প্রিয় ব্লগার,
অভিনন্দন! আজকের এই বিশেষ মুহূর্তে দেশে এবং বিশ্বজুড়ে বাঙালী এবং বাংলাদেশী সবাইকে অভিনন্দন!।
শুভেচ্ছা নিন আসন্ন বিজয় দিবসের।
প্রতিবারের মতই এবারও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি বিজয় র্যাতলীর আয়োজন হচ্ছে। অত্যন্ত আনন্দের সাথে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ তে বাংলা কমিউনিটি ব্লগিং অষ্টম বছরে পা দিতে যাচ্ছে। কেবল ব্লগারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং মতবিনিময় নয়, ইতিমধ্যে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জনমত তৈরির একটি বিকল্প গণমাধ্যম হিসেবেও। নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বাংলা ব্লগিং বিকশিত করে চলেছে নাগরিক সাংবাদিকতা, মানব কল্যাণে যূথবদ্ধতা, সকল প্রকার অন্যায়ের প্রতিরোধ ক্ষেত্র। এই পথচলায় মানব কল্যাণমূলক কর্মকান্ডে ব্লগারদের অংশগ্রহণ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত এবং উজ্জ্বল। সাধারণ মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশের উর্বর জমিটিও তৈরি করে চলেছেন বাংলা ব্লগোস্ফিয়ারের অগণিত ব্লগাররা।
স্বাধীনতার চেতনায়, জাতীয় দূর্যোগে, জাতীয় স্বার্থে, মানব কল্যাণে, অন্যায়ের প্রতিরোধে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিগত বছরগুলোতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন বাংলার ব্লগাররা। তাদেরই অংশগ্রহণে তৈরি হয়েছে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ব্লগার নেটওয়ার্ক। বিপর্যয় আক্রান্ত মানুষদের বাঁচাতে, জাতীয় ইস্যুতে, মানব জীবন রক্ষায় প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্লগাররা হয়ে উঠেছেন জনমত তৈরির পথ নির্দশক। সম্প্রতি সাভারের রানা প্লাজা দূর্ঘটনায় ব্লগারদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং অবদান সেটির অন্যতম উৎকৃষ্ট উদাহরণ। অনলাইনে বাংলা কন্টেন্টের প্রধান অংশটুকু তৈরি হয়েছে এঁদের অংশগ্রহণেই। বাংলা সাহিত্যের নানা ক্ষেত্রে যেমন কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, কিংবা বই ছবি বা ভিডিও প্রকাশনাতেও অগ্রসরমাণ রয়েছেন ব্লগাররা। তৈরি করেছেন বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক ব্লগ ও নেটওয়ার্ক, যা ছড়িয়ে গেছে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে বাংলা ব্লগোস্ফিয়ার এবং অংশগ্রহণ বাড়ছে দেশে ও বিদেশের নানান অংশে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ব্লগারদের।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বিজয়ের চেতনার সাথে বাংলা ব্লগারদের অংশগ্রহণ একেবারে বাংলা ব্লগের জন্মলগ্ন থেকেই নিজস্ব দ্যুতিতে উজ্জ্বল। স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছেন ব্লগাররা। অন লাইনে অফ লাইনে ক্রমাগতভাবে লড়াই করে গেছেন সকল প্রকার মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে। তৈরি করে চলেছেন মুক্তিযুদ্ধের অনলাইন আর্কাইভ, যুক্ত রয়েছেন নিরলস গবেষণায়। স্বাধীনতার চেতনা বিরোধীদের, যুদ্ধাপরাধীদের দোসরদের তৎপরতার বিপক্ষে অনলাইনে এবং অফলাইনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন এই ব্লগাররাই। বিচারের আইনী রূপ রেখা নিয়ে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের কাজটিতে নিবেদিত থেকেছেন অনেকে । এই লড়াই কেবল অনলাইনেই সীমাবব্ধ থাকেনি, মানববন্ধন, প্রতিরোধ সমাবেশ, মিছিল প্রভৃতির মাধ্যমে এর পরিসর বিস্তৃত করে চলেছেন বাংলা ব্লগাররা। এরই উৎকৃষ্ট উদাহরণ ৫ই ফেব্রুয়ারির গণজাগরণ এবং আজকের রায়।
মানবাধিকার এবং সুস্থ গণতন্ত্র চর্চা সবকিছু নিয়ে একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে বাংলা ব্লগোস্ফিয়ার। যা দাবী করে বাংলা ব্লগোস্ফিয়ারের সামগ্রিক যূথবদ্ধতার। ১৬ই ডিসেম্বরের বিজয় চেতনার সাথে মিলেমিশে এই যূথবদ্ধতা হবে আমাদের আরো একটি গৌরবময় অর্জন। আমরা একে সম্মিলিতভাবে উদযাপন করবো বাস্তবে, প্রতি বছরের মত, বিজয় র্যােলীতে, বিজয়ীর বেশে।
এবারের ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের জীবনে একই বিশেষ মাত্রা যুক্ত করেছে। এই আনন্দ উদযাপনে ঐক্যবদ্ধভাবে র্যাশলীতে সবাইকে অংশ নেবার আহবান জানাই। র্যা লীটি জাদুঘরের সামনে থেকে শুরু হয়ে টিএসসি হয়ে শহীদ মিনার ঘুরে শেষ হবে ছবির হাটে। এতে অংশ নেবার জন্য প্রত্যেকে নিজের ইচ্ছেমতন বিজয়ের বার্তাবাহী, বর্ণিল কোনো ফেস্টুন, ব্যানার বা প্ল্যাকার্ড বহন করতে পারেন। সাথে নিয়ে আসতে পারেন স্বামী, স্ত্রী, সন্তান, বন্ধু বা আত্মীয় স্বজন যে কাউকে। ক্যামেরা নিয়ে আসতে পারেন সময়টাকে অ্যালবামে বন্দী করার জন্য।
এই যূথবদ্ধতা সুস্থ গণতন্ত্র চর্চার বিষয়টিকে আরো জোরালো করবে। আপনারা আসুন এই বিজয় র্যা লীতে, যুক্ত হন যূথবদ্ধতায়, স্বাধীনতার চেতনাকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে।
তারিখ: ১৬ই ডিসেম্বর, সোমবার।
সময়: সকাল ৮টা ৩০ মিনিট।
র্যালী শুরু হবার স্থান: শাহবাগ জাদুঘরের সামনে থেকে।
নির্বিঘ্ন, নিরাপদ ও মঙ্গলময় হোক আমাদের একসাথে পথচলা।
বিনীত
আমরা ব্লগার
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩