ক্যান্টনমেন্টের দল, মৌলবাদের সহায়ক দল, সামরিক শাষন জারির দল
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
অসংখ্য মিথ্যার আবরনে ঢাকা পড়ে গেছে সত্য। আর এই মিথ্যা নিয়ে যারা বেসাতি করে তারাই আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগ এর তৈরী দালাল মিডিয়া হাজারবার মিথ্যা শুনাতে শুনাতে আমাদের সাধারন তাই সত্য মনে করে বসে আছে। আর আজ যারা সত্য উন্মোচনে জড়িত তারা অবধারিত ভাবে আওয়ামী খড়্গের নীচে মাথা দিয়ে বসে আছে। তাই বলে কি সত্য উন্মোচন বন্ধ হবে? কখনোই না।
আজকে একটা এরকম সত্য উন্মোচনের দ্বার প্রান্তে।
বি এন পি নাকি ক্যান্টনমেন্ট তৈরী দল? বি এন পি নাকি স্বৈরাচারী দল? বিএনপি নাকি মৌলবাদী জামাতের দোসর দল।
আচ্ছা আপনারা বিচার করুন কারা কি?
১৯৯৬ সালে কারা জামাতের সাথে সমজোতায় গিয়ে সরকার গঠন করছিলো? ২০০৭ সালে স্থগিত নির্বাচনের আগে কারা শায়খুল হাদীসের সাথে বাংলাদেশে ফতোয়াকে বৈধতা প্রদান সহ পাচ দফা চুক্তি সই করেছিলো? বিএনপি না আওয়ামীলীগ? ১৯৮৬ সালে কারা গোলাম আযমের সাথে দেখা করে দোয়া নিয়েছিল? এই মিথ্যার বেসাতি করা আওয়ামীলীগ।
৯ মাস মুক্তি যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারী শেখ মুজিব বাংলাদেশে পদার্পন করে। দেশ বাসী তাকে পরম মমতায় বরন করে নেয়। তার পরই শুরু হয় বাঙ্গালীর স্বপ্নভঙ্গ। তৈরী হয় রক্ষীবাহিনী নিহত হয় ৩০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা যারা তখন ও যৌবনের আলোকছটায় সমাজতন্ত্রের মাধ্যমে দেশটাকে পালটে দেবার কল্পনায় বিভোর ছিল।
১৯৭৩ সালে ২২শে সেপ্টেম্বর সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী আনয়ন করে নিবর্তন মূলক জরুরী আইন চালু হয়। আর সর্বশেষ ১৯৭৫ সালের ২৫শে জানুয়ারী কুখ্যাত চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল চেপে বসল বাংলাদেশের অসহায় দূর্ভিক্ষ কবলিত জনতার ওপর। দেখুন চতুর্থ সংশোধনীর কয়েকটি ধারা। ১১৭ক (১, ২, ৩ ও ৪)।
১১৭ ক । ১) রাষ্ট্রপতির নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে এই সংবিধানের দ্বিতীয়ভাগে বর্নিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সমূহের কোন একটি পরিপূর্নভাবে কার্যকর করার উদ্দ্যেশ্যে অনুরূপ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি আদেশ দ্বারা নির্দেশ দিতে পারিবেন যে রাষ্ট্রে একটি রাজনৈতিক দল (অতঃপর জাতীয় দল নামে অভিহিত) থাকিবে।
২) যখন (১) দফার অধীন কোন আদেশ প্রনীত হয় তখন রাষ্ট্রের সকল রাজনৈতিক দল ভাঙ্গিয়া যাবে আর রাষ্ট্রপতি জাতীয় দল গঠন করিবার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহন করিবেন।
৩) জাতীয় দলের নামকরন, কার্যসূচী, সদস্য ভূক্তি, সংগঠন, শৃঙ্খলা, অর্থসংস্থান, এবং কর্তব্য ও দায়িত্ব সম্পর্কিত সকল বিষয় রাষ্ট্রপতির আদেশ দ্বারা নির্ধারিত হবে।
৪) (৩) দফার অধীন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রনীত আদেশ- সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোন ব্যাক্তি জাতীয় দলের সদস্য হইবার যোগ্য হইবেন।
একজন মাত্র ব্যাক্তির এই রকম হর্তা কর্তা বিধাতা সেজে বসা এক মাত্র হিটলার, মুসোলিনী, ফ্রাঙ্কোর সাথে তুলনীয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারী বাকশাল তৈরী হয়। ১৫ ই জুন ৪টা মাত্র পত্রিকা রেখে বাকী সবগুলোর প্রকাশনা বাতিল করা হয়। গনতন্ত্রের জন্য সারা জীবন লড়াইরত শেখ মুজিবের মনন কেন এত চেঞ্জ হয়েছিল এ ব্যাপারে বিষদ গবেষনার দাবী রাখে। আওয়ামী মননে সেই যে স্বৈরাচারী ঢুকছে আজ পর্যন্ত তা থেকে আর তারা বের হতে পারি নি।
আসুন দেখি সামরিক সরকার কারা?
বিএনপির ওপর যে মিথ্যাচার চলছে যে এরা নাকি ক্যান্টনমেন্ট দল আসলেই কি তাই?
যে সামরিক ফরমানের দায়দায়িত্ব আওয়ামীলীগ বিএনপির ওপর চাপায় দেখি সেটা কি?
WHEREAS: the hole Bangladesh has been under Martial law since 15th August, 1975; and whereas Khandakar Mostaque Ahmed, and who placed the martial law, has made over the office president of Bangladesh to me and I have entered upon that office on the 6th day of November, 1975. AND WHEREAS in the interest of peace, order, security, progress, prosperity and development of country, I deem it necessary to keep in force the Martial law proclaimed on 15th August, 1975.
১৯৭৫ সালে ১৫ই আগ ষ্ট খোন্দকার মোশতাক সামরিক আইন জারি করেছিলেন আর তৎকালীন সেনা, বিমান, নৌবাহিনী প্রধান তিন জনেই বিনা প্রতিবাদে তা মেনে নিয়েছিলেন। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল শফিউল্লাহ পরে আওয়ামী সংসদ সদস্য আর বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বর্তমান সরকারে পরিকল্পনা মন্ত্রী।
মোশতাককে সরিয়ে বিচারপতি সায়েমকে ৬ই নবেম্বর যে ক্ষমতায় বসিয়েছিল তিনি হলেন খালেদ মোশারফ। আর খালেদ মোশারফ কাদের লোকছিল সেটা সামান্য ইতিহাস যে যানে সেই জানে। তখনোতো সামরিক শাষন বলবৎ ছিল।
তাই ১৯৭৫ সালের ঘটনা বহুল ৮৩ দিনে যে তিন দফা সামরিক আইন জারি হয়েছিল তার সাথে কোথায় জিয়ার সংশ্লিষ্টতা কেউ কি বলবেন? বরং আওয়ামী প্রবীন নেতা খন্দকার মোশতাক আর খালেদ মোশারফ যে এর সাথে জড়িত তা পরিস্কার দেখা যায়।
বরং জেনারেল জিয়া ১৯৭৯ সালের ৬ই এপ্রিল সংসদে সর্বসন্মতিক্রমে পঞ্চম সংশোধনী গ্রহনের মাধ্যমে দেশকে পুনরায় গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থায় ফেরত আনে। সেই হিসাবে পঞ্চম সংশোধনীকে সামরিক আইন প্রত্যাহারের দলিল বিবেচনা করা অধিক যুক্তি সঙ্গত।
এখন বুকে হাত দিয়ে বলুন কারা সামরিক আইনের বাহক ও ধারক।
ইতিহাসকে বিকৃত করা আওয়ামীলীগের পুরাতন রোগ। কিন্তু কতদিন? সত্য উন্মোচিত হোক।
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।
দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?
বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন
একটি ছবি হাজার কথা বলে
আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি
ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন