দর।
এই পর্বে তারিন পুলিশের ভুমিকায়, আশীষ খন্দকার ব্যারিস্টারের, মনোজ প্রতারক প্রেমিক, মিথিলা আসামী পক্ষের আইনজীবী, মেমি মধ্যবিত্ত পরিবারের শাসন করা মা, তিশা একজন সাহসী নারী
প্রতিটি চরিত্র সুন্দর।।
চিত্রনাট্য লিখেছেন নাসিমুল হাসান ও আহমেদ খান হীরক।
একটা ভালো সৃষ্টি সমাজ বিনির্মানে ও মানুষের মনে ভীষণ রকম প্রভাব বিস্তার করতে পারে। মানুষকে জীবনে চলার পথে সচেতন করে।
---- নুরুন নাহার লিলিয়ান