আজকে এক বিখ্যাত আওয়ামী তাত্বিকের সাথে কিছু কথা হচ্ছিল। এক পর্যায়ে অনিবার্যভাবে চলে আসল শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ। কি অভিযোগ?
উনি নাকি এয়ার ফোর্সের অসংখ্য নিরাপরাধ সৈন্যকে ফাসি দিয়েছেন। আমার উত্তর যা দেবার দিয়েছি আপনারা জেনে নিন আওয়ামী মিথ্যাচারিতার যথাযথ জবাব।
কি এমন ঘটেছিল যে এই অভিযোগ?
১লা অক্টোবর ১৯৭৭ সাল। বোম্বে থেকে জাপান এয়ার লাইন্সের ডিসি-৮ বিমান ১৫৬জন যাত্রী নিয়ে উড্ডয়ন করে। মধ্য আকাশে জাপানী রেড আর্মির হিদাকা কমান্ডো গ্রুপের ৫জন হাইজ্যাকার বিমানটি হাইজ্যাক করে ঢাকা বিমান বন্দরে নিয়ে আসে।
সেখানে তারা তাদের ৯ জন সহকর্মীর মুক্তি দাবী করে আর ৬০ লাখ ডলার চায় না হলে সব যাত্রীকে মেরে ফেলা হবে।
বিচারপতি সাত্তার (উপ রাষ্ট্রপতি) বিমান বাহিনী প্রধান এ.জি.মাহমুদ তার উর্ধতন কর্মকর্তাদের নিয়ে এয়ারপোর্টে যান।
এয়ারপোর্টে চলছে জাপানী প্লেন হাইজ্যাক ড্রামা।
এ রকম সতর্ক মূলক অবস্থায় ক্যান্টনমেন্টের উত্তর পাড়ায় অবস্থিত এয়ারফোর্স কলোনী থেকে শুরু হল বিদ্রোহ। কারা যেন ডাকাডাকি করে এয়ারম্যানদের ধর্মঘটি শ্রমিকদের মত গাড়িতে তুলল।
এই এয়ারম্যানরা ক্যান্টনমেন্ট ষ্টেশন হেড কোয়ায়ার্টারের কাছাকাছি আসলেই ২ ফিল্ড আর্টিলারীর পূর্ব প্রস্তুতি মুলক বিদ্রোহ মোকাবেলা সৈন্যদের মুখোমুখি হয়। নির্বিচারে গুলি হয়। বহু সৈনিক হতাহত হয়।
পাগলের মত এয়ারম্যানরা ছূটে যায় এয়ার পোর্টে। জিম্মি নাটকের মধ্যে নির্বিচারে গুলি করে এয়ারম্যানরা হত্যা করেঃ
গ্রুপ ক্যাপ্টেন আনসার চৌধুরী, গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাস মাহমুদ, উইং কমান্ডার আনোয়ার শেখ, স্কোয়াড্রন লীডার মতিন, ফ্লাইট লেঃ শওকত জাহান চৌধুরী, ফ্লাইট লেঃ সালাহউদ্দিন, ফ্লাইং অফিসার মাহাবুব আলম ও আখতারুজ্জামান, পাইলট অফিসার আনসার, নজরুল ও শরীফুল ইসলাম।
এয়ারম্যানরা দখল করে রেডিও ষ্টেশন। আবোল তাবোল বক্তব্য দিতে থাকে।
টু ফ্লিল্ড আর্টিলারী, ৪৬ ব্রিগেড, ও নবম ডিভিশন ট্রুপ এসে ওদের ঘেরাও করে গ্রেফতার করা হয় বিদ্রোহীদের।
জেনারেল এরশাদ ছিলেন ডেপুটি চীফ অব আর্মি। তারই তত্ত্বাবধানে সংক্ষিপ্ত বিচারে এদের অনেকেরই ফাসি হয়।
এ ক্ষেত্রে বিডিআর বিদ্রোহের পরবর্তী ব্যাপারটা মাথায় রাখতে বলব অনেকেই রহস্য জনকভাবে মারা যায়। সেময় ও অনেকে হয়ত বিনা কারনে মারা গেছে কিন্তু একটা সুশৃঙ্খল বাহিনী যখন বিদ্রোহ করে বিনা কারনে তখন এ ধরনের অনেক কিছু ঘটে।
এখন বলুন এখানে কোথায় জিয়াউর রহমানের ভূমিকা? আর যাও ছিল তা ছিল প্রসাশনিক হিসাবে।
গত ৪২ বছর দেশের স্বাধীনতা নিয়ে মিথ্যাচার, ইতিহাসের বিকৃতি ঘটিয়েই যাচ্ছে এদেশের এক শ্রেনীর সুশীল কারন তারা তাদের ভূমিকা দেবত্বে উন্নীত করতে চাচ্ছে। দেবতা না মাটির মানুষ হোন দোষে গুনে মানুষ হোন। আমরা দেবতা চাই না আমরা মানুষ চাই যিনি আমাদের সঠিক দিশা দেবন।
সত্য উন্মোচিত হোক