আমার জ্যাঠা, মাহমুদ হাসানের এই পোস্টে শিরোনাম সংক্রান্ত সকল কিছু দেয়া রয়েছে। তবুও সেকখানে কমেন্ট করেছেন একজনঃ
হা...হা...হা... বলেছেন: সমস্যা হলো আমরা কেউ কোরআন হাদিস বিশেষজ্ঞ নাই। যার কারণে নাস্তিকগুলো আমাদের বিব্রত করার জন্য কিছু উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করে। কিন্তু আমরা সেই প্রশ্ন গুলোর উত্তর কোরআন ও হাদিস থেকে সাথে সাথে বের করে দিতে পারিনা। তখন নাস্তিক গুলো আমাদের জব্দ করতে পেরেছে ভেবে আস্ফালন শুরু করে। কিন্তু এই কাজটি তারা জাকির নায়েকের সাথে করতে পারে না। অনেকেই চেষ্টা করেছে এবং ফেল মেরেছে। আর এই কারণ তারা জাকির নায়েককে সহ্য করতে পারে না। জাকির নায়েকের নাম শুনলেই চুলকানি শুরু হয়ে যায়। এদের ধরে ধরে শুধু লাথির উপর রাখা উচিত।
সেই পোস্টের আলোকে এই অধম ভাইস্তার ভাষ্য নিম্মরূপঃ
আমার জ্যাঠা'রা শুনেন, আমি কি বলি,
আমি অবাক? কিসে অবাক? আমি ফার্স্ট টু লাস্ট পুরো পোস্টটি ও এর কমেন্টসগুলো পড়ার সময় খুজতে ছিলাম কোন নাস্তিকের কমেন্ট পাই কিনা? কিন্তু সেটা না পেয়ে না পেয়ে আমি পুরোই হতাশ। কিন্তু হঠাৎ করে দেখলাম আমার আগে করা ২ ভদ্রলোকের কমেন্টের ঠিক আগেরটাই একজন নাস্তিকের কমেন্ট। বড়ই হাসলাম আমি একা একা, এই ভেবে যে বেটা নাস্তিকদের প্রতিনিধিত্ব করতে এসছে।
নির্বোধের দল নিজেদের মহা পন্ডিত ভেবে বসে আছে। অনেক অমুসলিম আছে যারা নাস্তিকের মুখোশ পরে ইসলামকে আক্রমণ করে। আর অনেক নাস্তিকই আছে কমন মুসলিম নিক ইউজ করে ছদ্দবেশে ইসলামের বিরোধিতা করে।
ইসলামকে নিয়ে বিরোধিতা করতে গিয়ে পারলে নিজের নামকেই না, ওরা তাদের জন্মদাতার নামকেও বদলে ফেলে ছাগুরা। বেশির ভাগ নাস্তিকই দেখাগেছে মানষিক রোগী, কিংবা ব্যক্তিগত কারণে হতাশাগ্রস্থ। তাদের কোন আত্মবিশ্বাসই নেই কেবল সেটা ইসলামের বিরুদ্ধে কথাবলার সময় কোত্থেকে ওদের মাঝে চলে আসে। বাকি সময় ওদের নার্ভাস সিস্টেমে সিডরের আশঙ্কা দেখা দেয়ে।
কেননা তখন তারা একেবারেই তাদের প্রভু শয়তানের সান্নিধ্যের বাহিরে। আর যখন নাস্তিকরা কোন মুসলিমের সাথে তাদের ধর্ম নিয়ে তর্ক করে ছাগুদের পেছনে শয়তানি যুক্তি ও শয়তানি ভরসা ও শক্তি যোগায় মিঃ ইবলিশ। তাই তখন তারা অযুক্তি নিয়াই হোক আর খোড়া যুক্তি, কানা যুক্তিই হোক যেইটাই হোক সেটা নিয়ে এমন হিংস্র ভাব নেয়ে। মনে হয় পুরো সামু ব্লগের লিখার পৃষ্ঠাটা টেনে ছিড়ে ফেলবে অথবা নিয়ে ডাস্টবিনে থ্র্যো করবে। আর প্রতিপক্ষকে গিলে খাবে খোক্কশের ভাই রাক্ষসের দল।
নাস্তিকরা যেই যুক্তি দাড় করায় সেটা আসলে প্রকৃত অর্থে তাদের যুক্তি না, সেইটা তাদের প্রভু শয়তানের যুক্তি যাকে নাস্তিকেরা অনুসরণ করে। তাই ওদের যুক্তিতে যে বিব্রতবোধ করে সে যেন এই বিষয়টা চান্দিতে রাখে যে, ওরা শয়তান ইবলিশের যোগ্য অনুসারী।
বান্দর যদি আপনাকে কোন কিছু দিয়ে ঢিল ছোড়ে আর আপনি তার প্রতিশোধ নিতে উদ্দত হন তাহলে আপনি নিজেকে কি করে বুদ্ধিমান ভাবতে পারেন বলুন? তাই ওদের যুক্তির কোন জবাব দেয়াতো পরে, ওই অযৌক্তিক নাস্তিকদের দিকে তাকানোই উচিৎনা। রাস্তা দিয়ে আমি যখন হেটে যাই আর তখন যদি কোন কুকুর ঘেউ ঘেউ করে আমি তাকাইও না ওটার দিকে।
আর একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এই যে, আহাম্মকদের জবাব যদি কেউ দিতে চায় বা দিতে থাকে তাহলে সে যেই হউক, তার কিন্তু বিড়াট কল্যাণ হবে। কারণ সে তখনই একজন নাস্তিক কিংবা ইসলাম বিরোধী ছাগু আহাম্মকের প্রশ্নের জবাব দিতে পারবে উত্তমরূপে যখন সে কোর'আন ও হাদিস স্টাডি করবে। আর এতে করে সে এক সময় ইসলাম সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবে, শিখতে পারবে। এতে সেই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে।
ধন্যবাদ।