কিছু কিছু ফেবু ষ্ট্যাটাস পরে যারপর নাই বিরক্ত।
এমন ভাবে ষ্ট্যাটাস দিচ্ছে মনে হচ্ছে ছয় তারিখ এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন হয়ে যাবে।
না। ব্যাপারটা এত সহজ না।
একবার ভাবুন, শাহবাগ আন্দোলন যখন সত্যিকারের গনজাগরন হিসাবে শুরু হয়েছিল, সমস্ত জাতি যখন যুদ্ধাপরাধী বিচারের দাবীতে একমত, আওয়ামীলীগ কি ভাবে নোংরা খেলা খেলল? কিভাবে হাইজ্যাক করল গনদাবীকে?
কারন তারা জানত তাদের পার্টিতেই এখন বেশী যুদ্ধাপরাধী। তারা জানত প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই ই যুদ্ধাপরাধী।
তৈরী হল গনজাগরনে কিছু দালাল। বাংলার নব্য রাজাকার। আন্দোলন শেষ।
আওয়ামীলীগ এত সহজ চীজ না।
আজকে যারা হেফাযতে ইসলামের লং মার্চ নিয়ে অতি উৎসাহিত তাদের বলি, চোখ খোলা রাখুন দেখুন হেফাযতের মধ্যে পঞ্চম বাহিনী তৈরী হল কিনা?
দালাল ইমরানের মত এই আন্দোলনে আবার মুখ থুবড়ে ফেলে কিনা আমি আতংকিত।
আমার কথার যুক্তি কি?
কেন দেখছেন না, চিটাগাং এর আওয়ামী নেতা হেফাযতের সাথে ক্লোজ নেগোশিয়েশনে আছে।
কিছু লোক দেখানো ব্লগার এ্যারেষ্ট।
ধর্ম হেফাযতকারী হিসাবে শেখ হাসিনার আবির্ভাব। শিওর অচিরেই দেখবেন মাথায় হেযাব আর হাতে তসবীহ।
কিসের আলামত হেফাযতে ইসলামীর শান্তিপূর্ন লং মার্চের দিন নাম সর্বস্ব কিছু ফালতু মানুষের হরতাল আহবান করেছে? কেন বুজেন না?
কয়টা লাশ চাই আওয়ামীলীগের আর কয়টা মাস ক্ষমতায় থাকার জন্য।
কাদের লাশ চাই? নিশ্চই শাহবাগী ইমরান গং অথবা রোকেয়া প্রাচীদের না। নিশ্চয়ই আরো কিছু সহজ সরল মুসলমানদের।
দোষতো আল রেডী বি এন পির ঘাড়ে ম খা আলমগীর দিয়েই দিছে। যদিও এই আন্দোলনে বিএনপি শুধু সমর্থন দিছে।
আমি অবাক হব না যদি সাঈদী বা কাদের মোল্লা আওয়ামী কোন গোপন আতাতে মুক্তি পায়।
এই রং পালটানো গিরগিটি সরকার পারে না এমন কিছু নাই।
খুব সাবধান। এতো সহজে এই রক্তখেকো সরকার ক্ষমতা ছাড়বে না।
আমরা কোন রক্তপাত দেখতে চাই না। খেয়াল রাখুন পঞ্চম বাহিনীর প্রতি। যারা জনগনের আন্দোলন ভিন্ন পথে প্রবাহিত করতে প্রস্তুত।