বাংলাদেশে ৩১ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে, "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৮"। (বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবার পর বা সংসদ ভেঙে দেওয়া পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়। বর্তমান সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ সালে, তাই সংবিধানের ১২৩/৩(ক) ধারা অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ এর মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।)
সামনের নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন মাথায় গিজগিজ করছেঃ
১। দলগুলো প্রচারনা শুরু করবে কবে? মিছিল করতে তো আমার ভালোই লাগে।
২। নির্বাচন কমিশন কি নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে পারবে/সেনাবাহিনী কি নির্বাচনে থাকবে?
৩। রাজনৈতিক দলগুলো কী গণতন্ত্রের পরিচয় দেবে? নাকি ১৯৯৬/২০১৪এর মত কিছু দেখব?
৪। অনেক নতুন ভোটার তো স্মার্টকার্ড পায় নি, তারা কি কার্ড পাবে/ভোট দিতে পারবে?
৫। ইভিএমের ব্যাপারে কী হলো? ভারতের চেয়েও নাকি ১১গুণ বেশী খরচ হবে? (আমি ইভিএমের পক্ষে। তবে এখানে ভোটারদের দক্ষতা, নিরাপত্তা ও প্রশাসনের সচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।)
৬। জামাত কি এবারের নির্বাচনেও অংশ নিবে!!???(বর্তমানে জামাতের নিবন্ধন বাতিল, তবে নিষিদ্ধ করা হয় নি। যদিও সংবিধানের ১২(ক,খ) অনুচ্ছেদ বলে, ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ। হাসিনা সরকার ওদের নিষিদ্ধ করল না কেন, That is the question?)
৭। সবচেয়ে বড় কথা, নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে? (
বর্তমান সংবিধানে আছে, সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হবে।)
ভাট্টিরা(সাংবাদিকরা) তো মইনুলদের নিয়ে ব্যস্ত। প্রধানমন্ত্রীকে এসব প্রশ্ন করবে কে? হাসিনা আপা ছাড়া তো এসব প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারবে না। আমরা অবস্য প্রশ্নফাঁস(!!) জেনারেশন, অনেক প্রশ্নের উত্তরই জানা/অনুমান করতে পারি...
শিরোনাম প্রসঙ্গে বলি, সুষ্ঠ নির্বাচন হলেও আমি অন্তত আশার কিছু দেখি না। নির্বাচনে হয়তো লীগ/দল(জাতীয় ঐক্য) জিতবে। তারা গনতন্ত্রের নামে আগের ক্যাসেটই বাজাবে। সুস্থ রাজনৈতিক ধারা ফিরে আসবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা সবাই বলে, সেটা বুঝে/মানে/বাস্তবায়ন করে কে??
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৫৭