আরো একটি ব্যাপার এই পোষ্টে আমি কোন বিশ্লেষনে যাবনা। এখানে ছবি কথা বলবে, ভিডিও আপনাকে দেখাবে, আর আপনার বিবেক বিশ্লেষন করবে।
এই গনহত্যা নিয়ে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কি বলে? দেখুন।
আসুন দেখি যুগান্তর কি বলে? খেয়াল রাখুন যুগান্তর কিন্তু আমার দেশ বা জামাতী পত্রিকা না। ১২ই মে ২০১৩ দেখুন।
পরিস্কার বলা আছে, ওইদিন ৫ই মে দিন আর রাতে মিলিয়ে সর্বমোট ১ লাখ ৫৫ হাজার রাউন্ড গোলা বারুদ খরচ হয়েছে। যার মধ্যে ৮০ হাজার টিয়ার শেল, ৬০ হাজার রাবার বুলেট, ১৫ হাজার শটগানের গুলি, ১২ হাজার সাউন্ড গ্রেনেড আর মাত্র ৩৫০ স্মল আর্মস এর গুলি।
র্যাব ছিল ১৩০০, পুলিশ ৫৭১২, আর বিজিবি ছিল ৫৭৬ জন আর এছাড়াও ১০ প্লাটুন বিজিবি, বিপুল সংখ্যক পুলিশ ষ্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে প্রস্তুত ছিল।
ছোট দুটি প্রশ্ন কেন রাতের আধারে ২৫শে মার্চের মত কারেন্ট অফ করে আক্রমন করা হল?
রাতে মাত্র ২০/২৫ হাজার মতিঝিলে ছিল, তাদের ওপর লাঠি চার্জ করলেই তো হত? কেন সরাসরি, গুলি করা হল?
এরা কিন্তু জামাত, শিবির না নিরিহ মুসলমান। এদের হত্যা করে কাদের মেসেজ দেয়া হল?
আপনি জিজ্ঞেস করতেই পারেন এত লাশ কোথায় গেল? আমদের ও কিছু জিজ্ঞেসা ছিল।
আপনি যাদের মেরেছেন তারা ছিল নিরীহ মুসলিম যাদের প্রায় সবাই কিন্তু এসেছিল মাদ্রাসা থেকে। মাদ্রাসায় কারা পড়ে? এতিম অথবা গ্রামের দরিদ্র মানুষের সন্তানেরা। আজকে যাদের মারা হয়েছে তাদের বাবা, মা বা আত্মীয় স্বজন কিন্তু আসবে না বলতে যে তার সন্তান মাদ্রাসায় পড়ে হেফাযতের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে শহীদ হয়েছে। আজকে যদি কেউ সে রকম অভিযোগ করে নির্দ্ধিধায় তাকেও আটক করা হবে কেন তার ছেলে সন্তান কে মাদ্রাসায় পড়ানো হয়েছে? আনা হবে রাষ্ট্রদ্রোহীর চার্জ।
হায়রে সেই সব মা বাবা, যারা সামান্য পূন্যর আশায় নিজ সন্তানকে মাদ্রাসায় পাঠিয়েছিল দ্বীন এলেম জানার জন্য। তারাই আজকে বড় অপরাধী। চোরের মত পালিয়ে আছে।
আচ্ছা আপনি প্রমান চেয়েছেন। আপনি কি প্রমান করতে পারবেন কামরুজ্জামান যে কিনা ১৭ বছর বয়সে ১৭০টি ধর্ষন করেছে। ১৭০ না প্লিজ ১৭ জন জীবিত সাক্ষী পারলে হাজির করুন, আবার বলবেন না আমি রাজাকারের পক্ষে, এই উদাহরনটি দিলাম এই কারনে সব কিছু বাস্তব প্রমান হয়না, পরিবেশ পরিস্থিতির কারনে।
আপনি প্রমান চেয়েছেন। প্রমান কিন্তু চাপা থাকেনা যেমন থাকেনি রানার সাথে মুরাদ জং আর আপনার পার্টির সাথে।
আপনি নিশ্চিত থাকুন যেসব মা বাবার ছেলেরা মারা গেছে তাদের দীর্ঘশ্বাস আর এতিমদের হেফাযতকারী আল্লাহ যদি সত্যি হয় এই প্রমান কিন্তু বের হয়ে আসবে।
আরো হাজারো প্রমান দিতে পারতাম, পদ্মা সেতু বা শেয়ার দূর্নিতীতে যেমন আপনি অতীতে বলছেন সব মিথ্যা কিন্তু দেব না কারন এক ই প্রমান বারবার দিতে হয়না।
দয়া করে এই সব ব্যাপারে আপনি আর কোন প্রেস রিলিজ দেবেন না কারন আপনার দলের মধ্যেই স্পাই আছে যারা খুব সু কৌশলে আপনাকে সামনে রাখে। যেমন রাখছে সাভার ট্রাজেডিতে, যেখানে আপনি কিন্তু যেয়ে মুরাদ জং এর সাথে কথা বলেননি যখন আপনি বুজতে পারছেন এরা আপানাকে কি ভাবে ব্যাবহার করছে।
আল্লাহ ই উত্তম ফয়সালার মালিক।
এবার দেখুন হেফাযতের নেতারা কি বলেছে দৈনিক ইত্তেফাকে জানিনা এই পত্রিকাটিও আপনাদের ভাষায় ছাগু পত্রিকা হয়ে গেছে কিনা। যাই হোক হেফাযত নেতারা বলেছেন
মতিঝিলে ব্যাপক প্রাণহানির তথ্য সঠিক, তালিকা হচ্ছে :হেফাজত
'বিএনপির নেতার কথায় আল্লামা শফী ফিরে যাননি'
আজকে এই পর্যন্ত এর পরে আছে ভিডিও আর ছবি কোন দূর্বল চিত্ত ডুকবেন না। আমি সত্যি বলি আমি মাত্র দুইটা ভিডিও দেখেছি। বাকীগুলো দেখার সাহস পাইনি।
আওয়ামী গনহত্যার ভিডিওগুলো এখানে আছে। আপনি ডাউনলোড করুন। ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে। সবার মোবাইলে শেয়ার দিয়ে দিন। ৬ই মে শহীদের আত্মার প্রতি এভাবে শ্রদ্ধা জানান।
মানুষ কে জানান রাতের আধারে আওয়ামীলীগ কিভাবে মানুষ হত্যা করছে। ভিডিওগুলো আপনার আওয়ামী বন্ধুদের দেখান, তাদের মা বোনদের দেখান।
তারপর জিজ্ঞেস করুন তারা কি এখনো আওয়ামীলীগ সাপোর্ট করে কিনা? আরো নিরিহ মানুষের লাশ চায় কিনা?
ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
ছবি দেখুন
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১২