আয় রে আয় ছেলের দল
মাছ ধরিতে যাই,
মাছের কাঁটা ফুটলে পায়ে
দোলায় চেপে যায়।
বালি চিকচিক করে
সোনামুখী রোদ লেগেছে
ডালিম ফেটে পড়ে।
ছড়াটা বড় চাচার কাছ থেকে শুনে শুনে মুখস্ত হয়ে গিয়েছে। এটা দেবার কারণ, আজকের পোস্টটা মাছ ধরার কিছু ছবি দিয়ে। ছবিগুলো নেট থেকে কপি মারা। ল্যাপটপে আমার তোলা অনেক ছবি আছে। কিন্তু কে ওসব ৫-৭MB এর ছবি এডিট করবে? পারবো না আমি।
এতক্ষণ বকবক করার কারণ, কিছু না লিখলে পোস্টের ছবি প্রথম পাতা দখল করে নেবে; তাই।.....
২. গত সপ্তাহে দেখলাম, এরকম জাল দিয়ে দুই নৌকাতে করে নওজোয়ানেরা মাছ ধরছে। কিন্তু, এই জালের নামটা যে কী? (এটা ব্যার/ব্যাড় জাল। বলেছেন: জোকস(৩৫))
৩. এটা মনে হয় মইজাল, না হলে ঠেলা জাল।
৪. আঁচলে ছাঁকিয়া(ঠেলাজাল) তারা ছোটমাছ ধরে।
৫. বাঁশ ও জাল দিয়ে তৈরী মাছ ধরার যন্ত্র। স্থানিয় নাম ব্যাশাল। হালকা স্রোতে এটাতে মাছ ধরা পড়ে।
৬. এটাও এক ধরণের বাঁশজাল। এর নামটা আমার মনে নেই।(এর নাম ছাবি-আহমেদ জী এস(৫), চারকোণী জাল -জুনায়েদ বি রাহমান(১৯))
৭. তোরা বড়সি দিয়েই মাছ ধর!
৮. গড়াজাল/কারেন্ট জাল। এটা নানান মাপে /আকারে/ডিজাইনে পাওয়া যায়। এসব জালে মাঝেমধ্যে পানিসাপ/ঢোঁড়াসাপ পেঁচিয়ে থাকে। সালাদের বেশীর ভাগই পরে মারা পড়ে।
৯-১০. মাছ ধরার নানা ফাঁদ(ভাঁড়, পলো, খলসেন ...) হাটে বিক্রয় করার জন্য আনা হয়েছে।
১১. মাছ রাখার টুকরি।
১২. হৈহৈ কান্ড রৈরৈ ব্যাপার। চলছে মাছ ধরার ধুম।(শীতকালে হাওড়, বাওড় বা বিল এলাকায় পানি কমে গেলে অনেক এলাকায় সবাই মিলে মাছ ধরে। এটা অনেকটা উৎসবের মত। হই হুল্লোড়, চেচামেচি ও কাদা পানিতে মাখামাখি হয়ে, সবার দেখার মত অবস্থা হয়...)
এছাড়া স্থনীয়ভাবে বাঁশ, বেত দিয়ে মাছ ধরার নানা যন্ত্র তৈরী করা হয়। এবার গ্রামে গেলে, সেসবের ছবি তুলো আরেকটা পোস্ট দেব।।
সবার জন্য শুভকামনা।
ছবিসূত্রঃ নেট। (ছবির ক্রেডিট - ফুটোগ্রাফারের)
.
[ফ্লাডিং-এর কারণে পোস্টে মন্তব্য সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে। ]
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৬